Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শরণার্থী নীতির ভুল স্বীকার

প্রকাশের সময় : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১০:২০ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

ইনকিলাব ডেস্ক : জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মারকেল বার্লিনের রাজ্য নির্বাচনে নিজ দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টির (সিডিইউ) ভরাডুবির দায় মাথায় নিয়ে শরণার্থী নীতিতে তার ভুল স্বীকার করেছেন। তার নীতির কারণে দলের এমন পরাজয় হয়েছে স্বীকার করে নিয়ে এ ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন মারকেল। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, সময়কে যদি ফেরানো যেত তাহলে আমি আবার পেছনে ফিরে গিয়ে জার্মানিকে শরণার্থী সঙ্কট মোকাবিলায় আরো ভালোভাবে প্রস্তুত করে তুলতাম। ইউরোপে শরণার্থী সঙ্কটে জার্মানির দ্বার খোলা রেখেছিলেন মারকেল। ১০ লাখেরও বেশি শরণার্থী জার্মানিতে ঢুকেছে। শরণার্থীর এ সংখ্যা রেকর্ড গড়েছে। মারকেল বলেন, শরণার্থীদের জন্য তার এ দ্বার খোলা নীতি নির্বাচনের ফলকে প্রভাবিত করেছে। বিশ্লেষকরাও বলছেন, মারকেলের শরণার্থীদের অবাধে জার্মানিতে ঢুকতে দেয়ার নীতি মানুষের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে মারকেলের সুবিখ্যাত উক্তি ছিল আমরা পারব। কিন্তু এখন তিনি সে উক্তি থেকে সরে এসেছেন। জার্মানি বিপুলসংখ্যক শরণার্থী ঠিকমত সামাল দিতে পারেনি বলেই মানছেন তিনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বার্লিন রাজ্যে এবারই সিডিইউ দল সবচেয়ে খারাপ ফল করেছে। আগের বারের চেয়ে এবার চ্যান্সেলর মারকেলের দল ৫ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট কম পেয়েছে। রাজ্য সংসদে এবার ঢুকছে অভিবাসন ও শরণার্থীবিরোধী হিসেবে পরিচিত নতুন দল অলটারনেটিভ ফর জার্মানি বা (এএফডি)। জার্মানির ১৬টি আঞ্চলিক পার্লামেন্টের মধ্যে এখন ১০টিরই প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করেছে এএফডি।
ওদিকে, সিডিইউ বার্লিনের নির্বাচন নিয়ে টানা পাঁচটি রাজ্যের নির্বাচনে হারল। এর মাত্র দুই সপ্তাহ আগে অনুষ্ঠিত মেকলেনবুর্গ ফোয়রপমার্ন রাজ্যের নির্বাচনে এএফডির চেয়েও কম ভোট পেয়েছিল মারকেলের দল। আগামী বছর অনুষ্ঠেয় কেন্দ্রীয় নির্বাচনেও সিডিইউ ভালো করবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। শরণার্থী সঙ্কটের দিকে দৃষ্টি দিয়ে মারকেল তার অভিবাসন নীতি ভারসাম্যের দিক দিয়ে একেবারে সঠিক বলে যুক্তি দেখিয়েছেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত তিনি এটাই বোঝাতে চেয়েছেন যে, দীর্ঘ সময় ধরে জার্মানি শরণার্থীর বিষয়টিতে যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারেনি। মারকেল তার শরণার্থী নীতি আরো ভালোভাবে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা নেয়া দরকার মনে করছেন বলেও জানিয়েছেন। নির্বাচনে ভালো ফল করা এএফডির কো-চেয়ারম্যান বলেছেন, আগামী বছরের জাতীয় নির্বাচনের জন্য তার দলের অবস্থান শক্তিশালী হয়েছে। ২০১৭ সালের নির্বাচনকে আঙ্গেলা মারকেলের টিকে থাকার লড়াই হিসাবেই দেখছেন তিনি। আর রাজ্য নির্বাচনে একের পর এক মারকেলর দলের হারকে দেখা হচ্ছে মারকেল বিদ্বেষ হিসাবেই। এক মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো আঞ্চলিক ভোটে বিব্রতকর পরাজয়ের মুখে পড়েছে তার দল। দুটো ভোটের ফলকেই মারকেলের শরণার্থী নীতির বিরুদ্ধে জনগণের রায় হিসাবেই দেখা হচ্ছে। ওয়েবসাইট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শরণার্থী নীতির ভুল স্বীকার

২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ