Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চীনা রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের কড়া জবাব যুক্তরাষ্ট্রের

কূটনৈতিক সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১২ মে, ২০২১, ১২:০৭ পিএম

বাংলাদেশকে ‘কোয়াড’ থেকে দূরে সরে থাকতে চীনা সতর্কতার কড়া জবাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা বলেছে, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়নে তার নিজস্ব অধিকার আছে। অনলাইন দ্য কোরিয়ান হেরাল্ডে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। একদিন আগে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট কোয়াড থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন। তার জবাব দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস।

মঙ্গলবার তিনি বলেছেন, কোয়াড একটি অনানুষ্ঠানিক জোট। কিন্তু অবাধ ও মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের জন্য অত্যাবশ্যকীয় একটি মেকানিজম।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং এক বিবৃতিতে বলেছেন, কোয়াডে যোগ দেয়া উচিত হবে না দক্ষিণ এশিয়ার দেশ বাংলাদেশের। এতে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

মঙ্গলবার প্রেস ব্রিফিংয়ে নেড প্রাইস বলেছেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূতের ওই বিবৃতিকে আমরা নোটে নিয়েছি। আমরা যা বলবো, তা হলো- আমরা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করি। নিজেরাই যাতে তাদের পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণ করে বাংলাদেশের এমন অধিকারের প্রতিও আমরা সম্মান জানাই।

উল্লেখ্য, কোয়াডের নেতৃত্বে আছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা এটাকে একটি সমমনা গণতন্ত্রের দেশগুলোর অভিন্ন হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চায়। তারা বলেছে, চীনের মতো দেশগুলো থেকে যেসব চ্যালেঞ্জ আসছে- তা মোকাবিলার জন্য কোয়াড সদস্যদেরকে উন্নততর অবস্থানে নিয়ে যাবে এই সংগঠন। এই জোটে নিউজিল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও দক্ষিণ কোরিয়াকেও যোগ দিতে খোলামেলাভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প খোলামেলাভাবে এই জোটকে সরাসরি চীনবিরোধী আখ্যায়িত করে অনুমোদন দেয়ার ফলে অনেক দেশই এতে যোগ দেয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করে। এর কারণ, দক্ষিণ কোরিয়া সহ অনেক দেশের জন্যই সবচেয়ে বড় একক বাণিজ্যিক অংশীদার এখন পর্যন্ত চীন।

নেড প্রাইস বলেছেন, কোয়াডের বিষয়ে আমরা আগেও বলেছি। আমরা বলেছি, কোয়াড একটি অনানুষ্ঠানিক তবে বহুজাতিক একটি অত্যবশ্যকীয় মেকানিজম, যা বর্তমানে সমমনা গণতন্ত্রের দেশগুলোকে নিয়ে আহŸান করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান। তারা মিলে ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ে সমন্বয় করবে। একই সঙ্গে আমাদের মৌলিক লক্ষ্য ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলকে অবাধ ও উন্মুক্ত করে তোলা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাষ্ট্র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ