Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সেই গানের স্রষ্টা কে জি মোস্তফা

বিনোদন রিপোর্ট: | প্রকাশের সময় : ১৪ জুন, ২০২১, ১২:০৩ এএম

প্রখ্যাত গীতিকার সাংবাদিক কে জি মোস্তাফার এখন সময় কাটে এখন নীরবে-নিভৃতে। ৮৪ বছরের এই গুণী মানুষ শারিরীকভাবে ভাল আছেন। বাইরে খুব একটা যান না। এই প্রজন্মের অনেকেই তার সম্পর্কে অবগত নয়। গুণী এই মানুষটি অসংখ্য জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা। সিনেমা’র কালজয়ী এবং সর্বাধিক জনপ্রিয় দুই গান ‘তোমারে লেগেছে এতো যে ভালো চাঁদ বুঝি তা জানে’ এবং ‘আয়নাতে ঐ মুখ দেখবে যখন’-এর গীতিকার তিনি। প্রথম গানটি এহতেশাম পরিচালিত ‘রাজধানীর বুকে’ এবং দ্বিতীয় গানটি অশোক ঘোষ পরিচালিত ‘নাচের পুতুল’ সিনেমায় ব্যবহার করা হয়েছে। দু’টি গানের সুর করেছেন রবিন ঘোষ। প্রথম গানটি গেয়েছেন তালাত মাহমুদ। দ্বিতীয়টি গেয়েছেন মাহমুদুন্নবী। এ প্রজন্মের গান সম্পর্কে কে জি মোস্তফা বলেন, এই প্রজন্মের অনেক শিল্পীর গান শোনার সুযোগ হয়েছে। তবে তাদের গানের সুর যেমন দীর্ঘ সময় মনে গেঁথে থাকে না, তেমনি গানের কথায় কাব্যিকতার অভাব রয়েছে। শিল্পীদের মধ্যে অনেকের কণ্ঠ ভালো। তাদের কণ্ঠকে কাজে লাগাতে হবে, যেন তাদের কন্ঠের সুর দীর্ঘসময় আমাদের মনে গেঁথে থাকে। তিনি বলেন, গানের কথা ও সুর যদি মানুষকে না টানে, তবে হাজার গান করেও কোনো লাভ নেই। গভীর চিন্তার মধ্য দিয়ে যে গান সৃষ্টি হয়, তাই মানুষের মনে থাকে। এখন এ চিন্তার অভাব রয়েছে। ফলে ভাল গান খুব একটা হচ্ছে না। কিছু গান কানে বাজলেও তার স্থায়ী হচ্ছে না। তিনি বলেন, এ সময়ে যারা গান করেন, তাদেরকে গানের কথা, সুর ও সঙ্গীত নিয়ে অনেক ভাবতে হবে। তা নাহলে, ভাল গানের সংখ্যা বাড়বে না। কে জি মোস্তফা’র জন্ম ১৯৩৭ সালের ১ জুলাই নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে। ১৯৬০ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। দৈনিক ইত্তেহাদে ১৯৫৮ সালে শিক্ষানবীস হিসেবে সাংবাদিকতায় যোগ দেন তিনি। ১৯৭৬ সালে তিনি বিসিএস (তথ্য) ক্যাডারভুক্ত হন এবং চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের সহকারী সম্পাদক পদে যোগ দেন। ১৯৯৬ সালে সিনিয়র সম্পাদক (যুগ্ম সচিব পদমর্যাদা) হিসেবে অবসর নেন। অনেক সিনেমার সহকারী পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। রয়েছে বেশকিছু কাব্যগ্রন্থ, ছড়ার বই, গানের বই, গদ্যগ্রন্থ, গানের সিডি, ক্যাসেট। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সঙ্গীত বিভাগ কৃর্তক পদক ‘দেশবরেণ্য গীতিকার’পদক’সহ আরো বহু পদকে ভূষিত হয়েছেন তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ