Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসরাইল-ফিলিস্তিন প্রশ্নে মার্কিন ডেমোক্র্যাট শিবিরে গভীর পরিবর্তন

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ মে, ২০২১, ১০:৪৭ এএম

"এই পরিবর্তন নাটকীয়, গভীর পরিবর্তন,” বলেন আমেরিকার প্রখ্যাত জনমত জরিপকারী জন যগবি, যিনি গত কয়েক দশক ধরে মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রে জনমতের ওপর নজর রাখছেন।

বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের তরুণ প্রজন্ম এখন ফিলিস্তিনিদের ব্যাপারে অনেক সহানুভূতিশীল, এবং এই পরিবর্তনের প্রতিফলন পড়ছে ডেমোক্র্যাটিক পার্টিতে।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন আমেরিকার প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করেছেন, বার বার তিনি বলেছেন আত্মরক্ষার অধিকার ইসরাইলের রয়েছে। কিন্তু দলের ভেতর তিনি বেশ বেকায়দায় পড়ছেন। কারণ ডেমোক্র্যাট শিবিরে এখন গাজা এবং পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনদের অবস্থা নিয়ে অনেক বেশি উদ্বেগের সুর শোনা যাচ্ছে, এবং এই পরিস্থিতির জন্য ইসরাইলকে সরাসরি দায়ী করা হচ্ছে।

কংগ্রেসে বৈচিত্র্য এবং তার পরিণতি

ইসরাইল-ফিলিস্তিনি ইস্যুতে ডেমোক্র্যাট দলে যে পরিবর্তন, তার কারণ খুঁজতে হলে মার্কিন কংগ্রেসের দিকে তাকাতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় আইনসভায় ঐতিহাসিকভাবে ইসরাইলের প্রতি প্রায় একতরফা সমর্থন দেখা গেছে।

এর পেছনে প্রধান কারণ ছিল প্রভাবশালী ইহুদি ভোট যেটি ডেমোক্র্যাটদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে ইভানজেলিক্যাল খ্রিস্টান সম্প্রদায় - যারা কট্টর ইসরায়েল-পন্থী--তারা রিপাবলিকানদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভোট ব্যাংক। এই দুই ভোট ব্যাঙ্কের বিবেচনায় মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের ব্যাপারে ইসরায়েলি ব্যাখ্যাই সবসময় কংগ্রেসে মেনে নেয়া হয়েছে। আমেরিকার বিদেশ নীতিতে সেটাই প্রতিফলিত হয়েছে।

কিন্তু কংগ্রেসের ভেতর দিনকে দিন বৈচিত্র্য আসছে, আর সেই সাথে ইসরায়েলের প্রশ্নে আমেরিকার প্রচলিত নীতি চাপের মধ্যে পড়েছে।

জরিপ সংস্থা পিউ ফাউন্ডেশন স্টাডি বলছে ২০২১ সালের নির্বাচনে প্রতিনিধি পরিষদ এবং সেনেটে নির্বাচিত সদস্যদের ২৩ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ, হিসপানিক, এশীয় এবং আদি আমেরিকান বংশোদ্ভূত । এটি একটি রেকর্ড। বিশ বছর আগে এই সংখ্যা ছিল মাত্র ১১ শতাংশ। ১৯৪৫ সালে ছিল মাত্র ১ শতাংশ।

আইন সভায় প্রতিনিধিত্বে এই বৈচিত্র্যের কারণে বিভিন্ন ইস্যুতে মতামতের ভিন্নতা বাড়ছে, এবং ক্ষমতা ও প্রভাবের ভরকেন্দ্র পাল্টে যাচ্ছে।

কংগ্রেসে তরুণ, প্রগতিশীল কয়েকজন সদস্যের একটি জোট - যেটি স্কোয়াড নামে পরিচিতি পেয়েছে -, তার মধ্যে রয়েছেন মিশিগান থেকে নির্বাচিত ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত রাশিদা তালিব এবং মিনেসোটা থেকে নির্বাচিত সোমালিয়ান বংশোদ্ভূত ইলহান ওমর।

এই স্কোয়াডের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত মুখ নিউ ইয়র্ক থেকে নির্বাচিত আলেকজান্ডার ওকাসিও কর্টেজ যিনি প্রাইমারিতে সিনিয়র ডেমোক্র্যাট জো ক্রাউলিকে হারিয়ে দলের টিকেট পেয়ে জিতেছেন।

জো ক্রাউলি ছিলেন ইসরায়েলের কড়া একজন সমর্থক। ফলে, এখন নিউ ইয়র্কের ডেমোক্র্যাটদের ভোটারদের যে প্রোফাইল তার সাথে ৩১ বছরের পোর্টো-রিকান বংশোদ্ভূত ওকাসিও-কর্টেজ ৫৯ বছরের ক্রাউলির চেয়ে অনেক বেশি খাপ খান।

জন যগবি বলেন, ‍“ডেমোক্র্যাট শিবিরে এখন উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় অশ্বেতাঙ্গ রয়েছেন যারা অন্য অশ্বেতাঙ্গদের প্রতি আচরণ নিয়ে অনেক বেশি স্পর্শকাতর।‍”

“তারা ইসরায়েলকে একটি আগ্রাসী শক্তি হিসাবে দেখে…তারা ইসরায়েলের শুরুর দিকে ইতিহাস তেমন জানে না, কিভাবে এই রাষ্ট্র নানা ঘাত-প্রতিঘাতের ভেতর দিয়ে গেছে তারা তা জানে না।”

তিনি বলেন, “এই প্রজন্ম ইনতিফাদা পরবর্তী পরিস্থিতি জানে। তারা দুই পক্ষের মধ্যে বিভিন্ন যুদ্ধের কথা জানে, তারা ইসরায়েলি বোমা হামলা দেখছে এবং নিরপরাধ মানুষের মৃত্যু দেখছে।”

বার্নি ফ্যাক্টর

কংগ্রেসে এই যে বৈচিত্র্য তার পেছনে প্রধান যে কারণ তা হলো যুক্তরাষ্ট্রে প্রগতিশীল বাম-ধারার একটি সামাজিক-রাজনৈতিক আন্দোলন যার পরিণতিতে ওকাসিও কর্টেজের মত রাজনীতিক নির্বাচিত হয়েছেন। এবং এই বাম-প্রগতিশীল আন্দোলনের পেছনে মূল শক্তি হিসাবে কাজ করেছেন ভারমন্টের ডেমোক্র্যাট সেনেটর বার্নি স্যান্ডার্স।

ইহুদি পরিবারে জন্ম মি. স্যান্ডার্স ষাটের দশকে বেশ কয়েক বছর ইসরায়েলে বসবাস করেছেন।

তার রাজনৈতিক জীবনের শুরুর দিকে তিনি ইসরায়েলের প্রতি সহানুভূতিশীলও ছিলেন। ২০১৬ সালে সালে তিনি প্রথম যখন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হলেন সেসময় তার মুখে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থনের কথা শোনা যায় যেটা ছিল ডেমোক্র্যাট শিবিরে একটি ব্যতিক্রম।

২০১৬ সালের মার্চে যখন হিলারি ক্লিনটনের সাথে প্রার্থিতার লড়াইয়ের বিতর্ক চলছিল, সেসময় হামাস ইসরায়েলে রকেট হামলা শুরু করেছিল। বার্নি স্যান্ডার্স তখন খোলাখুলি ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগের কথা তুলে ধরেন – তুলে ধরেন তাদের বেকারত্ব, ‌ ‘ধ্বংস হয়ে যাওয়া ঘরদোর, স্কুল, হাসপাতাল।‌’

সেসময় গার্ডিয়ান পত্রিকার এড পিলকিংটন লিখেছিলেন - ‘ফিলিস্তিনি দুর্ভোগের কথা বললে নির্বাচনে হারতে হবে বলে যে অলিখিত রীতি প্রচলিত ছিল, তা ভেঙ্গে ফেললেন বার্নি স্যান্ডার্স।‌’

অবশ্য মি. স্যান্ডারস প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতার দুটো লড়াইতেই হেরে যান। তবে তার এই মতামত ডেমোক্র্যাট দলের অনেক বহু সমর্থক হতে তুলে নেয়। সেই সাথে , শিক্ষা, চিকিৎসা, মজুরির সাম্যতা এবং পরিবেশ ইস্যুতে আন্দোলনকারী বিভিন্ন প্রগতিশীল প্লাটফর্মগুলোতে মি. স্যান্ডার্সের ঐ অবস্থান জনপ্রিয়তা পায়।

প্রার্থী হতে না পারলেও বার্নি স্যান্ডার্স তখন থেকেই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বিনইয়ামিন নেতানিয়াহুর সমালোচনা বাড়িয়ে চলেছেন। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী কে তিনি ‘বেপরোয়া বর্নবাদী এবং একনায়ক‌’ বলে একাধিকবার প্রকাশ্যে নিন্দা করেছেন।

গত সপ্তাহে নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় এক মন্তব্য প্রতিবেদনে এই সংঘাত নিয়ে যে সব কথা তিনি বলেছেন তা এখন ডেমোক্র্যাটিক দলের একটি উল্লেখযোগ্য অংশের মতামতের প্রতিফলন। বার্নি স্যান্ডার্স লেখেন, ‍“যেটা সত্য তা হলো ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনি এলাকায় ইসরায়েল-ই একমাত্র সার্বভৌম রাষ্ট্র। এবং শান্তি এবং সুবিচারের পথে না গিয়ে তারা তাদের ভারসাম্যহীন ক্ষমতা এবং অগণতান্ত্রিক দখলদারিত্ব শক্ত করার চেষ্টায় লিপ্ত।”


ফিলিস্তিনি জীবনেরও দাম আছে

নিউ ইয়র্ক টাইমসের ঐ মন্তব্য প্রতিবেদনের শেষে মি স্যান্ডার্স লেখেন যুক্তরাষ্ট্রে ‍‍“নতুন প্রজন্মের এক আন্দোলনকারী প্রজন্ম তৈরি হচ্ছে।”‍ ‍ তিনি লেখেন,‍ “জর্জ ফ্লয়েডের হত্যাকাণ্ডের পর আমেরিকার রাস্তায় আমরা এই আন্দোলনকারীদের দেখেছি। আমরা ইসরায়েলে তাদের দেখেছি। আমরা ফিলিস্তিনি এলাকায় তাদের দেখেছি।”

মি স্যান্ডার্সের শেষ শব্দগুলো ছিল – ‌‌‘ফিলিস্তিনি লাইভস ম্যাটার‌’ অর্থাৎ ফিলিস্তিনি জীবনেরও দাম রয়েছে।

জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ স্লোগান তুলে আমেরিকাতে যারা রাস্তা কাঁপিয়েছেন, তাদের নজর ঘুরেছে এখন ফিলিস্তিনি-ইসরায়েল সংঘাতের দিকে। তারা মনে করছেন. মধ্যপ্রাচ্যে নিয়ন্ত্রণহীন নির্যাতন চলছে।

বৃহস্পতিবার সেন্ট লুইস থেকে প্রথমবারের মত নির্বাচিত সদস্য কোরি বুশ কংগ্রেসের অধিবেশনে দাঁড়িয়ে বলেন, ‍সেন্ট লুইসের মানুষ আমাকে এখানে পাঠিয়েছেন জীবন বাঁচাতে। “তার অর্থ আমাদের পয়সায় পুলিশের সামরিকীকরণ, অন্যের জায়গা-জীবন দখল, সহিংস দমন-পীড়নের বিরোধিতা করি আমরা। আমরা যুদ্ধ বিরোধী, দখলদারিত্ব বিরোধী এবং আ্যাপারথেইড ( জাতিভেদ) বিরোধী।”

‘পুলিশকে টাকা বন্ধ করে দাও’ স্লোগানের মত এখন ‘ইসরায়েল সেনাবাহিনীতে টাকা বন্ধ করে দাও’ স্লোগান উঠতে শুরু করেছে।

ডোনাল্ড এবং বিবি

আমেরিকাতে এখন প্রায় সমস্ত নীতি নিয়ে দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে মেরুকরণ হচ্ছে। ইহুদি রাষ্ট্রের ব্যাপারে অমেরিকার নীতিও এখন ডেমোক্র্যাটিক পার্টিতে ইসরায়েল সমর্থকদের জন্য বড় ধরণের অস্বস্তি তৈরি করছে।তার কারণ, দীর্ঘদিন ধরে বিনইয়ামিন নেতানিয়াহুর ক্ষমতায় থাকা এবং আমেরিকার দক্ষিণ-পন্থীদের সাথে তার ঘনিষ্ঠতা তৈরির চেষ্টা অনেক ডেমোক্র্যাটের জন্য অস্বস্তি তৈরি করছে।

ওবামার সময়ে ২০১৫ সালে রিপাবলিকানদের আমন্ত্রণে কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে নেতানিয়াহুর ভাষণ এবং ইরানের সাথে পারমাণবিক চুক্তি যাতে কংগ্রেস অনুমোদন না করে তার সেই আহ্বান অনেক ডেমোক্র্যাট ভোলেননি।

এরপর, ডোনাল্ড ট্রাম্প তার পুরো চার বছরের ক্ষমতাকালে নেতানিয়াহু এবং ইসরায়েলি ডানপন্থীদের সাথে ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখেন। তিনি ফিলিস্তিনিদের মানবিক সাহায্য বন্ধ করে দেন। মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুসালেমে নিয়ে আসেন। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন আপোষ মীমাংসায় ফিলিস্তিনিদের পুরোপুরি অবজ্ঞা করেছেন।

এসব কারণে এমনকি মধ্যপন্থী অনেক ডেমোক্র্যাটও ফিলিস্তিনি ইস্যুতে তাদের পুরনো অবস্থান পুনর্বিবেচনা করতে শুরু করেছেন।

মি যগবি বলেন, এই প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে কারণ, তার মতে, ইসরায়েলি স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করেও মি ট্রাম্প ইহুদি ভোটারদের কাছে থেকে তেমন সমর্থন আদায় করতে পারেননি। “তিনি মিথ্যা আশা করে বসেছিলেন,” মি যগবি বলেন, “আমেরিকার ইহুদিরা মূলত উদারমনা এবং প্রগতিশীল একটি সম্প্রদায়।”


সনাতনী ধরার বাইডেন

ওয়াশিংটনে কংগ্রেসর ভেতর ইসরায়েল নিয়ে ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে বিতর্কের গতিধারায় বেশ কিছুদিন ধরে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে , কিন্তু হোয়াইট হাউজের কাজে তার ছিটেফোঁটা প্রতিফলন সবে দেখা দিতে শুরু করেছে।

সেনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা চাক শুমারের মত ঘোরতর ইসরায়েলি সমর্থকও যখন যুদ্ধবিরতির কথা বলেছেন, মি বাইডেন তখনও চুপ ছিলেন। যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাবও আটকে দেয় হোয়াইট হাউজ।

মি বাইডেনের সাথে মি নেতানিয়াহুর প্রথম টেলিফোন আলাপ নিয়ে যে বিবৃতি দেয়া হয়, তাতে ইসরায়েলের বিন্দুমাত্র সমালোচনা ছিলনা, বরঞ্চ ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারের কথাই তুলে ধরা হয়। এবং এই সংঘাত শুরুর ঠিক আগেই ইসরায়েলকে প্রায় ৭৪ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির এক চুক্তি অনুমোদন করেন মি বাইডেন।

সন্দেহ নেই মি বাইডেন একটি সরু দড়ির ওপর হাঁটছেন।

কংগ্রেসে তার গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনাগুলো পাশ করাতে দলের বামপন্থী অংশের সমর্থন তার জন্য জরুরি। এখন পর্যন্ত দলের এই অংশটি প্রেসিডেন্টকে সমর্থন করছে, কিন্তু ইসরায়েলের যে আচরণকে তারা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হিসাবে দেখে সেগুলোকে যদি প্রেসিডেন্ট পাত্তা না দেন তাহলে তাকে ত্যাগ করতে তারা দ্বিধা-বোধ করবে না।

“আমরা বেশ কিছুদিন ধরেই আমেরিকাতে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন ক্রমাগত বাড়তে দেখছি। কিন্তু এটি তত বড় কোনো ইস্যু হয়নি,” বলেন মি যগবি। “কিন্তু এখন এটি বড় ইস্যু হয়ে উঠছে, বিশেষ করে ডেমোক্র্যাট শিবিরে। এবং এর পেছনে শক্তি হচেছ অশ্বেতাঙ্গ এবং তরুণ প্রজন্মের ভোটাররা এবং দলের প্রগতিশীল অংশ।”

বিদেশ নীতিতে, বিশেষ করে আমেরিকার মধ্যপ্রাচ্য নীতিতে, জনমতের এই প্রতিফলন এখনো তেমন নেই । মি বাইডেন এখনও বিষয়টিকে ততটা গ্রাহ্য করছেন না। কিন্তু ডেমোক্র্যাট শিবিরের ইসরায়েলি সমর্থকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছেন। তারা ভয় পাচ্ছেন, বহু বছর ধরে জনকল্যাণের ইস্যুতে মি বাইডেনের যে গ্রহণযোগ্যতা তা নড়বড়ে হয়ে যেতে পারে।

রাজনীতিকরা তদের সমর্থকদের বেশিদিন অবজ্ঞা করে টিকে থাকতে পারেন না।

বিবিসি বাংলা



 

Show all comments
  • শওকত আকবর ২২ মে, ২০২১, ১২:২৭ পিএম says : 0
    মর্মে মর্মে উপলব্দি করেছেন যে সত্যিই ফিলিস্থিনীদের উপর অন্যায় ভাবে হামলা করা হয়েছে।ইসরাইল খ্খমার অযোগ্য অন্যায় হামলা করেছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Abu Sufian Mia ২২ মে, ২০২১, ৪:০৫ পিএম says : 0
    পরিস্থিতি যে দিকে যাচ্ছে তাতে আমেরিকা আর বেশিদিন ইসরাইলকে অনৈতিক সমর্থন দিতে পারবেনা । এরকম চলতে থাকলে ইসরাইল রাস্ট বিলুপ্ত হতে বেশিদিন লাগবেনা কারন ঐ রাস্টের ইয়াহুদি নাগরিকরা নিরাপত্তার জন্য পুনরায় ইউরোপে ফিরে আসবে ।
    Total Reply(0) Reply
  • Monir Ahmed ২২ মে, ২০২১, ৪:০৫ পিএম says : 0
    আগামী বিশ বছর পর ইসরায়েল বলতে কোনো রাষ্ট্র থাকবে না, ইনশা আল্লাহ
    Total Reply(0) Reply
  • Rysul Islam Noman ২২ মে, ২০২১, ৪:১১ পিএম says : 0
    অবশ্যই বাইডেন প্রশাসন দুই রাস্ট্র নীতিতে চলমান সমস্যা সমাধানে ভুমিকা রাখবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Ziaur Rahman Zia ২২ মে, ২০২১, ৪:১১ পিএম says : 0
    পশ্চিমারা বলে বেড়ায় আমরা মানবতার জন্য কাজ করি, অথচ এরাই মানবতার শত্রু
    Total Reply(0) Reply
  • S. M. Asaduzzaman ২২ মে, ২০২১, ৪:১২ পিএম says : 0
    সারাবিশ্বের যেকোন বিবেকবান মানুষ ফিলিস্তিনকে সমর্থন করবে। ইসরায়েলের বর্বর মানবতাবিরোধী হামলাকে ঘৃণা করবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Kazi S. Rahman ২২ মে, ২০২১, ৪:১৩ পিএম says : 0
    এটা বেশ পরিষ্কার যে আমেরিকানরা তাদের দীর্ঘদিনের অন্ধত্ব আর এক চোখা নীতি থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। সত্য ও ন্যায়ের জয় হবেই, সেদিন আর দূরে নয়।
    Total Reply(0) Reply
  • Engr Rashed Hasan ২২ মে, ২০২১, ৪:১৩ পিএম says : 0
    ইসরায়েল রাষ্ট্র নামক নিয়ন্ত্রণ অংশকে বিশ্বে সন্ত্রাস তৈরির কেন্দ্র বিন্দু বললে কম বলা হবে। বিশ্বে যত সন্ত্রাসী কার্যক্রম ঘটে সব পরিকল্পনা করা হয় ইসরায়েল নামক নিরাপদ জায়গায় বসে।
    Total Reply(0) Reply
  • Dadhack ২২ মে, ২০২১, ৫:২২ পিএম says : 0
    These women's are playing games with Allah. Allah made Hizb Fard and they are disregard the command of Allah where as Allah created them from a drop of an atomic despise water. Many a time Allah warned those who take their religion as a mere play and Joke. Surah:6: Al-An’am: Ayat:51: “And warn therewith (The Qur’an) those who fear that they will be gathered before their Lord, when there will be neither a protector nor an intercessor for them besides Him, so that they may fear Allah and keep their duty to Him (by abstaining from committing sins and by doing all kinds of good deeds which He has ordained) ” Surah:6: Al-An’am: Ayat:51: “” Surah:Ta-Ha:20: Ayat:124: “But whosoever turns away from My Reminder [i.e. neither believes in this Qur’an nor acts on its teachings.] verily, for him is a life of hardship, and We shall raise him up blind on the Day of Resurrection” Surah:Ta-Ha:20: Ayat:126: “(Allah) say: “Like this: Our Ayat (proofs, evidences, verses, lessons, signs, revelations, etc.) came unto you, but you disregarded them (i.e. you left them, did not think deeply in them, and you turned away from them), and so this Day, you will be neglected (in the Hell-Fire, away from Allah’s Mercy.)”
    Total Reply(0) Reply
  • হাবিব ২২ মে, ২০২১, ৯:০৩ পিএম says : 0
    আমেরিকায় যতদিন যাবত কৃষাঙ্গ জাতি পুরোপুরি বর্ণবাদ মুক্ত না হবে। ততদিন যাবত ইসরায়েল নীতি বলয় থাকবে। তবে ডেমোক্র্যাটরা একটু উদার মনমানসিকতা থাকার কারনে, ইসরায়েল নীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ