Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পাউবোর জায়গা দখল করে চলছে ভবন নির্মাণ

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৯ মে, ২০২১, ১২:০২ এএম

পটুয়াখালীর মহিপুরে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)›র জায়গা দখল করে একের পর এক স্থাপনা তুললেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন নীরব। কোটি কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি বেদখল হলেও আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে পাউবোর কিছু অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রশাসন। যারা স্থাপনা নির্মাণের সময় অবৈধ দখল বলে হুঙ্কার দিলেও পরবর্তীতে রহস্যজনকভাবে নীরব থাকছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মহিপুর মৎস্য বন্দরের প্রবেশ পথে শেখ রাসেল সেতুর পার্শ্ববর্তী এলাকায় পাউবোর জায়গা যে যার মতো অবৈধভাবে দখল করে নিচ্ছে। মো. জাকির হোসেনের মুসলিম মিষ্টান্ন ভান্ডার ও তার পাশে সাঈদ হোসেন পৃথকভাবে প্রায় ২০ শতাংশের দুইটি প্লট স্থায়ী পাকা ভবন নির্মাণের কাজ করছে। পাউবোর কোনো কাগজপত্র না থাকা সত্ত্বেও তারা কিছু অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রশাসন ম্যানেজ করে প্রকাশ্যেই দখল কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এনিয়ে স্থানীয়দের মাঝে নীরব প্রতিবাদ দেখা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানান, পাউবো ও সওজ’র কোনো বৈধ কাগজপত্র না থাকা স্বত্ত্বেও কিভাবে তারা এ ধরনের অবৈধ দখল কাজ চালিয়ে যাচ্ছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। তারা দ্রুত দখলদারিত্বে সহায়ক ভূমিকা পালনকারী সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের শীর্ষ মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। অপর এক ব্যবসায়ী বলেন, দখল কাজের শুরুতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, পুলিশ কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করা হয়। অথচ তারা এখন দেখেও না দেখার ভান করছে।

এ বিষয়ে মুসলিম মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী মো. জাকির হোসেন বলেন, পাউবোর যতটুকু কাগজপত্র দরকার তা আমার কাছে রয়েছে। পাউবোর জায়গায় ঘর উঠানোর বিষয়ে আরেক দখলদার সাঈদ হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনিও এ বিষয়টি এড়িয়ে যান। মহিপুৃর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ফজলু গাজী জানান, আমার জানামতে জায়গাটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের। তবে, যারা পাকা ভবন করতেছে, কিভাবে করতেছে তা আমার জানা নেই।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)›র কলাপাড়া অঞ্চলের অতিরিক্ত নির্বাহী প্রকৌশলী হালিম সালেহী বলেন, আমি গত পাঁচদিন আগে এখানে যোগদান করেছি। কারা পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমিতে পাকা ভবন তুলছে, সে ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। আমি সদ্য বিষয়টি জানতে পেরেছি, দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ