আমতলী উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের একটি হাফিজি মাদ্রাসায় পড়ুয়া কারিমা (১১) নামের এক ছাত্রীকে বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় পিরোজপুরের সিও অফিস এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে আমতলী থানা পুলিশ। এবং অপহরণকারী দুই সন্তানের জনক মো. রাজিবকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অপহরণকারীকে বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

জানাগেছে, আমতলী উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের একটি হাফিজি মাদ্রাসার ১১ বছরের হেফজো বিভাগের কারিমা (১১) বছরের এক ছাত্রীকে দক্ষিণ পশ্চিম আমতলী গ্রামের মো. দলিল উদ্দিন মিয়ার ছেলে দুই সন্তানের জনক মো. রাজিব গত ৪ এপ্রিল অপহরণ করে নিয়ে যায়। ওই ছাত্রীকে রাজিব ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় আটকে রেখে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ মেয়েটির এবং তার পরিবারের। গত এক সপ্তাহ আগে অপহরণকারী রাজিব ওই অপহৃতাকে পিরোজপুর সদর থানার সিও অফিস এলাকায় একটি বাসায় আটকে রাখে। এ ঘটনায় মাদ্রাসা ছাত্রীর বাবা অপহরণকারী রাজিবের বিরুদ্ধে গত ১৬ এপ্রিল আমতলী থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার আমতলী থানার এসআই শুভ বাড়ৈর নেতৃত্বে পিরোজপুর সদর থানার পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে পিরোজপুর সদর থানার সিও অফিসের একটি বাসা থেকে উদ্ধার এবং অপহরণকারী মো. রাজিবকে গ্রেপ্তার করে। বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ অপহরণকারী মো. রাজিব ও অপহৃতাকে আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করেছে। আদালতের বিচারক মো. সাকিব হোসেন অপহৃতার জবানবন্দি শেষে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে এবং অপহরণকারী রাজিবকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের আদেশে পুলিশ অপহৃতার ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

অপহৃতা মাদ্রাসা ছাত্রীর বাবা বলেন, আমার শিশু কন্যাকে দুই সন্তানের জনক মো. রাজিব অপহরণ করে বিভিন্ন স্থানে আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে।

আমতলী থানার এসআই শুভ বাড়ৈ বলেন, অপহৃতাকে পিরোজপুর সদর থানার সিও অফিস এলাকার একটি বাসা থেকে উদ্ধার এবং অপহরণকারী রাজিবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ আলম হাওলাদার বলেন,অপহৃতা ও অপহরণকারী রাজিবকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।