Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আসামে মাওলানা আজমলের চমক

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ মে, ২০২১, ১২:০২ এএম

ভারতের আসামে বিধানসভা নির্বাচনে আবারও বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে। সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে বিজেপি একজন মুসলিম প্রার্থী দিয়েছিল, তিনি পরাজিত হয়েছেন। আসামের গত ৫০ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম ১২৬ সদস্যবিশিষ্ট রাজ্য বিধানসভায় সরকারি দলের কোনো মুসলিম সদস্য নেই। বিজেপি, অসম গণপরিষদ (এজিপি) ও বোড়োল্যান্ড পিপলস ফ্রন্ট (বিপিএফ) জোট ২০১৬ সালের নির্বাচনে ৮৬টি আসনে জয়ী হয়েছিল। এতে মাত্র একজন মুসলিম প্রার্থী জয়ী হয়েছিলেন। তিনি হলেন আমিনুল হক লস্কর। বিজেপি এবার বিপিএফকে বাদ দিয়ে ইউনাইটেড পিপলস পার্টি লিবারেলক জোটসঙ্গী করে। লস্কর পরিষদের ডেপুটি স্পিকার হয়েছিলেন। এবারো তিনি প্রার্থী ছিলেন, কিন্তু বাঙলাভাষী অধ্যুষিত বরাক উপত্যকার সোনাই আসনে তিনি বদরুদ্দিন আজমলের অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের (এআইইউডিএফ) প্রার্থীর কাছে ১৯,৬৫৪ ভেটে হেরে গেছেন। এআইইউডিএফ এই নির্বাচনে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ১০ দলীয় মহাজোটের অংশীদার ছিল। নির্বাচনে এই জোট ৫০টি আসন পায়। আর বিজেপি জোট ৯৫টি আসনে জিতে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। আসামে সরকার দলে কোনো মুসলিম এমএলএ বা বিধায়ক না থাকলেও বিরোধীদের আছে ৩১ জন। ১৯৮৩ সালের পর (ওইবার মুসলিম ছিল ৩৩ জন) এবারই রাজ্য বিধানসভায় সর্বাধিক সংখ্যক মুসলিম প্রবেশ করছেন। মহাজোট থেকে নির্বাচিত ৩১ জন মুসলিমের মধ্যে ১৬ জন হলেন কংগ্রেসের, ১৫ জন আজমলের এআইইউডিএফের। এআইইউডিএফ মাত্র ২০টি আসনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করে এই সাফল্য পেয়েছে। তাদের সফলতার হার ৮০ ভাগ। আর কংগ্রেসের হয়ে ৯৫ জন প্রতিদ্ব›িদ্বতা করে সাফল্যের হার ৩০.৫২ ভাগ। ফলে বদরুদ্দিন আজমলের ভিত আরো মজবুত হলো এই নির্বাচনের মাধ্যমে। উল্লেখ্য, তিনি একইসাথে ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, লোকহিতৈষী ও আলেম। আতরের ব্যবসায় তার বেশ সুনাম রয়েছে। এবিপি।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আসাম


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ