Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রাজশাহীতে অটোরিক্সা চালক হত্যার রহস্য উদঘাটন, আটক ৫

রাজশাহী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৮ এপ্রিল, ২০২১, ৬:৫৬ পিএম

রাজশাহীতে অটোরিক্সা চালক হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। রাজশাহী মহানগরীতে অটোরিক্সার ব্যাটারি ও অন্যান্য সরঞ্জামাদির জন্যই অটোরিক্সা চালক শমসেরকে হত্যা করে গোদাগাড়ী উপজেলার কাকনহাট রোডের রাস্তার পাশের একটি ডোবার কচুরীপনার মধ্যে পুঁতে রাখা হয়। নিহত অটো চালকের বাড়ি নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার বসরী গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এরমধ্যে সম্প্রতি অটোরিক্সার ব্যাটারি ও অন্যান্য সরঞ্জামাদিসহ ২ জনকে আটক করে পুলিশ। ৬ জন আসামীর মধ্যে এখনো সোহেল নামের একজন পলাতক রয়েছে। তাকেও গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ। এর আগে মামলাটি অপহরণের হলেও লাশ উদ্ধারের পরে সেটি হত্যা মামলায় রুপ নেয়।

পুলিশ জানায়, চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারী রাজশাহী মহানগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার বড় পুকুরিয়া এলাকায় পরিত্যক্ত অবস্থায় ব্যাটারিবিহীন একটি অটোরিক্সা পাওয়া যায়। পরে অটোরিক্সার মালিক নগরীর গুড়িপাড়া গ্রামের খদিজা বেগম ও তার চালক শমসেরের পরিচয় পাওয়া যায়। পরদিন ২৫ ফেব্রুয়ারী অটো চালকের বাবা চাঁন মিয়া থানায় অভিযোগ করেন যে, ২৪ ফেব্রুয়ারী রাত ৯ টার দিকে সাগর (২৫), সাগর (২২) ও আব্দুর রাজ্জাক (৪২) এ ৩ জন মিলে তার ছেলের অটোরিক্সা ভাড়া করে গেলেও আর ফিরে আসেনি। অভিযোগের পর কাশিয়াডাঙ্গা থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়। এসআই সিরাজুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে মামলার আসামী সাগর (২৫), সাগর (২২), আব্দুর রাজ্জাক (৪২) কে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে রিমান্ডের আবেদন করে। আদালত ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করলে আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যাদি তদন্তকারী অফিসার যাচাই-বাছাই করে ও আসামীদের দেওয়া তথ্যাদির সত্যতা যাচাইয়ে শহরের বিভিন্ন মোড়ের ভিডিও ফুটেজ পরিদর্শন করে।

চলতি বছরের ১ মার্চ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানার কাঁকনহাট রোড সংলগ্ন পল্লী বিদ্যুৎ পাওয়ার হাউজের ডোবার কচুরীপানার মধ্যে থেকে অটো চালক শমসেরের লাশ উদ্ধার করা হয়। তদন্তকালে পুলিশ জানতে পারে রাশেল নামের একজন এই হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত আছে এবং তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা শুরু করা হয়। কিন্তু রাশেল পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। পরে চলতি মাসের ১০ এপ্রিল রাত সোয়া ৩টায় রাশেল (২১) কে তার পূর্ব রায়পাড়ার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই সাথে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি চাকু ও অটোরিক্সা খোলার সরঞ্জামাদী উদ্ধার করা হয়। আসামী রাশেল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে এবং হত্যার সাথে জড়িত তারেক (২১) নামের আরেকজনের নাম প্রকাশ করে।

এদিকে, আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রিমান্ডে থাকা রাসেলকে সাথে নিয়ে আসামী সাগর (২৫) কে উত্তর বালিয়া গ্রামের মৃত আলমগীর হোসেনের ছেলে তারেক (২১) কে আটক করা হয়। আসামীদের দেওয়া তথ্যমতে আসামী তারেকের বাড়ির খড়ি ঘড়ের মাটিতে পুতে রাখা চুরি যাওয়া ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সার ৮ টি ব্যাটারী উদ্ধার করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাজশাহী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ