Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ভারত কাশ্মীরে ৩৪ লাখ ভুয়া বসতির অনুমতি দিয়েছে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ জুন, ২০২১, ৫:৪৩ পিএম

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মির অঞ্চলে নয়াদিল্লি অকাশ্মিরিদের বসতি স্থাপনের লক্ষ্যে ৩৪ লাখ ভুয়া অনুমতি দিয়েছে। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জাহিদ হাফিজ চৌধুরী ইসলামাবাদে মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, ভারত দখল করা ভূমির জনসংখ্যার কাঠামো পরিবর্তনের নকশা অব্যাহত রেখেছে, যা চতুর্থ জেনেভা কনভেনশনসহ আন্তর্জাতিক সকল আইনের লঙ্ঘন। -ইয়েনি শাফাক

তিনি বলেন , কাশ্মিরিরা ইতোমধ্যেই গত ২২ মাস নজিরবিহীন সামরিক দখলদারিত্ব , যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা ও মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়ার অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গিয়েছেন । কাশ্মিরের স্বায়তশাসনে ভারতীয় সংবিধানের সংশ্লিষ্ট ধারা নয়াদিল্লির বিলুপ্ত করার দিকে ইঙ্গিত করে জাহিদ হাফিজ চৌধুরি বলেন , ' ভারতের ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট অবৈধ একতরফা পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে কাশ্মিরি জনগণের জীবন ও জীবিকা মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হয়েছে। ' ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় জনতা দলের ( বিজেপি ) নিয়ন্ত্রিত ভারতের কেন্দ্রীয় আইনসভা লোকসভায় কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার বিষয়ক সংবিধানের সংশ্লিষ্ট ৩৭০ ধারা বাতিল করা হয়। কেন্দ্রীয় সরকার ভারতীয় নিয়ন্ত্রণাধীন পুরো কাশ্মির অঞ্চলকে দুই ভাগ করে বিভক্ত অঞ্চলটির ওপর কেন্দ্রের শাসন চাপিয়ে দেয়া হয়।

নয়াদিল্লির এই উদ্যোগের পর পুরো অঞ্চলকে লকডাউনের আওতায় নিয়ে হাজার হাজার লোককে বন্দী , চলাচলে নিষেধাজ্ঞা ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা চালু করার অভিযোগ করছে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল । পাকিস্তানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব আরো বলেন , দখল করা ভূমিতে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের অংশ হিসেবে ভারত কাশ্মিরি নারীদের ধর্ষণ , নির্যাতন , অবমাননাকর আচরণ ও হত্যার শিকারে পরিণত করার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে । তিনি বলেন , অধিকৃত ভূমিতে ভারতের স্থূল ও নিয়মতান্ত্রিক মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং অপরাধীদের কাছ থেকে জবাবদিহিতা আদায় না হওয়ার বিষয়টি জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনসহ মানবাধিকার সংস্থা , বৈশ্বিক গণমাধ্যম ও সারাবিশ্বের নাগরিক সমাজ নজর রাখছেন ।

১৯৪৭ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতার পর থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মির নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। উভয়দেশই পুরো ভূখণ্ডটি নিজেদের দাবি করছে। ভূখণ্ডটির অধিকার নিয়ে দুই বার যুদ্ধে জড়িয়েছে উভয়দেশ । কাশ্মিরের অনেক বাসিন্দাই পাকিস্তানে সাথে যুক্ত হওয়া বা স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে সমর্থন করে আসছেন।



 

Show all comments
  • Dadhack ১১ জুন, ২০২১, ৬:০১ পিএম says : 1
    অতীতে মুসলিমরা যখন কোরআন দিয়ে দেশ শাসন করত তখন মুসলিমরা ছিল বিশ্বের সুপার পাওয়ার এবং কাফেররা মুসলমানদেরকে প্রচন্ড সম্মান করতো এবং প্রচন্ড যমের মত ভয় করত. এক মুসলমান নারীকে সিন্দুর রাজা দাহির অপমান করেছিল তার পরিপ্রেক্ষিতে হাজার হাজার মাইল দূর সৌদি আরব থেকে মাত্র 5 হাজার মুসলিম সেনা এসে 50000 রাজা দাহিরের সৈন্যর সাথে যুদ্ধ করে সিন্দুকে জয় করে নেয়. আর এখন মুসলিমরা কাফের আইন দিয়ে দেশ চালায় এবং নিজেদের ক্ষমতা রক্ষা করার জন্য মুসলমানদেরকে নিজের দেশের মুসলমানদেরকে গণহত্যা করে হত্যা, গুম করে করে. এইসব দেখে কাফেররা মুসলমানদেরকে আর ভয় করে না. সেইজন্য কাফেররা মুসলমানদের পরে অকথ্য অত্যাচার করছে, গণহত্যা চালাচ্ছে গণধর্ষণ করছে দেশ থেকে বিতাড়িত করছে, চায়নায় 10 লক্ষ উইগর মুসলমানদেরকে ডিটেনশন ক্যাম্পে রেখে জঘন্যতম অত্যাচার করছে মুসলিম নারীদেরকে জোর করে এবরশন করানো হচ্ছে রেপ করা হচ্ছে.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ