Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই’

দেশে যুক্তরাজ্য, সাউথ আফ্রিকা, নাইজেরিয়া ও ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট আছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩১ মে, ২০২১, ১২:০৫ এএম

মিউকরমাইকোসিস (ব্ল্যাক ফাঙ্গাস) নতুন কোনো রোগ নয়। এটি বাংলাদেশে এবং আশে পাশের দেশে আগেও ছিল, এখনো আছে। আমাদের মিউকরমাইকোসিস নিয়ে অনেক বেশি ভয়ের কোনো কারণ নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র মো. রোবেদ আমিন। গতকাল রোববার দুপুরে ভার্চুয়াল বিফ্রিংয়ে তিনি এ কথা জানান। এ সময় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন জানান, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ২৭টি ইউকে ভ্যারিয়েন্ট, ৮৫টি সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট, পাঁচটি নাইজেরিয়ান ভ্যারিয়েন্ট এবং ২৩টি ইন্ডিয়ার ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে।

রোবেদ আমিন বলেন, মিউকরমাইকোসিস নিয়ে সম্প্রতি খুব আলোচনা হচ্ছে। কালো ছত্রাক বা বিভিন্ন রঙের কথা বলা হচ্ছে। এটি দেখতে আসলে কালো না, মূলত রঙহীন, অনেক ক্ষেত্রে ধূসর। আরও অনেক ফাঙ্গাস আছে যা ব্ল্যাক নামেই থাকতে পারে। মিউকরমাইকোসিস শরীরের বিভিন্ন স্থানে হতে পারে। এটি নতুন কোনো রোগ নয়। এটি বাংলাদেশে এবং আশে পাশের দেশে আগেও ছিল, এখনো আছে। আমাদের পরিবেশেই আছে। সবজি পচে গেলে, খাদ্য পচে গেলে ফাঙ্গাস হতে পারে। হাসপাতালের বেডে হতে পারে। অক্সিজেন সাপ্লাইস সিস্টেমে হতে পারে। যেসব ওষুধ আছে, সেগুলোর বোতলে হতে পারে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই মুখপাত্র আরো বলেন, আমাদের মিউকরমাইকোসিস নিয়ে অনেক বেশি ভয়ের কোনো কারণ নেই। ভারতীয় অংশে আমরা দেখেছি এই ইস্যুতে সেখানকার পরিবেশ ও হাসপাতালে যে অবস্থা ছিল, তাদের রোগীদের সেবায় স্টেরয়েড ব্যবহার, অক্সিজেন সাপ্লাই দেওয়ার ক্ষেত্রে যে তারতম্য সেসব বিভিন্ন কারণে ভারতে এই পরিমাণ ছড়িয়েছে। বাংলাদেশে কিছু কিছু রোগী আগেও ধরা পড়েছে, এখনো পড়ছে। আমরা মিউকরমাইকোসিসে মাত্র একটা রোগী হারিয়েছি। অন্যান্য যারা তারা চিকিৎসাধীন এবং তাদের অবস্থা তুলনামূলক ভালো।

রোবেদ আমিন বলেন, মিউকরমাইকোসিসকে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে। যেসব রোগী ডায়াবেটিস, ক্যানসার বিশেষত ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত, যারা কেমো পাচ্ছেন, দীর্ঘ মেয়াদি স্টেরয়েড পাচ্ছেন এসব রোগীর ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। আশে পাশে যতই মিউকরমাইকোসিস থাকুক, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো থাকতে আক্রান্ত করতে পারবে না। শুধু মাস্ক পরলেই হবে না, সেটা যেন ঠিক মতো পরা হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। ব্যবহার শেষে যেন ঠিক জায়গায় ফেলে দেওয়া হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
আইইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন বলেন, দেশে এ যাবৎ ২৬৩টি সিকোয়েন্স করা হয়েছে। তার মধ্যে ২৭টি ইউকে ভ্যারিয়েন্ট, ৮৫টি সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট, পাঁচটি নাইজেরিয়ান ভ্যারিয়েন্ট এবং ২৩টি ইন্ডিয়ার ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। বি.১.৬.৭ এটি ভারত ফেরত এবং তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে পেয়েছি আমরা।

তবে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট নতুন কোনও বিষয় না মন্তব্য করে তিনি বলেন, যত রোগী শনাক্ত হবে, সংক্রমণ হবে, নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যাবে। সুতরাং ভ্যারিয়েন্ট যা-ই হোক না কেন, আমাদের স্বাস্থ্যাবিধি মেনে চলতে হবে। যার যখন সময় আসবে, তাকে টিকা নিতে হবে। এভাবে আমরা সংক্রমণ কমাতে পারবো। করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবো। তিনি আরো বলেন, এটা আমের মৌসুম। আম পচনশীলও। অনেক পরিবার আমের বাণিজ্যের ওপর নির্ভরশীল। তাই এই মৌসুমে আম কেনা-বেচা করতে হবে। সেক্ষেত্রে পরামর্শ থাকবে, স্বাস্থ্যাবিধি মেনে বাগান থেকে আম কেনা-বেচা নিশ্চিত করতে হবে। বাজারজাত করার ক্ষেত্রে স্বল্প পরিসরে খোলা জায়গায় বিক্রি করতে হবে। অনলাইন শপিংয়ে মাধ্যমে আম কেনা-বেচা নিশ্চিত করতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ব্ল্যাক ফাঙ্গাস


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ