Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি ওষুধ পুড়ে ছাই, দায় নিচ্ছেনা কর্তৃপক্ষ

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৫ এপ্রিল, ২০২১, ৬:০৭ পিএম

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রোগীদের জন্য সরকারের বরাদ্দকৃত বেশ কিছু ওষুধ পোড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। তবে কে বা কারা এ ওষুধ পুড়েছেন তা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানেন না। রবিবার দুপুরে উপজেলা কমপ্লেক্স চত্বরে মসজিদের পাশের পরিত্যক্ত একটি জায়গায় ওষুধগুলো পোড়ানো অবস্থায় দেখতে পান মসজিদে যোহরের নামাজ পড়তে আসা কয়েকজন মুসল্লী।পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে মুহূর্তেই হাসপাতাল চত্বরে উৎসুক জনতার ভিড় বেড়ে যায়। তবে হাসপাতাল চত্বরে ওষুধ পোড়ানোর ঘটনা ঘটলেও কর্তৃপক্ষের জানা নেই বলে জানা যায়। এ ঘটনায় এলাকার মানুষের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

তবে সিভিল সার্জন ডা:হাবিবুর রহমান ওষুধ পোড়ানোর কথা স্বীকার করে বলেন, আমি জেনেছি শুধু কৃমিনাশক অ্যালবানিডাজল ট্যাবলেট পোড়ানো হয়েছে। বিষয়টি সিরিয়াসভাবে দেখা হচ্ছে সরকারি ওষুধ কে বা কারা পুড়ছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রশাসনিক ভবনের ৩০গজ দূরেই হাসপাতাল মসজিদ। এ মসজিদ সংলগ্ন পরিত্যক্ত পাশের একটি জায়গায় বিভিন্ন ধরণের নামীদামী সরকারি ওষুধ পোড়ানো অবস্থায় স্তূপ আকারে পড়ে রয়েছে।

যোহরের নামায পড়তে আসা মুসল্লী শাকিল আহমেদ জানান, যোহর নামাজের সময় অজু করতে গিয়ে হঠাৎ সামনে কালো একটি স্তূপ দেখতে পাই।কাছে গিয়ে দেখি এলবেন ডিএস, গ্যাস্ট্রিকের ট্যাবলেটসহ নানা ধরনের ওষুধ পোড়ানো হয়েছে।

হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রফিকুল ইসলাম, আব্দুস সালাম, রিয়াজুল হক ও শেফালী বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসলে সব ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হয়। অথচ সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকার ওষুধ পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে যা অত্যন্ত আশ্চর্যের। এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান তারা।

এ ব্যাপারে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, কে বা কারা সরকারি ওষুধগুলো পুড়িয়েছে তা আমার জানা নেই। এ ঘটনায় আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.সেলিম মিয়াকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কুড়িগ্রাম


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ