Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে রাস্তায় গাড়ি বের করলেই পুলিশকে চাঁদা দিতে হয়

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২১ জুন, ২০২১, ৬:২০ পিএম

কক্সবাজারের ঈদগাঁও ট্রাফিক পুলিশের বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে গাড়ির মালিকসহ সাধারণ মানুষ। অভিযোগ রয়েছে রাস্তায় গাড়ি বের করলেই পুলিশকে দিতে হয় চাঁদা । বৈধ কাগজ থাকলেও চাঁদা থেকে রক্ষা নেই। নিয়মিত চাঁদার টাকা না দিলে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয় চালক ও মালিকদের এসব অভিযোগ ওই এলাকার অহরহ চালকদের।

এভাবে ঈদগাঁয়ের প্রতিটি সড়কে চলাচলরত যানবাহন থেকে আদায় করা হয় কয়েক লাখ টাকার মাসিক চাঁদা। আর এই চাঁদা সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত রয়েছেন ট্রাফিক পুলিশের নিয়োজিত বেশ কয়েকজন সদস্য। ঈদগাঁও বাসস্টেশনসহ বিভিন্ন পয়েন্টে দাঁড়িয়ে তারা এই চাঁদার টাকা আদায় করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঈদগাঁও ট্রাফিক পুলিশে প্রায় ৮ মাস আগে যোগদান করেন ইন্সপেক্টর (টিআই) পলাশ চন্দ্র সাহা। তার সাথে রয়েছে আরো একজন সার্জেন্ট যদিও বা তিনি সম্প্রতি বদলী জনিত কারণে ঈদগাঁও থেকে উখিয়া চলে গেছে। সাথে আছে দুইজন কনস্টেবল।

জেলা ট্রাফিক পুলিশের বড় কর্তাদের নাম ভাঙিয়ে ঈদগাঁওয়ের বিভিন্ন পয়েন্টে দাঁড়িয়ে এবং পূর্ব নির্ধারিত স্থানে যানবাহন, গাড়ির মালিক চালকদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের মাসিক চাঁদা আদায় করে থাকেন তারা।

এদের মধ্যে বিভিন্ন কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানের গাড়িও রয়েছে। বৈধ কাগজপত্র থাকলেও ট্রাফিককে চাঁদা দিতে হবে এটা যেন রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। চাঁদা না দিলে নানাভাবে হয়রানি করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন কয়েকটি কোম্পানির লোকজন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঈদগাঁও লাইন পরিবহণ থেকে মাসিক ৪ হাজার,আলীরাজ পরিবহণ থেকে ৪ হাজার, বার আউলিয়া পরিবহণ থেকে ৩ হাজার, মাইক্রো-কার থেকে ৩ হাজার, মিনি পিক-আপ থেকে ২ হাজার, পিক-আপ থেকে ৩ হাজার, গোমাতলী সিএনজি থেকে ২ হাজার, ঈদগড় বাইশারী সড়কের সিএনজি থেকে ২ হাজার, আরকান সড়কের চলাচলরত মাহিন্দ্র থেকে ২ হাজার, ম্যাজিক গাড়ী থেকে ৩ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করা হয়।

বাসস্ট্যান্ডের লাইন নাপিত খালী নতুন অফিস লাইনে চলাচলরত টমটম থেকে ২ হাজার, ভোমরিয়া ঘোনা সড়কের টমটম থেকে ২ হাজার, গোমাতলী সড়ক থেকে ২ হাজার, ফরাজি পাড়া সিএনজি সমিতি থেকে ২ হাজার, টমটম লাইন থেকে ২ হাজার, মিনি টমটম থেকে দেড় হাজার, পানির ছড়া কালির ছড়া লাইনে চলাচলরত টমটম থেকে ২ হাজার টাকা, চৌফলদন্ডী সিএনজি সমিতি থেকে ২ হাজার, টমটম, দেড় হাজার, নাইক্যংদিয়া-মোহনভিলা সড়কের টমটম ও মিনি টমটম থেকে আড়াই হাজার টাকা টাকা চাঁদা আদায় করা হয় প্রতিমাসে। তাছাড়া রয়েছে
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বিভিন্ন কোম্পানির যানবাহন থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায়ের অভিযোগ।

উপরোক্ত বিষয়ে জানতে চাইলে, ঈদগাঁও ট্রাফিক ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর (টিআই) পলাশ চন্দ্র সাহা যানবাহন থেকে মাসিক চাঁদা আদায়ের ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, কেউ আপনাদের ভুল তথ্য দিয়েছে। যারা তার থেকে সুবিধা করতে পারে না তাঁরাই এসব বিভ্রান্তিকর তথ্যে দিয়ে অনৈতিক সুবিধা আদায়ের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানান তিনি। তবে বিগত ৮ মাসে টমটম, মোটর সাইকেল, সিএনজির ছাড়া অন্যান্য পরিবহনের বিরুদ্ধে কয়টি মামলা দিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কক্সবাজার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ