Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মওদুদ আহমদের কবর জিয়ারত করতে নেতাকর্মিদের ভিড়

নোয়াখালী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৫ মে, ২০২১, ১:১৬ পিএম | আপডেট : ১:১৬ পিএম, ১৫ মে, ২০২১

সাবেক উপ-রাষ্ট্রপতি ও বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের কবর জিয়ারত করেছেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট উপজেলার দলীয় নেতাকর্মিরা।

ঈদের পরদিনও মওদুদ আহমদের সিরাজপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদ নগর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে গিয়ে তার কবর জিয়ারত করেন নেতাকর্মীরা।

এ সময় তারা সেখানে ফাতেহা পাঠ ও তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া করেন। এলাকাবাসী জানান, শুক্রবার জুমার নামাজের পর মওদুদ আহমদের কবর জিয়ারত করতে তার নির্বাচনী এলাকার নেতাকর্মি,সমর্থকরা সেখানে ভিড় করে। পরে বেশ কয়েক দফায় বিভিন্ন ইউনিয়নের বিএনপি এবং অঙ্গও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মি মওদুদ আহমদের কবর জিয়ারত করেন।

কবিরহাট পৌরসভা বিএনপির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মঞ্জু মওদুদ আহমদের কবর জিয়ারত শেষে নিজের ফেইসবুক অ্যাকউন্টে এক স্ট্যাটাসে লিখেন, আগেকার ঈদে আমাদের যাওয়া হতো মওদুদ স্যারের কাছ থেকে দোয়া পাওয়ার আশায়। আর আজকে যাওয়া হলো স্যারের জন্য দোয়া আর মাগফেরাতের জন্য প্রার্থনা করতে। যুগ যুগ ধরে মরহুম মওদুদ আহমদ নেতা-কর্মিদের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। যারা সুকৌশলেও প্রিয় নেতাকে অবজ্ঞা করার চেষ্টা করবে, নিশ্চিত ভাবে তারা সাধারণ কর্মীদের ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হবে। প্রার্থনা করি মহান আল্লাহ যেন প্রিয় নেতাকে জান্নাত নসিব করেন।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামাল উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান রিপন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক জিয়া, চরহাজারী ইউনিয়ন বিএনপিসাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রমূখ।

উল্লেখ্য, ১৯৪০ সালের ২৪ মে নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার এক সভ্রান্ত পরিবারে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের জন্ম। তিনি ৬বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দেশের এক বর্ণাঢ্য রাজনীতিক ছিলেন। এরশাদ সরকারের উপ-রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। এরআগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের একজন এবং জিয়াউর রহমানের মন্ত্রীসভারও সদস্য ছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক প্রধানমন্ত্রী মওদুদ আহমদ গত (১৬ মার্চ) সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় ইন্তেকাল করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ