Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বগুড়ার তিন গম্বুজের খেরুয়া মসজিদ

আফগান ও তুর্কী স্থাপত্যের নিদর্শন

মহসিন রাজু, বগুড়া থেকে : | প্রকাশের সময় : ২২ জুন, ২০২১, ১২:০৩ এএম

৪৩৯ বছর ধরে জুমআ নামাজসহ ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় চলছে বগুড়ার ঐতিহাসিক খেরুয়া মসজিদে। তিন গম্বুজ বিশিষ্ট এই মসজিদটি বগুড়ার শেরপুর পৌর এলাকার খন্দকার টোলায় অবস্থিত।
আকারে বেশ ছোট এই মসজিদে তিন কাতারে মোট ৯০ জন মুসল্লির নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা আছে। ঐতিহাসিক গুরুত্ব থাকায় প্রায় প্রতিদিন দর্শনার্থীরা এই মসজিদে আসেন। শুক্রবার জুমআর নামাজের সময় মসজিদের ভেতরে জায়গা সঙ্কুলান না হওয়ায় বাইরে কাতারের ব্যবস্থা করা হয়।
বর্তমানে প্রত্নতত্ব অধিদফতরের আওতায় রয়েছে মসজিদটি। এর ইতিহাস অনুসন্ধান করতে মসজিদের শিলালিপি এবং ইতিহাসবিদ মরহুম প্রিন্সিপাল রোস্তম আলী শেরপুরির রচিত গ্রন্থ অনুসরণ করা হয়। জানা যায়, ১৫৮২ সালে এটি নির্মাণ করেন তৎকালীন ঘোড়াঘাট পরগনার জওহর আলী কাকশালের পুত্র মীর্জা মুরাদ খান কাকশাল। সেই হিসেবে মসজিদটির বয়স এখন ৪৩৯ বছর। দিল্লীতে তখন মোগল সম্রাট আকবরের রাজত্ব চলছে। সুবেহ বাংলার শাসনকর্তা ও আকবরের প্রতিনিধি রাজা মানসিংহ তখন বাংলায় মোঘল অধিপত্য প্রতিষ্ঠা এবং মোগল শাসন ব্যবস্থা সুসংহত করতে ব্যস্ত। শেরপুরেও তখন মোগল সেনা চৌকির অবস্থান ছিল। সে কারণেই ধারণা করা হয় মোগল সেনা চৌকির মুসলমান সেনাদের নামাজ আদায়ের তাগিদ থেকেই মসজিদটি নির্মাণ করা হয়।
শেরপুর পৌরসভার মেয়র মো. জানে আলম খোকা এই মসজিদ সম্পর্কে জানান, শেরপুর একটি প্রত্নতত্ন সম্পদে ভরপুর অঞ্চল। এরমধ্যে খেরুয়া মসজিদ অন্যতম। তিনি জানান, মসজিদটি শহর সংলগ্ন হওয়ায় ভিজিটররা সহজেই স্থাপনাটি ঘুরে দেখতে পারেন। বগুড়ার ইতিহাস গবেষক আব্দুর রহিম বগরার মতে, মোগল শাসনের শুরুতেই এটি নির্মাণ হওয়ায় এটিতে আফগানী ও তুর্কী মোগলদের স্থাপত্যরীতির মিশেল রয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তিন গম্বুজের খেরুয়া মসজিদ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ