Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নতুন আতঙ্ক ব্ল্যাক ফাঙ্গাস

বাংলাদেশের বারডেমে মারা গেছে এক রোগী স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সতর্কতা অবলম্বন না করলে পরিণতি হবে ভয়াবহ ভারতের ৫ রাজ্যে মহামারি ঘোষণা, ১৫টি রাজ্যে ছড়িয়েছে সংক্রমণ ‘অরক্ষিত সীমান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ মে, ২০২১, ১২:০২ এএম

করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের ভীতির মধ্যেই নতুন করে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। ভারতে সৃষ্ট এই ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়ে দেশটির পাঁচ রাজ্যে মারা গেছে কয়েকশ’ মানুষ। আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ১০ হাজার মানুষ। এরইমধ্যে তামিলনাড়ু, গুজরাট, উড়িষ্যা, রাজস্থান, তেলেঙ্গানা রাজ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গেও হানা দিয়েছে বাতাসে ছড়িয়ে পড়া ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করা দুজন বাংলাদেশি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছে। এদের একজন চার দিন আগে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে মারা গেছে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে মৃত্যুর খবর তিন দিন পর গতকাল মঙ্গলবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃত্যুর খবর স্বীকার করে বলেছে, ‘পরীক্ষা-নিরীক্ষায় দেখা গেছে, ওই রোগী ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত ছিলেন’।

ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের আরো একজন রোগী এখনো বারডেম হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও আরেকজন পালিয়ে গেছেন। ভারতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের পাশাপাশি ‘হোয়াইট ফাঙ্গাস’ ও ‘ইয়েলো ফ্যাঙ্গাসে’র সংক্রমণ ধরা পড়েছে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ায় সর্বোত্রই এ নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেগুলো প্রকাশ করছেন মানুষ।

ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে বাংলাদেশে একজনের মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তবে তিনি গতকাল ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, ‘ভারতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের যে সংক্রমণ হচ্ছে, বাংলাদেশেও এটি শনাক্ত হয়েছে।

আমাদের আগে থেকেই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। আতঙ্কের কিছু নেই। আমাদের আগে থেকেই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। এরমধ্যেই ওষুধ কোম্পানিগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এর চিকিৎসায় যেসব ওষুধ প্রয়োজন হয় তারা যেন তৈরি করে রাখে।’ স্বাস্থ্যমন্ত্রী আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিলেও বিশেষজ্ঞরা আতঙ্কের কথাই বলছেন। তারা বলছেন, সীমান্ত দিয়ে এখনো মানুষ আসা যাওয়া করছে। তাদের যথাযথ কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে না। ট্রাক ড্রাইভাররা অবাধে মালামাল নিয়ে ভারতে আসা যাওয়া করছেন। এগুলো বন্ধ করতে না পারলে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের পাশাপাশি ভারতীয় ব্ল্যাক ফাঙ্গাসও ছড়িয়ে পড়বে বাংলাদেশে। করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ঠেকাতে গত ২৬ এপ্রিল দু’দেশের সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হয়। তিন দফায় ‘সীমান্ত বন্ধ’ সিদ্ধান্ত বাড়িয়ে দেয়া হয়। ৩১ মে পর্যন্ত সীমান্ত বন্ধ থাকবে। কাগজে-কলমে সীমান্ত বন্ধের এই নির্দেশনা জারি করা হলেও প্রতিদিন ভারত থেকে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে মানুষ আসছেন। সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে যারা আসছেন তাদের অনেকের শরীরে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের পাশাপাশি ব্ল্যাক ফাঙ্গাস শনাক্ত করা হয়। এ ছাড়াও মালামাল নিয়ে যেসব ট্রাক সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাতায়াত করছে; সেগুলোর ড্রাইভারদের কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা থাকলেও বাস্তবে মানা হচ্ছে না। ভারত ঘুরে যেসব বাংলাদেশি ট্রাক ড্রাইভার সাতক্ষীরার ভোমরা, যশোরের বেনাপোল, দিনাজপুরের হিলি, পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা, লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থল বন্দরে প্রবেশ করছেন, তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখার নির্দেশনার বাস্তবায়ন নেই। এতে করে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের পাশাপাশি বাংলাদেশে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কার সৃষ্টি হচ্ছে।

স্থলবন্দরের পরিস্থিতি জানতে চাইলে ভোমরা শুল্ক স্টেশনের দায়িত্বরত কাস্টমসের বিভাগীয় সহকারী কমিশনার আমীর মামুন জানান, বাংলাদেশ থেকে যেসব ট্রাক ড্রাইভার বা হেলপার ভারতে গিয়ে পুনরায় ভোমরা বন্দরে ফিরে আসছেন, তাদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে রাখার সিদ্ধান্ত থাকলেও অদ্যাবধি তা মানা হচ্ছে না। ফলে এসব ড্রাইভার বা হেলপার স্বাস্থ্যবিধি না মেনে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করায় বন্দরের সঙ্গে যারা সংশ্লিষ্ট তারা সবাই স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে ফেলছেন। জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান ডা. মো. শহিদুল্লাহ বলেন, ভারতে যে ইন্ডাস্ট্রিয়াল অক্সিজেন ব্যবহার করা হয়েছে সেখান থেকে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ছাড়াতে পারে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সুস্থ সবল মানুষের ক্ষতি করতে পারে না। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের ক্ষতি করে। তবে এটা এখন প্রায় নিশ্চিত যে মাটি এবং গাছপালা থেকে ছাড়ায়। এখনোই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট এবং ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ঠেকাতে সীমান্তগুলো বন্ধ রাখা উচিত।

মূলত ভারতের গুজরাটে কয়েক মাস আগে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস শনাক্ত হয়। অতঃপর ভারতের গুজরাট ও মহারাষ্ট্র থেকে বিভিন্ন রাজ্যে ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের পাশাপাশি দৈনিক ইনকিলাবেও কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ইনকিলাবে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোতে সীমান্তে কড়াকড়ির পাশাপাশি ভারতীয় ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ঠেকানোর প্রয়োজনীয় উদ্যোগের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ তুলে ধরা হয়। তারপরও সীমান্ত বন্ধের ঘোষণা দিয়ে ‘অরক্ষিত’ রাখা হয়। অতঃপর গত ২৩ মে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন করে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র নাজমুল ইসলাম জানান, ভারতে ছড়িয়ে পড়া নতুন রোগ ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ ঠেকাতে ও নিয়ন্ত্রণে গাইডলাইন দেয়া হবে। বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসা কেমন হবে, ব্যবস্থাপনা কেমন হবে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন দেয়া হবে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ঠেকাতে বাংলাদেশ কী ভাবছে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র নাজমুল ইসলাম বলেন, আমরা সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই, এ বিষয়টি নিয়ে করোনাবিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি যেটি আছে তারা নিজেরা আলাপ-আলোচনা করেছেন। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা নিজেরা কথা বলেছি। আমরা বিভিন্ন জেলাগুলোতে সতর্কবার্তা পাঠিয়েছি। আনুষ্ঠানিকভাবে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসা কেমন হবে, ব্যবস্থাপনা কেমন হবে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন আমরা দেব।

জানতে চাইলে বিএসএমইউ’র সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, স্টেরয়েড রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়, ফলে রোগী ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হন। এ জন্য গাইডলাইন করতে হবে। এটা হবে সবার জন্য। সাধারণ মানুষ, রোগী এবং চিকিৎসক সবার জন্য। যাতে কীভাবে সতর্ক থাকা যায়, আক্রান্ত হলে কী করতে হবে, চিকিৎসা কেমন হবে সবকিছু তাতে থাকবে।

এদিকে ভারতের গুজরাট ও মহারাষ্ট্রে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। পশ্চিমবঙ্গে এই রোগ গুজরাট থেকে এসেছে জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে কয়েকজন ফাঙ্গাস রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে। একজন কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন। ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা, দিল্লিতে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভারতের গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, গোটা ভারতজুড়েই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণের বিষয়টি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। অন্তত ১৫টি রাজ্যে শত শত মানুষের এই রোগ ধরা পরেছে। ফলে দেশটির ২৯টি রাজ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারি ঘোষণা করা হচ্ছে। এই ফাঙ্গাসের ভয়াবহতা বুঝতে পেরে দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে এরইমধ্যে এই রোগের জন্য হাসপাতালগুলোতে আলাদা ওয়ার্ড খোলা হয়েছে। এসব ওয়ার্ড দ্রুত ভরে উঠছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভাইরাসের কোনো সীমান্ত ভাবনা নেই। বাতাস যেদিকে যায়, ভাইরাস সেদিকে ছড়ায়। এ ছাড়া মানুষের মাধ্যমেও ভাইরাস ছড়ায়, অতএব করোনারমধ্যেই ভারতের ব্ল্যাক ফাঙ্গাস প্রতিবেশী বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেশি। তারা বলেন, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বহনকারী ছত্রাক বাতাসে উড়ে বেড়াতে সক্ষম। সাধারণ মানুষ তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দিয়ে এই ছত্রাক সংক্রমণকে প্রতিরোধ করতে পারে। কিন্তু করোনা আক্রান্ত বা করোনা থেকে সুস্থ হওয়া কারও শরীরে কিংবা যাদের ডায়াবেটিস, ক্যান্সার আছে তাদের শরীরে খুব সহজেই এই ছত্রাক আক্রমণ করছে। নাক, কান, গলা ইত্যাদির ভেতর দিয়ে সহজেই দুর্বল মানুষের শরীরে এই সংক্রমণ ঘটছে।

জানতে চাইলে বারডেম হাসপাতালের রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক এম দেলোয়ার হোসেন বলেন, যাদের অনিয়ন্ত্রিত ডায়বেটিস থাকে তাদের মধ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেশি। আবার স্টেরয়েড গ্রহণ করা কোনো কোনো ব্যক্তিও এতে আক্রান্ত হতে পারেন। বারডেমে যে ব্লাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত রোগী মারা গেছেন তিনি ভারত ফেরত। তিনি কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছিলেন। মিউকোরমাইকোসিস নতুন কোনো ছত্রাক নয়। এই ছত্রাক পরিবেশেই আছে। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম এমন ব্যক্তিদের এই ছত্রাকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। জানা যায়, ভারতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের বিপদ ঘিরে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানী মহল বহুদিন আগেই সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন। করোনার মতোই সেই সতর্কতা বার্তাকে পাত্তাই দেয়নি ভারত সরকার। আন্তর্জাতিক সীমান্ত অঞ্চলগুলোতে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করে এই রোগ যাতে প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশে ছড়াতে না পারে তার জন্যও ভারত সরকার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থাও কার্যত তেমনি। সীমান্ত বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হলেও প্রতিদিন সীমান্ত দিয়ে মানুষ বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। যারা প্রবেশ করছেন তাদের অধিকাংশই কোয়ারেন্টিন মানছেন না। সরকারের দায়িত্বশীলদের মধ্যে এ নিয়ে কঠোরতা দেখা যাচ্ছে না। জানতে চাইলে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ব্যাপারে সতর্কতার বিকল্প নেই। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শকে বিবেচনায় নিতে হবে। না হলে এ ধরনের ফাঙ্গাল ইনফেকশন ভবিষ্যতে বড় আকারের সমস্যায় রূপ নেয়ার আশংকা আছে। আইসিইউতে রোগীদের অনেক সময় স্টেরয়েড দিতে হয়, কিংবা এর আগেও চিকিৎসক এটি ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা বোধ করতে পারেন। কিন্তু সমস্যা হলো এই স্টেরয়েডই পরে ফাঙ্গাস ইনফেকশন বা ছত্রাক সংক্রমণের কারণ হতে পারে।

দেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত অঞ্চলের ভারতীয় অংশে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো এতোই দুর্বল যে সীমান্তে যদি একজন মানুষ ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হন; তাহলে খুব সহজেই বাতাসের মাধ্যমে সেই ছত্রাক ঢিল ছোড়া দূরত্বে থাকা বাংলাদেশের মানুষের শরীরেও সংক্রমণ ঘটাবে। সীমান্তবর্তী অঞ্চলে যাতে এই রোগ কোনো অবস্থাতেই না ছড়ায়, সে জন্যে ভারত সরকার এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকার কোনো স্বাস্থ্য পরিকাঠামোই তৈরি করেনি। অতএব, বাংলাদেশের এখনোই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।



 

Show all comments
  • গ্রিন রবি ২৬ মে, ২০২১, ৩:৫৫ এএম says : 0
    তবে এটা পরিস্কার যে এই ভাইরেসের জন্য ভ্যাক্সসিন সম্পূর্ণ অনিরাপদ এবং অকার্যকর।
    Total Reply(0) Reply
  • Md. Mofazzal Hossain ২৬ মে, ২০২১, ৩:৫৬ এএম says : 0
    পৃথিবী আর কখনও মহামারী শূন্য হবে না এখন একটার পর একটার সাথে লড়তে হবে
    Total Reply(0) Reply
  • Md Faruque Ahmed ২৬ মে, ২০২১, ৩:৫৬ এএম says : 0
    একেই বলে মরার উপর খারার ঘা।একদিকে করোনা,অন্যদিকে ব্লাক ফাঙ্গাস- হোয়াইট ফাঙ্গাস, আরেকদিকে সাইক্লোন -সত্যি ভীষণ বাজে সময় পার করছে
    Total Reply(0) Reply
  • Abdul Kader Abdul Kader ২৬ মে, ২০২১, ৩:৫৭ এএম says : 0
    আল্লাহ পারেন সব কিচু করিতে, তাই এক মাত্র আল্লাহ আমাদের রব তিনিই আমাদের রহ্মা করিবেন,ইনশাআল্লাহ
    Total Reply(0) Reply
  • Manas Ghosh ২৬ মে, ২০২১, ৩:৫৭ এএম says : 0
    ধীরে ধীরে একটু একটু করে আমরা প্রকৃতির প্রতিশোধে অংশ নিতে যাচ্ছি
    Total Reply(0) Reply
  • Md Shahed Sorder ২৬ মে, ২০২১, ৩:৫৮ এএম says : 0
    ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ভয়ে আমরা আতঙ্কিত নই মাফিয়া ফাঙ্গাসের হাত থেকে জাতি মুক্তি চায়
    Total Reply(0) Reply
  • Md Asmaul ২৬ মে, ২০২১, ৩:৫৮ এএম says : 0
    এক করোনার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্টান বন্ধ অনেক দিন আবার নাকি ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ।
    Total Reply(0) Reply
  • Abu Salam Abu Salam ২৬ মে, ২০২১, ৩:৫৯ এএম says : 0
    আরো কতো রকম গজব আসবে কারন আমরা আললাহর কোরআনের সাথে যুদ্ধ শুরু করেছি আলেমরা কোরআনের কথা বললে মোনাফেকরা তাদের গ্রেপ্তার করে জুলুম করে আর আমরা চুপ থাকি মরার থেকে বাচতে আসলে কি আমরা মৃত্যু থেকে বাচতে পারবো না আমরা যাই করি মরতে আমাদের হবে মৃত্যু যেমন সত্য তেমন সত্য কাল কেয়ামতের দিন আমাকে আপনাকে এই চুপ থাকার জবাব নিবে
    Total Reply(0) Reply
  • Robi Rahman ২৬ মে, ২০২১, ৩:৫৯ এএম says : 6
    হে আল্লাহ আপনি আমাদের সবাই কে হেফাজত করুন আমিন।
    Total Reply(0) Reply
  • Bablu Bablu ২৬ মে, ২০২১, ৪:০০ এএম says : 3
    অনেক দেরীতে প্রভু দেশের সীমান্ত বন্ধ করা হয়েছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Ahmed Moha ২৬ মে, ২০২১, ১২:০৫ পিএম says : 0
    Ata niya helafela korben Na sobai mask poron gethring ariya cholon .
    Total Reply(0) Reply
  • Sheikh Azizul Islam ২৬ মে, ২০২১, ১২:০৬ পিএম says : 0
    মানুষ কে কিভাবে সচেতন করা যায় তাই প্রচার করেন। জাতে মানুষ সাহস পায়
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ