Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অবশেষে গ্রেফতার সেই আইনজীবী

হাইকোর্টে জামিন জালিয়াতি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ জুন, ২০২১, ১২:০১ এএম

আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের মামলায় আসামিদের ভুয়া আগাম জামিন আদেশ তৈরিতে জড়িত থাকার মামলায় ঢাকা বারের অ্যাডভোকেট রাজু আহমেদ রাজীবকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী এবং বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চকে এ তথ্য জানান সিআইডি ইন্সপেক্টর সুলতান। তিনি আদালতকে বলেন, এ মামলায় আগে গ্রেফতার আইনজীবীর সহকারী সোহাগের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আরও অনেকের নাম উঠে এসেছে। তখন আদালত তাদেরকেও গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। ওই মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১২ জুলাই দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। আদালতে সরকারপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সামিরা তারান্নুম মিতি। ইন্সপেক্টর সুলতান আরও জানান, গ্রেফতার হওয়া আইনজীবীকে আজ আদালতে হাজির করা হবে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এর আগে বগুড়ায় মোটর মালিক গ্রুপের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের মামলায় ভুয়া আগাম জামিন আদেশ তৈরির ঘটনায় সিআইডির তদন্তে চারজনের নাম উঠে আসে। তারা হলেনÑ ঢাকা জজ কোর্টের অ্যাডভোকেট রাজু আহমেদ রাজীব, বগুড়া আদালতের অ্যাডভোকেট তানজীম আলম ইসলাম, ঢাকা জজ কোর্টের কম্পিউটার অপারেটর মাসুদ রানা ও ঢাকা জজ কোর্টের অ্যাডভোকেট সহকারী মো. সোহাগ। কারাগারে থাকা সোহাগ ইতোমধ্যেই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এর আগে গত ৯ জুন বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী এবং বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। এটির ওপর শুনানি শেষে আদালত দুই আইনজীবী ও কম্পিউটার অপারেটর মাসুদ রানাকে দুই সপ্তাহের মধ্যে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। আসামিদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের জাল আদেশ দাখিল করে বগুড়ার আদালত থেকে জামিন নেয়ার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় হাইকোর্ট গত ২৪ ফেব্রুয়ারি এক আদেশে যুবলীগের সহসভাপতি (ভারপ্রাপ্ত সভাপতি) ও কাউন্সিলর মো. আমিনুল ইসলামসহ ৩০ আসামিকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। ওই আদেশ বাস্তবায়ন করে ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বগুড়া সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দেয়া হয়। একইসঙ্গে বিষয়টি তদন্ত করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ৯ ফেব্রুয়ারি বগুড়াতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি তিনটি মামলা হয়। এর মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মোহনের ছোটভাই মশিউল আলম বাদী হয়ে ১০ ফেব্রুয়ারি বগুড়া থানায় মামলা করেন। মামলায় যুবলীগের সহসভাপতি মো. আমিনুল ইসলামসহ ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করেন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় হাইকোর্ট থেকে আমিনুল ইসলামসহ ৩০ জনের জামিন নেয়ার একটি আদেশনামা (জামিন আদেশ) তৈরি করা হয়।

আদেশনামায় দেখানো হয়, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী এবং বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে আসামিদের ৬ সপ্তাহের জামিন দেয়া হয়েছে। এই জামিন শেষে তাদের অধঃস্তন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হয়। এই ভুয়া আদেশের তথ্য সংশ্লিষ্ট আদালতের নজরে আসে। এরপর এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন জালিয়াত চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আরজি জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আওয়ামী লীগ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ