Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শুল্ক অব্যাহতি নিয়ে ঐকমত্যের সুযোগ আছে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ জুন, ২০২১, ১২:০৪ এএম

স্বল্পমেয়াদে চীনা পণ্যে হয়তো শুল্ক মওকুফ বা প্রত্যাহার করবে না যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। তবে বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতি তাদের নিজেদের মধ্যকার উত্তেজনা প্রশমনে ঐকমত্যে পৌঁছার ভালো সুযোগ রয়েছে। এমনটাই মনে করছে চীনভিত্তিক থিংকট্যাংক চায়না ফাইন্যান্স ৪০ ফোরাম (সিএফ৪০)। খবর রয়টার্স। শনিবার চীনা থিংকট্যাংক সিএফ৪০ এক প্রতিবেদনে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের মুক্ত বাণিজ্যের সমর্থকরাও বলছেন, ওয়াশিংটনের উচিত চীনা পণ্যে শুল্ক হ্রাস করা এবং বাণিজ্য উত্তেজনা নিরসনে নতুন আলোচনা শুরু করা। থিংকট্যাংকটির সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন বিভিন্ন নীতিনির্ধারক, শিক্ষাবিদ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন বেইজিংয়ের সঙ্গে দফায় দফায় বাণিজ্য আলোচনা করলেও লক্ষণীয় কোনো ফল পায়নি। জো বাইডেন দায়িত্ব নেয়ার পরও চীনা পণ্যে পুরনো শুল্কনীতির হেরফের করেননি। ট্রাম্পের সঙ্গে পলিসিগত দিক থেকে বেশ ভিন্নমত থাকলেও বেইজিংকে চাপে রাখার ব্যাপারে বাইডেন একই পথের পথিক বলে মনে হচ্ছে। অবশ্য প্রলম্বিত মহামারীতে বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তের মতো যুক্তরাষ্ট্রের ওপরও চাপ বাড়ছে। ম‚ল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বেকারত্ব নিরসন এবং অর্থনীতিতে গতিশীলতা নিয়ে আসা এখন বড় চ্যালেঞ্জ। বৈশ্বিক অর্থনীতির পারস্পরিক সম্পর্কের কারণে শুল্ক বোঝা নিরসন করতে ওয়াশিংটনেরই বাধ্যবাধকতা রয়েছে। চলতি বছরের শেষের দিকে চীনের সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম ধাপের বাণিজ্য চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। বেইজিংয়ের সঙ্গে ভবিষ্যৎ বাণিজ্য সম্পর্ক কেমন হবে এবং কীভাবে বাণিজ্য আলোচনা এগোবে তা নিয়ে কাজ করছে বাইডেন প্রশাসন। চলতি বছরের শুরুতে ইউএস-চীন বিজনেস কাউন্সিলের (ইউএসসিবিসি) এক গবেষণায় দাবি করা হয়, চীনের সঙ্গে শুরু ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধের বলি হয়ে চাকরি হারিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় আড়াই লাখ কর্মী। চীনে ব্যবসারত প্রধান মার্কিন কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী ইউএসসিবিসি অক্সফোর্ড ইকোনমিকসের সমীক্ষার বরাত দিয়ে আরো জানায়, পৃথিবীর দুটি বৃহৎ অর্থনীতির বিচ্ছিন্নতার ফলে পাঁচ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধি সংকুচিত হতে পারে ১ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন ডলার পর্যন্ত, যে কারণে ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে চাকরি হারাতে পারেন ৭ লাখ ৩২ হাজার এবং ২০২৫ সালে ৩ লাখ ২০ হাজার। গবেষণায় বলা হয়, চীনের বাজারে রফতানির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ১২ লাখ কর্মীর জীবিকা নিশ্চিত হয়। এছাড়া চীনা বহুজাতিক কোম্পানিগুলোয় ১ লাখ ৯৭ হাজার মার্কিনকে নিয়োগ দেয়া হয়। ২০১৯ সালে চীনে ১০ হাজার ৫০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করে মার্কিন কোম্পানিগুলো। চলতি দশকে চীন যেখানে বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ প্রবৃদ্ধির ক্রীড়নক হতে যাচ্ছে, সেখানে অর্থনীতির চাকা সবল রাখতে চীনের বাজারে অবস্থান জরুরি যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের কোম্পানিগুলোর। রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ