Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ডিবি পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মাধবদীর শীর্ষ সন্ত্রাসী নিহত

প্রকাশের সময় : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নরসিংদী জেলা সংবাদদাতা : মাধবদীর শীর্ষ সন্ত্রাসী আরিফ (২৬) পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে। গত সোমবার রাতে নরসিংদীর পাঁচদোনার সৈকারদী গ্রামে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সাথে কথিত বন্দুক যুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে।
নিহত সন্ত্রাসী আরিফ সদর উপজেলার মাধবদী পৌর এলাকার উত্তর বিরামপুর মহল্লার মৃত হালিম ড্রাইভারের ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, আরিফের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র আইন, ছিনতাই ও ডাকাতিসহ ৯টি মামলা রয়েছে। সে দীর্ঘ দিন যাবত গ্রেফতারী পরোয়ানা মাথায় নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল।
পক্ষান্তরে তার পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, পুলিশ তাকে রাতে এলাকা থেকে ধরে নিয়ে যাবার পর সকালে তারা তার মৃত্যুর খবর পেয়েছে। এব্যাপারে তারা বর্তমানে খুব ভীতিকর অবস্থার মধ্যে রয়েছে। বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেনি।
নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার গভীর রাতে সন্ত্রাসী আরিফ, আজিম ও হাদি নামে তার বাহিনীর ৩ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিয়ে পাঁচদোনা ইউনিয়নের সৈকারদী এলাকায় ঘোরাফেরা করতে থাকে। গোপন সূত্রে এ খবর গোয়েন্দা পুলিশের নিকট পৌছলে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রুপন কুমার সরকার সশস্ত্র কনস্টেবল নিয়ে সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সৈকারদী এলাকায় গিয়ে তাদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আরিফ, আজিম ও হাদি পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ করতে থাকে। এ অবস্থায় পুলিশও তাদেরকে লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি বর্ষণ করে। এতে আরিফ দুই পায়ে ও পিঠে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এসময় সন্ত্রাসী আজিম ও হাদি দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ অবস্থায় পুলিশ আরিফকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক করে এবং তার নিকট থেকে ২ রাউন্ড গুলিসহ একটি পিস্তল ও একটি নাম্বার বিহীন মোটরসাইকেল উদ্ধার করে। পরে পুলিশ গুলিবিদ্ধ আরিফকে মারাত্মক আহত অবস্থায় রাত ৩ টার দিকে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভোর ৪টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে আরিফ মারা যায়।
এব্যাপারে নরসিংদী জেলা হাসপাতালের আরএমও ডা. মিজানুর রহমান জানান, রাতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আরিফ নামের এক যুবককে পুলিশ নিয়ে এসেছিল। তখন জীবন-মৃত্যুর মাঝামাঝি ছিল। তার দুই হাঁটুতে দুটি এবং ডান বুকের পিছনে অর্থাৎ পিঠে একটি গুলিবিদ্ধ ছিল। বুকের গুলিটি ফুসফুসে আটকে থাকার আশংকায় তাকে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করে।
নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, নিহত আরিফ পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী। তাঁর বিরুদ্ধে ৯টি মামলা রয়েছে। এরমধ্যে ৩টি হত্যা, ৪টি বিস্ফোরক, ১টি ডাকাতি মামলা। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে মারা গেছে। তার লাশ বর্তমানে সেখানেই রয়েছে। বন্দুকযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তার সঙ্গে আরও দুজন সন্ত্রাসী ছিল। তাঁদের গ্রেফতারে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ