Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

৭ সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন রোগী শনাক্ত

দেশে করোনাভাইরাস

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ মে, ২০২১, ১২:০০ এএম

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১১ হাজার ৮৭৮ জনের। এ সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ২৮৫ জন। গত ৭ সপ্তাহে এটিই দেশে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সর্বনিম্ন সংখ্যা। এর আগে গত ১৪ মার্চ এক হাজার ১৫৯ জন রোগী শনাক্তের তথ্য দিয়েছিল সরকার। সব মিলিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৭২ হাজার ১২৭ জন। ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ এই একদিনে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৪৯২ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৬ হাজার ৮৩৩ জন। নতুন করে মৃত ৪৫ জনের মধ্যে ২৬ জন পুরুষ, ১৯ জন নারী। গতকাল শনিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারা দেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩৫৮টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১২৩টি, জিন-এক্সপার্ট ৩৪টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ২০১টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৪ হাজার ৩২৪টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪ হাজার ৭০৩টি। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫৬ লাখ ১৩ হাজার ৯৭৯টি।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ; তা সাড়ে সাত লাখ পেরিয়ে যায় গত ২৭ এপ্রিল। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১ মে তা সাড়ে ১১ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ১৯ এপ্রিল দেশে রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যুর খবর জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিশ্বে শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১৫ কোটি ৬৯ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩২ লাখ ৭১ হাজারের বেশি মানুষের।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩৩তম স্থানে আছে বাংলাদেশ। তবে মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫৪ শতাংশ। মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৩ জন। এছাড়া রাজশাহী একজন, খুলনা ৩ জন, বরিশাল ২ জন, সিলেটে ২ জন, রংপুরে ২ জন এবং ময়মনসিংহে ১ জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৩৫ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ১০ জন মারা গেছেন। মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ২২ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৭ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২ জন, শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে রয়েছে ২ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৩৬২ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২৯২ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ ২৫ হাজার ৮৬৮ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন এক লাখ ৬ হাজার ৮৯৫ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৮ হাজার ৯৭৩ জন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ