এক নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে ২৫ জনের বিরুদ্ধে। ৩ মে দিল্লিতে ওই নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে উত্তরপ্রদেশের আমরোহা জেলার হাসানপুর থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনার ৯ দিন পরে ওই নারী অভিযোগ দায়ের করেন। ৪ বছর ধরে দিল্লিতে গৃহপরিচারিকার কাজ করেন তিনি। থাকেন দিল্লিতেই। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ওই নারীর সঙ্গে ফেসবুকে সাগর নামের এক ব্যক্তির পরিচয় হয়। দু’জনের মধ্যে ফোন নম্বরও বিনিময় হয়। বেশ কিছুদিন পর সাগর ওই নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন ও নিজের মা-বাবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কথা বলেন। নির্যাতিতাকে দেখা করতে ৩ মে একটি জায়গায় আসতে বলেন সাগর। এরপর ওই যুবক নির্যাতিতাকে আমরোহা জেলার রামগড় গ্রামের একটি জঙ্গলে নিয়ে যান। ওখানে আগে থেকেই সাগরের ভাই ও তার কয়েকজন বন্ধু মদের আসর বসিয়েছিলেন। ওই নারী ওখানে যাওয়ার পরই তাকে সবাই পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। পরের দিন, ওই নারীকে আকাশ নামে একজন ব্যবসায়ীর কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও নির্যাতিতাকে ৫ জন ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করা হয়। বারবার যৌন নির্যাতনের পরে ওই নারীর অবস্থার অবনতি ঘটলে ৫ জন তাকে ভারতের বদরপুর সীমান্তের কাছে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যান। ১২ মে ওই নারী হাসানপুর থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। নারী পুলিশকে জানিয়েছেন যে তিনি অসুস্থ থাকায় অভিযোগ দায়ের করতে দেরি হয়েছে। হাসানপুর থানার এসএইচও রাজেশ জানিয়েছেন, তারা শুক্রবার সাগরকে গ্রেফতার করেছে। বাকিদের ধরার চেষ্টা চলছে। এনডিটিভি।