Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মে মাসে ২১ লাখ টিকা পাবে বাংলাদেশ

সাংবাদিকদের স্বাস্থ্য মহাপরিচালক

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০০ এএম

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর আবুল বাশার খুরশীদ আলম বলেছেন, আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ করোনাভাইরাসের প্রায় ২১ লাখ টিকা পাবে। তিনি বলেন, মে মাসের প্রথম সপ্তাহে করোনাভাইরাসের প্রায় ২১ লাখ টিকা পাচ্ছে বাংলাদেশ। এর একটি অংশ আনবে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। আরেকটি পাওয়া যাবে কোভ্যাক্স থেকে। গতকাল বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস উপলক্ষ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আয়োজিত এক আলোচনা সভার পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বলেন, বেক্সিমকো আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ২০ লাখ টিকা দিচ্ছে। এ ছাড়া কোভ্যাক্স থেকে ফাইজারের উৎপাদিত ১ লাখ টিকা পাওয়া যাবে। বেক্সিমকো কবে টিকা দেয়ার কথা স্বাস্থ্য অধিদফতরকে জানিয়েছে জানতে চাইলে প্রফেসর আবুল বাশার খুরশীদ আলম বলেন, গত পরশু (২৩ এপ্রিল) বেক্সিমকো তাদের ২০ লাখ টিকার কথা জানিয়েছে। দেশে ভারতের ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি আছে কিনা এমন কোনো নিশ্চিত খবর স্বাস্থ্য অধিদফতরের কাছে নেই বলে জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক।

এদিকে অধিদফতরের করোনা সংক্রান্ত মুখপাত্র ও পরিচালক (এনসিডিসি) প্রফেসর ডা. রোবেদ আমিন জানান, ফাইজার বায়োটেকের এক লাখ টিকা আগামী মে মাসে বাংলাদেশে আসবে। একই সঙ্গে অন্যন্যা উৎস থেকে টিকা পাওয়ার বিষয়ে সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

কোভ্যাক্সের সঙ্গে টিকার বিষয়ে অনেক আগে থেকেই চুক্তি ছিল জানিয়ে ডা. রোবেদ বলেন, তারা আমাদের মোট যে টিকা দেবে তার ১০ ভাগ ফ্রি আসার কথা। প্রথম দফায় সেখান থেকে ফাইজার বায়োটেকের এক লাখ টিকা চলে আসবে বলে তারা জানিয়েছে। পরবর্তী সময়ে আমাদের জানানো হবে, অন্যান্য জায়গা থেকে কত সংখ্যক কোন টিকা আনা হবে। ডা. রোবেদ আমিন বলেন, আমাদের দেশে এখন অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রজেনেকার টিকা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট তাদের বাধার কারণে আমাদের টিকা দিতে পারছে না। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, যাদের মাধ্যমে টিকা আনার কথা, তাদের বলেছে, অন্তত ২০ লাখ টিকা যেন অতি দ্রুত তাদের মাধ্যমে ব্যবস্থা করা হয়। কারণ, এটি সিরাম ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ সরকার এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ত্রিপক্ষীয় চুক্তি ছিল।

এটা ছাড়াও টিকার জন্য বাংলাদেশ সরকার চেষ্টা করছে জানিয়ে তিনি বলেন, চীন থেকে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি এ দেশে প্রস্তুত করতে আলোচনা চলছে। এছাড়া চীন সরকার ছয় লাখ ডোজ টিকা উপহার হিসেবে প্রদান করবে বলে জানিয়েছে। প্রফেসর রোবেদ আমিন বলেন, কিছুদিন আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোভ্যাক্সের আওতায় বিভিন্ন দেশকে আমন্ত্রণ জানায়। বাংলাদেশ সরকার সেখান থেকে ১০ কোটি টিকা কেনার বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকা একটি শক্তিশালী হাতিয়ার মন্তব্য করে তিনি বলেন, এতে কোনও সন্দেহ নেই। আমাদের দেশে অত্যন্ত সুনিপুণভাবে টিকা কার্যক্রম চলছে। স¤প্রতি জরুরি প্রয়োজনে টিকা পেতে ছয়টি দেশের সমন্বয়ে একটি ইমার্জেন্সি ভ্যাকসিন স্টোরেজ ফ্যাসিলিটি টু সাউথ এশিয়া ফোরামে যোগদানের বিষয়ে বাংলাদেশ নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নেপাল, শ্রীলংকা, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও চীন এই ফোরামে রয়েছে। আমরা যদি এতে যোগদান করতে পারি, যদি এই ফোরামে অসংখ্য টিকা এসে যায় তাহলে পরবর্তী সময়ে টিকার সহজলভ্যতা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সাংবাদিকদের স্বাস্থ্য মহাপরিচালক
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ