বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় ৮ম শ্রেণির ছাত্রী বিয়ে করে আলোচনায় আসা কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারসহ ছয় জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় মো. আল ইমরান নামের এক ব্যক্তি পটুয়াখালী জেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জামাল হোসেনের ২য় আদালতে এ মামলা করেন।
আল ইমরান উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের সুলতান হাওলাদারের ছেলে ও প্রেমিক যুবক রমজান হাওলাদারের বড় ভাই।
আদালত মামলাটি গ্রহণ করে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে জেলা পিবিআই প্রধানকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
বাদীর আইনজীবী এড. মো. আল আমিন জানান, অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান তিনি তার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। প্রথমত একজন অপ্রাপ্ত বয়সী কিশোরী নাজমিন আক্তার ওরফে নাছিমনকে (১৪) জোর করে বিয়ে করেছেন, কিশোরীর প্রেমিকার রমজান হাওলাদারকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর ও বিষ খাইয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ ঘটনা পত্রিকায় প্রকাশিত হলে চেয়ারম্যান তালাক নামা সৃষ্টি করতে বাধ্য হয়।
মামলায় চেয়ারম্যানসহ তার পাঁচ সহযোগী এবং নিকাহ রেজিস্টার ও কাজী মাওলানা মো. আইয়ুবকে আসামী করা হয়েছে। আদালতে কিশোরী নাজমিন আক্তার ওরফে নাছিমনের (১৪) জন্ম সনদ ও রমজান হাওলাদারের চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজ পত্র উপস্থাপন করা হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি ২১ জুন অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর প্রথম স্ত্রী আছেন। সেই সংসারে তাঁদের এক ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলে বিবাহিত।
উল্লেখ্য : কনকদিয়া ইউনিয়নের নারায়নপাশা গ্রামের সুলতান হাওলাদারে ছেলে রমজান হাওলাদারের সঙ্গে একই ইউনিয়নের চুনারপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে কনকদিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী নাজমিন আক্তার ওরফে নছিমনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক হয়। এ সম্পর্ক কোন ভাবেই মেনে নিতে না পাড়ায় নছিমনের বাবা নজরুল ইসলাম কিশোর রমজানের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারের কাছে নালিশ করেন। শেষে বৈঠক ডাকলে এক পর্যায়ে ওই ছাত্রীকে নিজেই বিয়ে করেন। সালিসে এমন বিচার পেয়ে ছাত্রীর সঙ্গে পালানো যুবক নজরূল ইসলাম (১৯) অচেতন হয়ে শুক্রবার রাতে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন।
এ নিয়ে পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ পেলে দেশে জুড়ে শুরু হয় তোলপাড়। এরপর পড়ে দিন শনিবার ওই ছাত্রী চেয়ারম্যানকে তালাক দিয়ে চলে যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।