Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কোকা-কোলা বাংলাদেশে তৈরি : এসইআইএ রিপোর্ট

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ জুন, ২০২১, ৭:০৭ পিএম

দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় কোমল পানীয় কোম্পানি কোকা-কোলা বাংলাদেশ কেবলমাত্র ২০১৯ সালেই এদেশের অর্থনীতিতে প্রায় ১২.২ বিলিয়ন টাকার অবদান রেখেছে। প্রতিষ্ঠানটির আর্থ-সামাজিক প্রভাব বা সোসিও-ইকোনমিক ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট (এসইআইএ) রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে।

২০১৯ সালে কোকা-কোলা বাংলাদেশ সিস্টেমের মাধ্যমে গৃহস্থালী, ব্যবসায়ীক ও সরকারি আয়ে যুক্ত হওয়া এই আর্থিক অবদানের পরিমাণটি বাংলাদেশের মোট জিডিপির প্রায় ০.১১ শতাংশের সমান, যা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। কোকা-কোলা বাংলাদেশের এসইআইএ রিপোর্টে আরো দেখা গেছে যে, ভোক্তারা কোকা-কোলা ক্রয় বাবদ ১ টাকা খরচ করলে প্রায় ৮৫ পয়সাই স্থানীয় অর্থনীতিতে যোগ হয়।

২০১৯ সালে বাংলাদেশের আয় ও কর্মসংস্থানের ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কোকা-কোলার প্রভাব নিরূপণের জন্য অর্থনৈতিক পর্যালোচনার দায়িত্ব দেয়া হয় বিশ্বখ্যাত বিশেষায়িত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান স্টুয়ার্ড রেডকুইনকে। নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ওয়েসলি লিওনটিফের “ইনপুট-আউটপুট” পদ্ধতির মাধ্যমে এই অর্থনৈতিক পর্যালোচনা তৈরি করা হয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য অর্থনীতিবিদরাও এ ধরনের গবেষণা পরিচালনার ক্ষেত্রে উক্ত পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকেন।

কোকা-কোলা একটি স্থানীয় ব্যবসা

দ্য কোকা-কোলা কোম্পানি পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। কৌশলগত দিক থেকেও দেশটি কোকা-কোলার জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলোর একটি হিসেবে বিবেচিত। তিনটি ভিন্ন ভিন্ন ইউনিটের সমন্বয়ে বাংলাদেশে দ্য কোকা-কোলা সিস্টেম গঠিত। ইউনিটগুলো যথাক্রমে- কোকা-কোলা বাংলাদেশ লিমিটেড (সিসিবিএল), ইন্টারন্যাশনাল বেভারেজ প্রাইভেট লিমিটেড (আইবিপিএল) এবং আব্দুল মোনেম লিমিটেড (এএমএল)। নিজস্ব প্ল্যান্ট দু’টির পাশাপাশি বোতলজাতকরণ ও সরবরাহ কার্যক্রমে বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অবদান রাখছে কোকা-কোলা সিস্টেম।

কোকা-কোলা সিস্টেম ২০১৯ সালে বাংলাদেশে প্রায় ৬.১ বিলিয়ন টাকা সমমূল্যের পণ্য ও সেবা সংগ্রহ করেছে। এর মধ্যে ৭৫ শতাংশই নেয়া হয়েছে স্থানীয় উৎস থেকে। ফলে বাংলাদেশের হাজার হাজার বিক্রেতা বাড়তি লাভবান হয়েছে। কোকা-কোলার সকল ব্র্যান্ডই স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা হয় এবং বাংলাদেশি কর্মীরাই এদেশের ভোক্তাদের জন্য তা বাজারজাত করে থাকেন।

আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে কোকা-কোলা সিস্টেমের প্রভাবকে বেশ কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন- স্থানীয়ভাবে কাঁচামাল সংগ্রহ থেকে শুরু করে আপস্ট্রিমে পরোক্ষ প্রভাব রাখা, কোম্পানির মাধ্যমে তৈরি হওয়া প্রত্যক্ষ প্রভাব এবং বিক্রি ও সরবরাহের মাধ্যমে ডাউনস্ট্রিমে পরোক্ষভাবে রাখা সার্বিক প্রভাব। এছাড়া, স্থানীয়দের কর্মসংস্থান তৈরি, সরকারকে ট্যাক্স প্রদান, পণ্য ও সেবা ক্রয় এবং সাপ্লাইয়ারদের কাছ থেকে প্রাথমিক যন্ত্রপাতি সংগ্রহ ও সামাজিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে সহায়তার মাধ্যমে পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে দ্য কোকা-কোলা কোম্পানি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।

প্রতি বোতল কোকা-কোলা উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রোডাকশন লাইন থেকে শুরু করে ভোক্তাদের হাতে পৌঁছানো পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়ায় বাণিজ্য, কৃষি, পরিবহন, উৎপাদন, খুচরা বিক্রয়, বিজ্ঞাপন সহ অন্যান্যখাতে গুরুত্বপূর্ণ নানান অবদান রয়েছে।

দেশের মোট কর্মসংস্থান খাতে কোকা-কোলা সিস্টেমের অংশীদারিত্বের হার প্রায় ০.০৩ শতাংশ

কোকা-কোলা সিস্টেম বাংলাদেশে প্রায় ২২ হাজার ১০০ কর্মসংস্থান তৈরি করেছে। এর মধ্যে প্রত্যক্ষভাবে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে জড়িত রয়েছে ৮৩৩ জন। আর পরোক্ষভাবে কোকা-কোলার সঙ্গে সম্পৃক্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ২১ হাজার ৩০০। এই সংখ্যা বাংলাদেশের মোট কর্মসংস্থানের প্রায় ০.০৩ শতাংশ। কোম্পানির প্রতিটি প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থানের সঙ্গে দেশের বাণিজ্য, পরিবহন, কৃষি, উৎপাদন ও অনান্য খাতের প্রায় ২৬টি কর্মসংস্থান সম্পৃক্ত রয়েছে। বাংলাদেশে কোকা-কোলা সিস্টেমের মাধ্যমে তৈরি হওয়া কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী রয়েছে বাণিজ্য খাতে। আর এর পরেই রয়েছে পরিবহন ও কৃষি খাত।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের এই ঐতিহাসিক সময়ে এদেশে টেকসই ব্যবসা সম্প্রসারণের বিষয়ে কোকা-কোলা তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে একটি স্থিতিশীল ভবিষ্যৎ নির্মাণের ক্ষেত্রে কোকা-কোলা অনুগত সঙ্গীর ভূমিকা পালন করে যাবে।



 

Show all comments
  • kamruzzaman ২১ জুন, ২০২১, ১০:২২ পিএম says : 0
    কথা সত্য,মতলব খারাপ। অথনীতির কথা বললেই কি ইহুদীর গনধো যাবে?????????
    Total Reply(0) Reply
  • hasan nazmul ২২ জুন, ২০২১, ৭:৩১ এএম says : 0
    কোকা-কোলা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছে,কর্মসংস্থান হচ্ছে,স্থানীয় কাঁচামাল ব্যাবহার করছে,জি ডি পি তে অবধান রাখছে।১ টাকায় ৮৫ পয়সা দেশে থাকছে।কিন্তু বাকি ১৫ পয়সা!সেটা মুনাফা বিদেশে,আর তা ব্যাবহার হচ্ছে ইজরাইল এর মুসলিম নিধনযজ্ঞে।তা কি মিথ্যা?
    Total Reply(0) Reply
  • Sayed ২২ জুন, ২০২১, ১১:৩৯ এএম says : 0
    No need cock
    Total Reply(0) Reply
  • Md johurul islam ২৭ আগস্ট, ২০২১, ২:৩৯ পিএম says : 0
    আমি কোকাকোলার প্রোডাক্ট কিনতে চাই, এবং একটি রেফ্রিজারেটর চাই আমার কফি শপ এর দোকানে আছে
    Total Reply(0) Reply
  • RIPON MONDAL ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১০:০৪ এএম says : 0
    Ami cocacola jiteci ar takata kivabe tolbo
    Total Reply(0) Reply
  • SUMON HOSSAIN ১১ অক্টোবর, ২০২১, ৮:৪৮ পিএম says : 0
    আমার দোকানে কোক এবং স্পাইট দিতে কোন এসআর বা কোম্পানির লোক আসে না,,, আমি কল দিলে বলে আজকে আসবে কালকে জাবে,,,শুধু গুরায় আর এখন কলি দরে না,,,
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ