নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ক্রিকেটের ঐতিহ্যবাহী যে কয়টি জিনিস বদলায়নি তার একটি হলো ক্রিকেট ব্যাট তৈরির উপকরণ। আকার-আকৃতি বদল হয়েছে বেশ কয়েকবার। বদলেছে গ্রিপ। শুধু বদলায়নি উইলো কাঠে ব্যাট বানানো। ডবিøউ জি গ্রেস, ডন ব্র্যাডম্যান থেকে শুরু করে শচীন টেন্ডুলকার, ব্রায়ান লারা কিংবা হালের ক্রিস গেইল বা সাকিব আল হাসান- সবাই ব্যবহার করেন বা করেছেন উইলো কাঠের বানানো ব্যাট। দীর্ঘ দিন থেকে চলে আসা এই বাস্তবতা বদলের একটি সম্ভাবনা তৈরি করে কাঠের বদলে বাঁশ দিয়ে তৈরী হবে ব্যাট! সেটিকে নাকোচ করে দিয়েছে ক্রিকেটের আইনপ্রণেতা মেরিলিবন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি)। তবে ক্রিকেটের আইন প্রণেতা সংস্থাটি বিকল্প উপাদানে ব্যাট তৈরির এমন পরীক্ষা-নিরীক্ষাকে সাধুবাদ জানিয়েছে।
ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণার ওপর আলোকপাত করে ক্রিকেটের আইনপ্রণেতা মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) সদস্যরা সোমবার এক সভায় মত দিয়েছেন, কাঠের চেয়ে বাঁশ দিয়ে বানানো ব্যাট সাশ্রয়ী হবে। এটি সবার নাগালের মধ্যেও থাকবে। ক্যামব্রিজের গবেষণায় দেখা যায়, বাঁশ দিয়ে বানানো ব্যাট তৈরিতে খরচ হবে কম। এটি বেশি টেকসই হবে।
জার্নাল অব স্পোর্টস ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজিতে রোববার প্রকাশিত এক নিবন্ধে ক্যামব্রিজ গবেষকরা দাবি করেন, ল্যামিনেট করা বাঁশের ব্যাট হবে ব্যাটসম্যানদের জন্য স্বপ্নের মতো। তাদের মতে, বাঁশের ব্যাটে ‘সুইট স্পট’ বেশি থাকবে। ব্যাটের বিশেষ একটি অংশকে (যেটি দিয়ে বল জোরে আঘাত করা বা স্ট্রোকের টাইমিং ভালো করা যায়) ব্যাটসম্যানরা ‘সুইট স্পট’ বলেন। বৈশ্বিকভাবে ক্রিকেটকে ছড়িয়ে দিতে বাঁশের ব্যাট বিশেষ ভ‚মিকা রাখবে বলেও জানানো হয় নিবন্ধটিতে।
ক্যামব্রিজের এই গবেষণায় দেখা যায়, উইলো কাঠের চেয়ে ২২ শতাংশ শক্ত বাঁশ। আর বাঁশের সুইট স্পট ১৯ শতাংশ বেশি কার্যকর। গবেষণা নিবন্ধটির সহলেখক বেন টিঙ্কলার-ডেভিসের মতে, ‘আপনি ব্যাট দিয়ে খেলছেন কিংবা খেলা দেখছেন, খুব একটা পার্থক্য পাবেন না। ল্যামিনেট করা বাঁশ খুবই শক্তিশালী। আর এখনকার দ্রæতগতির, হাইস্কোরিং ক্রিকেটের তুলনায় আরও হালকা একটা ব্যাট বানাতে পারব বলে আমরা আত্মবিশ্বাসী।’
এক বিবৃতিতে এমসিসি বলেছে, বাঁশের ব্যাট দুটি কারণে ক্রিকেটের বর্তমান আইনের পরিপন্থী। প্রথমত, বাঁশ ম‚লত ঘাস। দ্বিতীয়ত, বাঁশের ব্যাটে প্রলেপ ব্যবহার করা হয়েছে। আইনের ৫.৩.২ ধারা অনুসারে, কেবল কাঠ দিয়েই ব্যাট বানাতে হবে। ফলে আইন পরিবর্তন করে বাঁশের ব্যবহারকে স্বীকৃতি দেওয়া হলেও প্রলেপ দেওয়া নিয়ে ঝামেলা থেকে যাচ্ছে। কারণ, জুনিয়র ক্রিকেটে ব্যাটে প্রলেপ দেওয়ায় সমস্যা না থাকলেও সিনিয়র পর্যায়ে এটি নিষিদ্ধ। ক্রিকেটের জন্য আইসিসি যে নতুন বাজারগুলো খুঁজছে তার মধ্যে রয়েছে চীন ও দক্ষিণ আমেরিকা। সেসব দেশে বাঁশ সহজলভ্য। এ ছাড়া ক্রিকেটের ম‚ল বাজার ভারতেও উইলো কাঠের চেয়ে বাঁশের সহজলভ্যতা বেশি। উইলোগাছ পরিপূর্ণভাবে বেড়ে উঠতে ১৫ বছর সময় লাগে। অন্যদিকে পাঁচ-ছয় বছরেই পূর্ণাঙ্গভাবে বেড়ে ওঠে বাঁশ।
অবশ্য কেমব্রিজের এই ব্যাট বাস্তবিক প্রয়োগ থেকে অনেকটাই দূরে আছে। কারণ, এমসিসির অন্যতম নিয়ম হলো ক্রিকেট ব্যাটে লেমিনেট বা কোনো কৃত্রিম আচ্ছাদন দেয়া যাবে না। এমসিসি জানিয়েছে, তারা আইনবিষয়ক উপকমিটির পরবর্তী সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।