Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

৪৮ ঘণ্টা পর ভাঙন পরিদর্শনে সচিব

ইনকিলাবে সংবাদ প্রকাশ

আনোয়ার জাহিদ, ফরিদপুর থেকে | প্রকাশের সময় : ২০ জুন, ২০২১, ১২:০১ এএম

পদ্মায় নদী ভাঙনের মুখে ৫০ পরিবার, হুমকিতে গোলডাঙ্গী ব্রিজসহ ২ স্কুল। শিরোনামে ইনকিলাবে সংবাদ প্রকাশ গত ১৬ জুন। সংবাদ প্রকাশের ৪৮ ঘণ্টা পর বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত সচিব আলোম আরা বেগম গত শুক্রবার সকাল ১০ ঘটিকায় নদী ভাঙন এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।
এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, ফরিদপুর পাউবোর সুপারেনটেন্ড ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ শাহীদুল আলম, পাউবোর ফরিদপুরের নির্বাহী প্রকৌশল সুলতান মাহমুদ, বিভাগীয় প্রকৌশলী অতুনু সরকার, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আলতাব হোসেন, ডিক্রির ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদি হাসান মিন্টু ফকির, নর্থচ্যানেল ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি আলহাজ মোফাজ্জেল হেসেনসহ স্থানীয় নদী ভাঙন কবলিত বহু মানুষ। এ সময় বাপাউবোর ফরিদপুর নির্বাহী প্রকৌশলী নদী ভাঙনসহ গোলডাঙ্গী ব্রিজের সামনে ভাঙনে জিওব্যাগ ফলোআপ করান এবং ব্রিজের উত্তর দিকে তীব্র ভাঙনের বিষয় অবগত করান।
সচিব সাহেব নিজ চোখে ভাঙনের স্থান দেখেন এবং আন্তরিকতার সাথে সব কথা শুনেন। ভাঙনের প্রথম স্থানটি ফরিদপুর সদর থানার ডিক্রিরচর ইউপি ও নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের মধ্যবর্তী স্থানটি গোলডাঙ্গী এলাকা। দু’টি ইউনিয়নের প্রায় ৫০ হাজার চরবাসীর শহর আসা যাওরার একমাত্র পথ গোলডাঙ্গী ব্রিজ। এই ব্রিজ থেকে নদী নতুন ভাঙনর ভয়বহতার দৃশ্য তথা গ্রাম দুটি মাত্র দুইশ শত গজ দূরে। এই ব্রিজ থেকে এক কিলোমিটার উত্তরে তথা শুকুর মৃধারডাঙ্গী, বাছেদ মোল্যার ডাঙ্গী নামক দুটি গ্রাম গত ১৪৪ ঘণ্টায় পদ্মা ভাঙনের কবলে পরে শুকুর আলীর গ্রামটি সম্পূর্ণ নদীতে এবং বাছেদের ডাঙ্গীর আংশিক গ্রাম নদী গর্ভে বিলিন হতে চলছে। ভাঙনের তীব্রতা এমনভাবে বেড়ে গেছে। যা ভয়াবহ রুপ ধারন করেছে। উল্লিখিত, গ্রাম দুটি নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের মধ্যে, এই ইউনিয়নের আ.লীগের সভাপতি মো. মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, আমাদের চোখের সামনে গত বছর আরো দুটি গ্রাম পদ্মার বুকে বিলিন হয়ে গেছে।
চরবাসীগণ বলেন, ফরিদপুর জেলা প্রশাসক সাহেব এবং সদর ইউএনও সাহেব আমাদের কষ্টের দৃশ্য যদি আমলে নেন এবং বাংলা ড্রেজার দিয়ে ভাঙনের পূর্ব পাশ থেকে পশ্চিম পাশের ডুবোচর কেটে বালু মাটি অপসারন করার ব্যবস্থা করেন, তা হলে ভাঙনের তীব্রতা থেকে কাইয়মুদ্দীন মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামটি রক্ষা হয়।
এই বিষয়ে ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাসুম রেজা বলেন, স্থানীয়রা তাদের কষ্টের কথা প্রকাশ করতে পারেন, তবে বাংলা ড্রেজারটা সম্পূর্ণই অবৈধ। জেলা প্রশাসক মহোদয় আছেন, তিনিই সকলের বিষয় দেখেন। তিনি ভাঙন ঠেকাতে বিআইডব্লিউটিসির ড্রেজার দিয়ে ডুবোচর কেটে বালু মাটি অপসারন ব্যবস্থা নিয়েছেন। ভাঙন ঠেকাতে জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দেয়া হয়েছে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়াও হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ