Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

প্রতিরক্ষা বাহিনী গঠন করেছে মিয়ানমারের ছায়া সরকার

মহামারির চাপে ভেঙে পড়ছে মিয়ানমারের স্বাস্থ্যসেবা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩১ মে, ২০২১, ১২:০১ এএম

মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তার বিপক্ষে গঠিত বেসামিরক ছায়া সরকার নতুন প্রতিরক্ষা বাহিনী গঠন করেছে। এই বাহিনীর প্রথম ইউনিটের নিয়োগ শেষ হয়েছে বলে একটি ভিডিওতে জানানো হয়েছে। গত পহেলা ফেব্রæয়ারি মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। ভারত সীমান্তে আশ্রয় নেওয়া ক্ষমতাচ্যুত দল এনএলডিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারা সেনা সরকারের পাল্টা বেসামরিক সরকার গঠন করেন। ওই সময় তারা জানিয়েছিলেন, তারা সেনাবাহিনীকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পিপলস ডিফেন্স ফোর্স নামে সামরিক বাহিনী গঠন করবেন। শনিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শুক্রবার ছায়া সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয় মনের নামে একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়। এতে সেনাদের ব্যাচ পরাতে দেখা গেছে। অনুষ্ঠানে অজ্ঞাতনামা এক কর্মকর্তাকে বলতে শোনা গেছে, ‘বেসামরিক সরকারের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে এই সেনাবাহিনী গঠন করা হলো। পিপলস ডিফেন্স ফোর্স অবশ্যই জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবে এবং জনগণকে রক্ষা করবে। আমরা অবশ্যই এই যুদ্ধে জয়ী হবো।’ ভিডিওতে দেখা গেছে, প্রায় ১০০ যোদ্ধা বনের কর্দমাক্ত ফাঁকা জায়গায় মার্চ করছে। এই যোদ্ধাদের গায়ে নতুন ইউনিফর্ম এবং তাদের পেছনে লাল ও সাদা তারকা খচিত পতাকা ছিল। তবে মার্চপাস্টের সময় তাদেরকে অস্ত্র বহন করতে দেখা যায়নি। অপর এক খবরে বলা হয়, শ্বাস নিতে পারছে না, জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে শরীর, রোগীদের বাঁচিয়ে রাখতে পর্যাপ্ত অক্সিজেনের সরবরাহ নেই- ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকায় মিয়ানমারের একটি হাসপাতালের এমন ছবিই বলছে, ভেঙে পড়ার মুখে দেশটির স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফেব্রæয়ারির শুরুতে সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে নতুন রোগীর চাপ সামলাতে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের। ভারতের সীমান্তবর্তী চিকায় একটি হাসপাতালে সাত জন কোভিড-১৯ রোগীর সেবায় নিয়োজিত প্রধান নার্স লুন জা এনকে সহায়তার জন্য তার পাশে আছেন শুধু একজন ল্যাব টেকনিশিয়ান এবং একজন ফার্মেসি অ্যাসিসটেন্ট। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা রোগীদের সান্ত¡নার বাণী আর প্যারাসিটামল দিচ্ছেন। দশ হাজার বাসিন্দার ওই শহরের লুন জা এন (৪৫) রয়টার্সকে বলেন, “আমাদের কাছে পর্যাপ্ত অক্সিজেন, চিকিৎসা সরঞ্জাম, বিদ্যুৎ, চিকিৎসক বা অ্যাম্বুলেন্স নেই। হাসপাতলে ১১ জনের জায়গায় মাত্র তিন জন কর্মী কাজ করছি।” বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা যাচ্ছে, আন্দোলনে অংশ নেওয়া অন্তত ১৩ চিকিৎসাকর্মী নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে বা দমন অভিযানে নিহত হয়েছেন। এছাড়া স্বাস্থ্যকর্মী, স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র ও স্বাস্থসেবা পরিবহন ব্যবহার ওপর এ পর্যন্ত ১৭৯ বার হামলা চালিয়েছে বাহিনী। ডবিøউএইচওর মিয়ারমারের প্রতিনিধি স্টেফান পল জোস্ত জানিয়েছেন, এ বছর বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যসেবা খাতের ওপর যতগুলো হামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে, তার প্রায় অর্ধেকই ঘটেছে দক্ষিণ-প‚র্ব এশিয়ার দেশটিতে। রয়টার্স।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মায়ানমার

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ