Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ঢামেকের কাছে হোটেলের পাওনা ৪০ কোটি টাকা

করোনায় কোয়ারেন্টিন : বিল পেতে বিহা’র মানববন্ধন

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২২ জুন, ২০২১, ১২:০১ এএম

করোনার সময় চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য হোটেল কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল সংশ্লিষ্টদের তিন মাস ৩০টি হোটেলে রাখা হয়। এ জন্য বিল এসেছে ৪০ কোটি টাকা। আর বিলের পুরো টাকাই বকেয়া।
গতকাল সোমবার বকেয়া হোটেল বিল পরিশোধের দাবিতে ঢামেকের প্রশাসনিক ব্লকের সামনে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যাসোসিয়েশন (বিহা) মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। পরে তারা ঢামেক হাসপাতালের পরিচালকের কাছে স্মারকলিপি দেন। পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেছেন, যত দ্রুত সম্ভব এই বিল পরিশোধ করা হবে।
মানববন্ধনে বিহার ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট কমিটির কো-চেয়ারম্যান খালেদ-উর-রহমান বলেন, ঢামেকের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হোটেলে কোয়ারেন্টিনের জন্য আমাদের হোটেলগুলোয় খাবারসহ আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়। হোটেলগুলোর সঙ্গে ঢাকা মেডিকেলের চুক্তির অন্যতম শর্ত ছিল- হোটেল কর্তৃপক্ষ প্রতি দশ দিন পর পর ঢাকা মেডিকেল কর্তৃপক্ষের কাছে বিল প্রদান করবে এবং সাত কার্যদিবসের মধ্যে বিল পরিশোধ করা হবে।
তিনি বলেন, আমরা নানা বিধিনিষেধ অতিক্রম করে গত বছরের আগস্ট থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত বিল প্রদান করি। কিন্তু ১১ মাস হলেও এখন পর্যন্ত কোনো বিল আমরা পাইনি। মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হলে তারা বিল ছেড়ে দিয়েছে বলে জানায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরা বারবার যোগাযোগ করলেও কোনো সুফল পাচ্ছি না। তাই আমরা গত বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর (তিন মাস) পর্যন্ত বিল চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে পরিশোধ করার দাবি জানাচ্ছি।
বিহা’র সহ সভাপতি সাইদুল আলম টিটো বলেন, আমাদের হোটেল ব্যবসার অবস্থা খুবই খারাপ। এর মধ্যে দেশের আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো ওঠানামা বন্ধ রয়েছে। এই ৪০ কোটি টাকা আমাদের কাছে তেমন কোনো বড় বোঝা নয়। কিন্তু করোনায় আমাদের ব্যবসার অবস্থা ভালো না থাকায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দিতে পারছি না।
তিনি বলেন, আমাদের অনেক ইউটিলিটি বিল জমে গেছে। তারা বারবার আমাদের নোটিশ দিচ্ছে বিল দেয়ার জন্য। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ-গ্যাস বিলসহ অন্যান্য ইউটিলিটি বিল এবং বেতন-ভাতা পরিশোধে আমরা ব্যর্থ হচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আবেদন, ইউটিলিটি বিলগুলো এক বছরের রেফার্ড পেমেন্টের (কোনো প্রকার সুদ ছাড়া) সুযোগ দেয়ার জন্য আপনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি। আগামী এক বছরের জন্য ভ্যাট থেকে অব্যাহতি প্রদান করে হোটেলগুলোকে ব্যবসা টিকিয়ে রেখে আপনার পাশে থেকে দেশের উন্নয়নের সুযোগ প্রদান করবেন।
বকেয়া বিলের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, তাদের বিলের মধ্যে কিছু অসংগতি ছিল, এগুলো আপনারা ভালো করে জানেন। সে বিষয়টি আমি উল্লেখ করতে চাচ্ছি না। অনেকে যেটা পাওনা তার চেয়ে বেশি সাইন করেছেন। পরে অডিট এসে সেগুলো পর্যালোচনা করেছে। আমরা চেষ্টা করছি যত দ্রুত সম্ভব তাদের বিল ছেড়ে দেয়ার জন্য। কবে নাগাদ বিল ছাড়া হতে পারে? এমন প্রশ্নের জবাবে পরিচালক বলেন, চলতি মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে আমরা বিল পরিশোধের চেষ্টা করছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ