Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় উদ্যান লাউয়াছড়ায় আগুন: তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন

মৌলভীবাজার জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৮ এপ্রিল, ২০২১, ৬:২২ পিএম

মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের সংরক্ষিত বনে আগুন লাগার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। বিভাগীয় বন কর্মকর্তার অফিসে বুধবার দুপুরে প্রতিবেদনটি জমা দেওয়া হয়। বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, লাউয়াছড়া সংরক্ষিত বনে আগুন লাগার ঘটনায় তাঁর কাছে একটি প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। তদন্তে দুই সদস্যের কমিটিতে ছিলেন বন্যপ্রাণী ও জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা মির্জা মেহেদি সরোয়ার ও বন মামলা পরিচালক জুলহাস উদ্দিন।

প্রতিবেদনে আগুন লাগার ঘটনায় লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ৩ কর্মচারী ও কর্মকর্তার দায়িত্বে অবহেলাকে তারা দায়ী করেন। তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদনে ১০টি বিষয় গুরুত্ব দিয়ে উল্লেখ করেছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ইচ্ছাকৃত ভাবে আগুন লাগার ঘটনার প্রমাণ সেভাবে পাওয়া যায়নি। তবে বনে কোন ময়লা বা আগাছায় কোনভাবেই আগুন দেওয়া যাবেনা বলে পূর্বেই নির্দেশ ছিল বিভাগীয় বন কর্মকর্তার। আগুণ লাগার ঘটনায় ওই নির্দেশ অমান্য করা হয়েছে। এই ঘটনায় দায় দেওয়া হয়েছে বনবিভাগের ৩ জনের উপর। যারা ওখানকার কাজের তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন।

তারা হলেন বাঘমারা ক্যাম্পের বনপ্রহরী মোতাহার হোসেন, লাউয়াছড়ার বিট অফিসার মিজানুর রহমান, সহযোগী সদস্য (কমিনিউটি পেল্ট্রল দল) মোঃ মহসিন। সেদিন যে শ্রমিকরা কাজ করছিল এবং যারা ওই স্থান তদারকির দায়িত্বে ছিলেন তাদের দায়িত্ব পালনে চরম অবহেলা পরিলক্ষিত হয়েছে তদন্ত কমিটির তদন্তে। এই তিনজন তাদের দায়িত্ব পালন অবহেলা করায় তদন্ত কমিটি এই ঘটনার জন্য তাদেরকেই দায়ী করেছেন। ঘটনাস্থলে তারা তিনজন দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। কিন্তু আগুন লাগার ঘটনাটি বিভাগীয় বন কর্মকর্তা অন্য সূত্র থেকে জানতে পেরে লাউয়াছড়ার রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলামকে আগুন নেভানোর নির্দেশ দেন। বনবিভাগ এবং ফায়ার সার্ভিসের যৌথ প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন উল্লেখ করেছেন আগুনের সূত্রপাত বনায়নের জায়াগা থেকেই।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় আগুনে পুড়েছে দেড় একর জায়গা। তবে তেমন বড় কোনো গাছ পুড়েনি। ওই তদন্ত কমিটি বেশ কিছু সুপারিশ করেছে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বনবিভাগের স্টাফদের উপর তদারকি বাড়ানো। প্রাকৃতিক ভাবে জন্ম নেওয়া গাছ ও লতাপাতার প্রতি যত্নশীল হওয়া। বনের উন্নয়নমূলক কাজের সময় গ্যাস লাইট বা দিয়াশলাই সাথে না রাখা। অগ্নি নির্বাপক সরঞ্জাম সাথে রাখা।

এ দিকে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আমলে নিয়ে দায়িত্বে অবহেলার কারণে ৩ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ ২৪ এপ্রিল ১ টার দিকে কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া উদ্যানের স্টুডেন্ট ডরমিটরি এলাকায় আগুন লাগে। ওই দিন বিকেল ৪ টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মৌলভীবাজার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ