Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অফিস খোলা রেখে গণপরিবহন বন্ধ করা নিয়ে যা লিখলেন নেটিজেনরা

আবদুল মোমিন | প্রকাশের সময় : ২৮ জুন, ২০২১, ৮:২৩ এএম

করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সোমবার সকাল ছয়টা থেকে সারা দেশে অফিস-আদালত খোলা রেখে গণপরিবহন বন্ধ রাখার ঘোষণায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন নেটদুনিয়ার বাসিন্দারাা। সামাজিক মাধ্যমে চাকরিজীবীরা প্রশ্ন তুলেছেন, অফিস খোলা রেখে গণপরিবহন বন্ধ করলে তারা অফিসে যাবেন কিভাবে? রিকশায় যাওয়ার অনুমতি থাকলেও অল্প আয়ের মানুষেরা কিভাবে অতিরিক্ত ভাড়া গুনে অফিস করবেন সেই প্রশ্নও তুলেছেন কেউ কেউ। ফেসবুকে এনিয়ে অনেককেই ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।

আজ রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে দেওয়া এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি-বেসরকারি অফিস বা প্রতিষ্ঠান শুধু প্রয়োজনীয়সংখ্যক কর্মীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কর্মীদের আনা-নেওয়া করতে পারবে। সোমবার থেকে বন্ধ থাকবে সব ধরনের শপিং মল, মার্কেট, পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র। তবে পণ্যবাহী যানবাহন এবং রিকশা চলাচল করবে। আগামী বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ বলবৎ থাকবে।

এনিয়ে জৈষ্ঠ্য সাংবাদিক, কলামিস্ট ও গবেষক মেহেদী হাসান পলাশ লিখেছেন, ‘‘আরো একটি লক ছাড়া ডাউনের ঘোষণা শুনলাম। অফিস আদালত খোলা, কিন্তু গণপরিবহন বন্ধ। তাহলে অফিস-আদালতে স্টাফরা যাবে কি করে? কয়টা প্রতিষ্ঠান নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় শ্রমিক আনা-নেয়া করে? উল্টো বিধি-নিষেধের গ্যাড়াকলে পড়ে সাধারণ কর্মচারীদের বেতনের বড় অংশ চলে যাবে অফিসে যাতায়াতে। শাটডাউনের দিনক্ষণ ঘোষণা করার পরে আবার পিছিয়ে নেয়ায় অনেকেরই তাদের বাড়িতে যাওয়ার সুযোগ দিয়েছে সরকার মনে করে বাড়ির পথে যাত্রা শুরু করেছেন। যাদের আটকানোর জন্য শাটডাউন তারা যদি চলে যায় এবং ফিরে আসে, তাহলে এই লকডাউন কাদের জন্য?’’

ক্ষোভ প্রকাশ করে মোঃ সবুর প্রামাণিক লিখেছেন, ‘‘গণপরিবহন চলবে না প্রাইভেট গাড়ি চলবে আমলারা ভুলে গেছে যে দেশের ৬৯% ভাগ মানুষ নিম্ন মধ্য গরিব এরা কি করবে। আমরা সহ্র করলেও আল্লাহ পাক সহ করবে না এই কথা বলা ছাড়া উপায় নেই।’’

মঞ্জুরুল হাসান জানতে চান, ‘‘বাস না থাকলে মানুষ অফিস করবে কেমন করে?? যা আপনারা করছেন তার জন্য মানুষের কস্ট ছাড়া কিছুই পাবে না। প্লিজ সব খুলে দেন, করোনা এমনি চলে যাবে।’’

শোহান রহমান সাব্বির লিখেছেন, ‘‘বারবার করনার কোপে গণপরিবহন ই পড়ে আগে,এই জায়গায়ই কি সব থাকে? এখন অফিসের লোক গুলা,যাদের পরিবহন ব্যাবস্থা নেই,তারা ত বেতন এর আধা,ভাড়া ই দিবে,এর চেয়ে কষ্টকর কি হতে পারে?’’

মোহাম্মাদ মাশহুদ কাওছার লিখেছেন, ‘‘বাহ্, গণপরিবহন বন্ধ, কিন্তু গার্মেন্টস্ আর অফিস খোলা, আমরা যারা অফিস এ যাই, তারা এক একটা এটম বম্ব, যা ঘরের মানুষ কে নিমিষে শেষ করে দিতে পারে। আল্লাহ্ আমাদের হেফাজত করুন।’’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ