Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ডিভোর্সি পুরুষদের টার্গেট করে স্ত্রীকে দিয়ে প্রতারণা, গ্রেপ্তার হল দম্পতি

রাউজান (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৪ জুন, ২০২১, ১১:০১ পিএম

চট্টগ্রামের রাউজানে নিজের স্ত্রীকে দিয়ে অভিনব কায়দায় প্রতারণার অভিযোগে এক দম্পতিকে আটক করেছে পুলিশ।গ্রেপ্তারকৃত ওই দম্পতিরা হলেন রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের গশ্চি গ্রামের প্রয়াত মাওলানা মো. হারুনের ছেলে ওকার উদ্দিন (৩৮) ও তার স্ত্রী সেলিনা আকতার শিরিন (৩০)।

জানা যায়, ডিভোর্সি পুরুষদের টার্গেট করে রূপসী পাত্রী দেখাতেন সেলিনা-ওকার দম্পতি। পরে রূপসী পাত্রীর পরিবর্তে নিজের স্ত্রীকে দিয়ে মোবাইল ফোনে প্রেমের ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা। সর্বশেষ রাঙ্গুনিয়া উপজেলার প্রবাস ফেরত ডিভোর্সি এক যুবককে পাত্রী দেখানো নিয়ে ফেঁসে যায় এই দম্পতি।

এই দম্পতিকে বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের গশ্চি গ্রামস্থ বসতঘর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় তাদেরকে চট্টগ্রাম আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানায়, ডিভোর্সি পুরুষদের টার্গেট করে রূপসী পাত্রী দেখাতেন তারা। পরে রূপসী পাত্রীর পরিবর্তে নিজের স্ত্রীকে দিয়ে মোবাইল ফোনে প্রেমের ফাঁদে ফেলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতো। সর্বশেষ রাঙ্গুনিয়া উপজেলার প্রবাস ফেরত ডিভোর্সি যুবক মো. আজিজকে একাধিক পাত্রী দেখানোর পর একটা পাত্রী তার পছন্দ হয়। পছন্দের পাত্রীর নম্বর চাইলে ওই যুবককে তার স্ত্রী শিরিনের নম্বর দেওয়া হয়। তার স্ত্রী আজিজের পছন্দের পাত্রী সেজে কথা বলে কয়েক ধাপে বিকাশের মাধ্যমে ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৭৩০টাকা হাতিয়ে নেয়। মুঠোফোনে কথা বললেও বিভিন্ন অজুহাতে সরাসরি দেখা করতো না।

পরে প্রতারণার বিষয়টি টের পেয়ে চট্টগ্রাম আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী প্রবাসী মো. আজিজ। মামলার প্রেক্ষিতে রাউজান থানার ওসির নেতৃত্বে উপ-পরিদর্শক শাহাদাত হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণায় ব্যবহৃত দুটি মোবাইল সেট, ৪টি রবি কোম্পানির সিম কার্ড জব্দ করা হয়।

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, ‘বিজ্ঞ আদালতে করা এক প্রবাসীর প্রতারণা মামলার প্রেক্ষিতে থানার উপ-পরিদর্শক শাহাদাত হোসেনকে মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রতারণার প্রমাণ পেয়ে অভিযান চালিয়ে স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ওই দম্পতিকে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে, মামলা তদন্ত সাপেক্ষ চার্জশীট দাখিল করা হবে। এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’ গ্রেপ্তার আসামিরা প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার ও আরও কয়েকটি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলেও জানান ওসি আবদুল্লাহ আল হারুন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চট্রগ্রাম


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ