Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অমাবস্যা চলছে : হালদায় প্রস্তুত ডিম সংগ্রহকারীরা

বৃষ্টি ও গর্জন হলে মা মাছ দুই এক দিনের মধ্যে ডিম দিতে পারে

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১১ মে, ২০২১, ৩:১০ পিএম

বৃষ্টি হলেই হালদা নদীতে মা মাছ ডিম দিতে পারে আজ রাতে বা আগামী কাল ভোর সকালে। তবে বৃষ্টি, মেঘের গর্জন, ও পাহাড়ি ঢলের প্রয়োজন। পাহাড়ি ঢলের ঘোলা পানি হালদায় প্রবেশ করলে ও মা মাছের ডিম ছাড়ার অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি হলে ডিম দেওয়ার সন্ভাবনা খুব বেশি বলে জানান ডিম সংগ্রহকাররী।
এদিকে গত কয়েক দিন থেকে শুরু হয়েছে ডিম ছাড়ার "জো" অমাবশ্যা। এই "জো" র সময় গত দুই দিন চলে গেলেও তবে বাকী রয়েছে আরো তিন দিন অমবশ্যার সময় মা মাছ ডিম দেওয়ার একটি পুরদম সময়। বৃষ্টি, মেঘের গর্জন,পাহাড়ি ঢল হালদায় প্রবেশ করলেই মা মাছ হয়তো পুর দমে ডিম ছাড়বে না হয় ডিমের নমুনা দিতে পারে।
এদিকে অমাবশ্যার সময় শেষ হওয়ার বাকী রয়েছে আর তিন থেকে চার দিন তবে আজ আবহাওয়া মা মাছের জন্য ডিম দেওয়ার কাছাকাছি সময় বলে জানান প্রবীন ডিম সংগ্রহকারী নয়াহাট এলাকার কামাল সওদাগর । ডিম সংগ্রহ করতে হালদার দুই পাড়ের ডিম আহরোনকারীরা ডিম ধরার নৌকা সহ বিভিন্ন সরান্জাম নিয়ে হালদার তীরে অপেক্কায় রয়েছে। তবে ডিম দেওয়ার মৌসুমে এখন পুরো সময়। যদি আজ রাতের মধ্যে বৃষ্টি ও মেঘের গর্জন হয়ে, পাহাড়ি ঘোলাপানির ঢল নদীতে প্রবেশ করলেই মা মাছ আজ রাতে বা আগামী কাল ভোর সকালে না হয় অমাবশ্যা ছাড়ার পুর্ব মুহুর্তে ডিমের নমুনা বা হয়তো একেবারে পুরদমে ডিম দিতে পারে। তবে হালদা নদীর উপরি অংশে ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে।
প্রতিবছর এপ্রিল ও মে মাসের পুর্নিমা ও অমাবশ্যা "জো" বা তিথিতে হালদা নদীতে প্রাকৃতিক ভাবে মা মাছ ডিম দিয়ে থাকে। বর্তমানে এই আবহাওয়া যেন ডিম সংগ্রহকারীদের জন্য এক উৎসব মুখর পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হালদা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ