পরবর্তী মহামারির প্রস্তুতি নিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীরা জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সমাবেশের জন্য মিলিত হয়েছেন। এ সমাবেশের উদ্দেশ্য হল আগামী বছরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) কী করা উচিত সে বিষয়ে
করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত ভারত। তীব্র অক্সিজেন সংকটের পাশাপাশি ভেঙে পড়েছে চিকিৎসা ব্যবস্থাও। বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ টিকা উৎপাদক এই দেশটি ভুগছে টিকার সংকটেও। এই অবস্থায় দেশের প্রত্যেক রাজ্যকে বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার দাবিতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার।
পশ্চিমবঙ্গে টানা তৃতীয় দফায় ক্ষমতায় আসা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার মনে করে, করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সারা দেশে টিকাদানের জন্য একটি মাত্র নীতি নিয়েই এগোনো উচিত। আর তাই প্রত্যেক রাজ্যকেই বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করা হয়েছে।
সম্প্রতি ভারতের দুই টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা তাদের উৎপাদিত করোনা টিকার মূল্য ঘোষণা করে। যা নিয়ে ভারত জুড়ে তীব্র বিতর্ক হয়। বিরোধীদের চাপে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান দু’টি টিকার দাম কমাতে বাধ্য হলেও সেই বিতর্ক এখনও থামেনি।
শুক্রবার সেই বিতর্ক উস্কে দিয়েই ভারতের শীর্ষ আদালতে মমতার সরকারের দাবি, ভারতের ক্ষমতাসীন মোদি সরকারকে টিকা সংক্রান্ত নীতি পরিবর্তন করতে হবে। রাজ্য এবং বেসরকারি হাসপাতালের কাছে কেন ভিন্ন ভিন্ন মূল্যে টিকা বিক্রি করা হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়।
মমতার সরকারের ভাষায়, ‘দেশে টিকার সরবরাহ বাড়াতে কেন্দ্রীয় সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। শুধু তাই নয়, সব রাজ্যে টিকা পৌঁছে দিতে হবে বিনামূল্যে।’
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আবেদনের পর ভারতের শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামী সোমবার এ বিষয়ে শুনানি শুরু হতে পারে।
এর আগেও করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মোদিকে চিঠি লিখেছিলেন মমতা। গত বুধবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথের পরই ভ্যাকসিন নিয়ে নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লেখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিতে মমতা লিখেছিলেন, বিনামূল্যে সবাইকে টিকা দিতে হবে। এজন্য টিকার সরবরাহ বাড়ানোরও কথা বলেন তিনি। সূত্র : এনডিটিভি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।