Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা : পূর্ববঙ্গ ও আসাম মিলে নতুন প্রদেশ বাতিলের ক্ষতিপূরণ?

মোবায়েদুর রহমান | প্রকাশের সময় : ৬ জুলাই, ২০২১, ১২:০১ এএম

গত ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ পার হলো। ১৯২১ সালের ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে। শতবর্ষপূর্তি ঘটা করে উদ্যাপনের কথা। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে জাঁকজমকের সাথে দিবসটি পালন করা সম্ভব হয়নি বলে কর্তৃপক্ষীয় সূত্রে বলা হয়েছে। সেটা নাহয় মেনে নেওয়া গেল। কিন্তু তাই বলে চিহ্নিত মহলের মিডিয়াসমূহে পুরাতন বিতর্ক নতুন করে খুঁচিয়ে তোলার মতলব কী? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় যারা বিরোধিতা করেছেন তাদের নামধাম এবং পরিচয় অজানা নয়। তবে এসব নামের মধ্যে একটি নাম নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। আমি রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে কোনো বিতর্কে যাবো না। কারণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পক্ষে এবং বিপক্ষে যারা ছিলেন তারা কেউ আর আজ জীবিত নেই। ভারতের ইংরেজ বড়লাট লর্ড হার্ডিঞ্জ ১৯১২ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেন। সেটি আজ থেকে ১০৯ বছর আগে। তখনকার সমসাময়িকরাও কেউ বেঁচে নাই। অথচ এবছর, অর্থাৎ ২০২১ সালে এক শ্রেণির লেখক বা বুদ্ধিজীবী সেক্যুলার ঘরানার পত্রপত্রিকায় কলাম লিখে প্রমাণের চেষ্টা করছেন যে রবীন্দ্রনাথ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেননি। বরং ঢাকার মানুষ তাকে প্রাণঢালা সংবর্ধনা দিয়েছেন। এসব কথা যারা বলেছেন, তারাও স্বীকার করছেন যে, যেহেতু সেই সময়কার কেউ বেঁচে নেই তাই তাদের বক্তব্য প্রমাণের জন্য ইতিহাসের আশ্রয় নিচ্ছেন তারা। অনুরূপভাবে যারা বলছেন যে, রবীন্দ্রনাথ ঢাবি প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেছেন তারাও ঐ ইতিহাসেরই আশ্রয় নিচ্ছেন। এখন মানুষ বিশ্বাস করবে কার কথা? সুতরাং আমার ব্যক্তিগত অভিমত হলো, যিনি যে পক্ষেরই হোন না কেন, তিনি তার অভিমত গ্রন্থিত করুন, রেডিও, টেলিভিশন বা দৈনিক পত্রিকার পাতায় আনবেন না।

বিতর্কটি যদি এই জায়গায় এসে থামতো তাহলেও না হয় কথা ছিল। কিন্তু শুক্রবার ২ জুলাই একটি বহুল প্রচারিত ইংরেজি দৈনিকের বাংলা সংস্করণে নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহকে নিয়ে টানাটানি শুরু হয়েছে। বলা হয়েছে যে, স্যার সলিমুল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ৬০০ একর জমি দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু দেননি। এখন ঐ পত্রিকাকেই বলতে হবে, স্যার সলিমুল্ল্যাহ কি কোনো জমিই দেননি? যদি কিছু জমিও দিয়ে থাকেন তাহলে সেটি কত একর? তাদেরকে বলতে হবে যে, ১৯২১ সালের ১ জুলাই যে জমি এবং যেসব ভবন ও স্থাপনার ওপর ঢাবি প্রতিষ্ঠিত হলো এবং যাত্রা শুরু করলো সেগুলো কার জমি? টাঙ্গাইলের ধনবাড়ির জমিদার নওয়াব আলী চৌধুরী কত টাকা দিয়েছেন? কত জমি দিয়েছেন?

এভাবে মুসলমানদের অবদানকে যখন বিতর্কিত করার অশুভ প্রচেষ্টা চলছে তখন ঢাবি প্রতিষ্ঠার পটভূমিকাকে অবশ্যই আলোচনায় আনতে হবে। আনলে দেখা যাবে যে, ঢাবি প্রতিষ্ঠা ছিল এক রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। অনেকটা সেই ‘নাকের বদলে নরুন পেলাম টাক ডুমাডুমের’ মতো ব্যাপার। কেউ কেউ বলতে চান যে, বঙ্গভঙ্গ রদের ক্ষতিপূরণ। এই ধরনের মন্তব্য পূর্ণ সত্য হতেও পারে, আবার নাও পারে। তবে অর্ধসত্য তো বটেই।

দুই
১৮৫৭ সালে ভারতের বড়লাট লর্ড ক্যানিং ‘দি অ্যাক্ট অব ইনকরর্পরেশন’ নামক একটি আইন পাশ করেন। এই আইনের অধীনে সমগ্র ভারতবর্ষে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় হলো মাদ্রাজ, বোম্বে এবং কলকাতা বিশ^বিদ্যালয়। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে নবাব সিরাজ উদ-দৌলার পতনের ১৫ বছর পর ১৭৭২ সালে কলকাতা ভারতবর্ষের রাজধানী হিসাবে ঘোষিত হয়। তখন বঙ্গপ্রদেশ অখন্ড ছিল। রাজধানী হিসাবে ঘোষিত হওয়ার পর কলকাতার দ্রুত সমৃদ্ধি ঘটতে থাকে। সেই সাথে বঙ্গপ্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলও (বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ) দ্রুত সমৃদ্ধ হতে থাকে। আরো একটু পেছনে গেলে দেখা যায় যে, ১৬০৮ সালে ঢাকা মুঘল আমলে ‘সুবা (প্রদেশ) বাংলার’ রাজধানী ঘোষিত হয়। এবং ঢাকার প্রথম প্রশাসক নিযুক্ত হন ইসলাম খান চিশতি। তিনি সম্রাট জাহাঙ্গীরের নামানুসারে ঢাকার নাম রাখেন জাহাঙ্গীরনগর।

পরবর্তী ৩৯ বছর কলকাতা ভারতবর্ষের রাজধানী হিসাবে উন্নতি সাধন করে। ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদ হলে ভারতবর্ষের রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লী স্থানান্তরিত হয়। কিন্তু কলকাতা অখন্ড বাংলার রাজধানী রয়েই যায়।
অখন্ড বাংলার পশ্চিমাঞ্চল (পশ্চিমবঙ্গ) ছিল হিন্দু প্রধান এবং বাংলার পূর্বাঞ্চল এবং আসাম ছিল মুসলিম প্রধান। সমগ্র ভারতবর্ষ হিন্দু প্রধান। সাত সমুদ্র তের নদী থেকে উড়ে আসা বৃটিশ বেনিয়া রাজ হিন্দুদের সাথে মাখামাখি করে। ফলে কলকাতা, মাদ্রাজ, দিল্লী ও বোম্বে শনৈশনৈ সমৃদ্ধি লাভ করলেও ঢাকা তথা পূর্ববঙ্গ উপেক্ষিতই থেকে যায়। বাংলার পূর্বাঞ্চল, অর্থাৎ পূর্ববঙ্গ তথা আজকের বাংলাদেশ কলকাতা মহানগরীর উন্নয়নের ঐরহঃবৎষধহফ বা পশ্চাদভূমি হিসাবে পড়ে থাকে। অথচ অখন্ড বাংলাতেও মুসলমানদের সংখ্যা ছিল ৫৩ দশমিক ৪ শতাংশ এবং হিন্দুদের সংখ্যা ছিল ৪১ দশমিক ৭ শতাংশ। অবশিষ্ট ৪ দশমিক ছিল অন্যান্য ধর্মালবলম্বী। অর্থাৎ বৃহত্তর বাংলাতেও মুসলমানরা সংখ্যায় ১১ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি ছিল।

আমার মনে আছে, ষাটের দশকে প্রথম আমি সাবেক পূর্ব পাকিস্তানের এক সাংবাদিক প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে করাচি, লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডি সফর করি। আমি ছিলাম অধুনালুপ্ত ‘দৈনিক আজাদের’ জুনিয়র রিপোর্টার। পশ্চিম পাকিস্তানে কিছু কিছু ভবন দেখে পূর্ব পাকিস্তানের কোনো কোনো সাংবাদিক মন্তব্য করেন যে, পূর্ব পাকিস্তানের পাটের টাকা দিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানের এসব বিল্ডিং গড়া হয়েছে। ঐ কথার সূত্র ধরে বলতে হয় যে, ইংরেজরা বাংলা তথা আজকের বাংলাদেশকে শোষণ ও বঞ্চিত করে, পূর্ববাংলা থেকে অর্থ লুণ্ঠন করে সেই লুণ্ঠিত অর্থ দিয়ে কলকাতা তথা পশ্চিমবাংলা গড়ে তুলেছে। ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল এই ১৭৫ বছর তথা পৌনে ২০০ বছর ধরে পূর্ব বাংলাকে লুণ্ঠন করা হয়েছে।

এই অবহেলা, উপেক্ষা, শোষণ, বঞ্ছনা ও লুণ্ঠনের কারণে পূর্ব বাংলার মানুষের মাঝে হতাশা ও ক্ষোভের আগুন ধিকি ধিকি জ¦লতে থাকে। পুঞ্জীভ‚ত ক্রোধ বিস্ফোরিত হওয়ার আগেই ১৯০৫ সালে বঙ্গ প্রদেশের পূর্বাঞ্চল (পূর্ব বঙ্গ) এবং আসাম নিয়ে বড়লাট লর্ড কার্জন একটি প্রদেশ গঠন করেন। মুসলমানরা এটিকে ‘বঙ্গাসাম’ নামে ডাকতে শুরু করেন। নতুন প্রদেশের রাজধানী হয় ঢাকা। নবগঠিত প্রদেশটির জনসংখ্যা ছিল ৩ কোটি ১০ লাখ। এরমধ্যে মুসলমান ১ কোটি ৮০ লাখ, হিন্দু ১ কোটি ২০ লাখ। অবশিষ্ট ১০ লাখ অন্যান্য ধর্মাবলম্বী ছিল।

তিন
বাংলা ভাগ এবং আসামসহ নতুন প্রদেশ গঠনের ফলে পূর্ববঙ্গের উপেক্ষিত অবহেলিত ও বঞ্চিত মুসলমানদের জন্য তাদের ভাগ্যোন্নয়নের নতুন দুয়ার উন্মোচিত হয়। বঙ্গাসাম প্রদেশের আয়ু ছিল মাত্র ৬ বছর। কিন্তু এই ছয় বছরেই ঢাকার যে উন্নতি হয়, তাকে চযবহড়সবহধষ বললে অত্যুক্তি হবে না। নতুন প্রদেশের সচিবালয় হিসেবে সেই সময়ের মান অনুযায়ী যে বিশাল এবং মনোরম ভবন নির্মাণ করা হয় সেটিই আজকের ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। আজ যেটি কার্জন হল সেটিও ঐ সংক্ষিপ্ত সময়েই নির্মিত হয়। নতুন প্রদেশের গভর্নর বা ছোটলাটের বাসভবন হিসাবে যে দৃষ্টিনন্দন ভবনটি নির্মিত হয় সেটিই আজকের হাইকোর্ট ও সুপ্রীম কোর্ট বিল্ডিং। ঢাবির বর্তমান ভিসির বাসভবন থেকে পলাশী যাওয়ার যে রাস্তা, বৃটিশ কাউন্সিলের পাশ দিয়ে প্রলম্বিত ফুলার রোডও সেই সময়কার গভর্নর বা ছোটলাটের নাম অনুসারে নির্মাণ করা হয়। ঢাকার নবাব পরিবার একটি রাজসিক বাগানবাড়ি নির্মাণ করেন। সেই বাগানবাড়িটির নামই হলো শাহবাগ। এই ছয় বছরে আরো অনেক কিছু করা হয়েছে যার বিস্তারিত বিবরণ এই সংক্ষিপ্ত পরিসরে দেওয়া সম্ভব নয়। যদি মাত্র ৬ বছরের মাথায় বঙ্গভঙ্গ রদ না হতো, অর্থাৎ নতুন প্রদেশ বঙ্গাসাম যদি টিকে যেত, তাহলে বাংলার চেহারাই বদলে যেত। হয়তো ভারতবর্ষের ইতিহাস অন্যভাবে লিখিত হতো। হয়তো পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের ইতিহাস অন্যভাবে লিখিত হতো। হয়তো ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মানচিত্র ভিন্নভাবে অঙ্কিত হতো।

চার
যারা অবিভক্ত ভারতে মুসলমানদের পদানত করে রেখেছিল তারা মুসলমানদের ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনাকে বরদাস্ত করবে কেন? তাই শুরু হয় বঙ্গভঙ্গ রদ আন্দোলন। নতুন প্রদেশে মুসলমানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় হিন্দুরা সেটি মেনে নিতে পারেনি। খোদ কংগ্রেস এটিকে ‘বঙ্গমাতার অঙ্গচ্ছেদ’ বলে বাঙালি জাতীয়তাবাদের নামে এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। স্বদেশী আন্দোলন গড়ে উঠেছিল বৃটিশ পণ্য বর্জন তথা ভারতীয় জাতীয়তাবাদের বিকাশের জন্য। কিন্তু বঙ্গভঙ্গ রদের জন্য স্বদেশীরাও কংগ্রেসের আন্দোলনে যোগ দেয়। কবি রবীন্দ্রনাথ বঙ্গভঙ্গ বাতিলকে টার্গেট করে দুটি গান বা কবিতা রচনা করেন। একটি হলো:
বাংলার মাটি বাংলার জল
বাংলার বায়ু বাংলার ফল
পূণ্য হউক হে ভগবান।
আরেকটি হলো:
আমার সোনার বাংলা
আমি তোমায় ভালবাসি।

রবীন্দ্রনাথ শুধুমাত্র গান ও কবিতাই লেখেননি। তিনি বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনেও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ভারত থেকে বৃটিশদের বিতাড়িত করার জন্য অনুশীলন সমিতি এবং যুগান্তর নামে দুটি সশস্ত্র দল গড়ে ওঠে। অভিযোগ রয়েছে যে বঙ্গভঙ্গ রদ করার জন্য এই দুটি সশস্ত্র দলও সন্ত্রাসী তৎপরতার আশ্রয় নেয়। ফলে পরবর্তী বড়লাট হার্ডিঞ্জ ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদ করতে বাধ্য হন। মুসলমানদের উন্নতির আশা ভরসা অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়।
পাঁচ

মুসলমানদের আহত অনুভূতিতে মলম লাগানোর জন্য ১৯১২ সালে বড়লাট লর্ড হার্ডিঞ্জ ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রস্তাব করেন। একটি পাবলিক বিশ^বিদ্যায় স্থাপনকে যথাযোগ্য গুরুত্ব দিয়েও বলছি, একটি প্রদেশ এবং রাজধানীকে বানচাল করে তদস্থলে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন নাকের বদলে নরুন পাওয়ারই শামিল। অন্য কথায় এটি গরু মেরে জুতা দান। মুসলমানদের ঢাকায় একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হবে, সেটিও ঐ কায়েমী স্বার্থবাদী হিন্দুগোষ্ঠির সহ্য হলো না, যারা বঙ্গভঙ্গকে গায়ের জোরে রদ করেছে। তারা ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিরোধিতায় ঝাঁপিয়ে পড়ে। (এ বিষয়ে আগামী মঙ্গলবার লিখবো যার শিরোনাম: কেন এবং কারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেছিল?)
Email: [email protected]



 

Show all comments
  • Galib Hossain ৬ জুলাই, ২০২১, ২:০১ এএম says : 0
    আমি রবীন্দ্রনাথ কে সম্মান করি না, করবও না কারন সে ছিল উচ্চবর্ণের হিংসুটে আর পূর্ব বাংলার সামাজিক উন্নতির বিরোধী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার বিরোধী। আর তার গাওয়া আমাদের জাতীয় সঙ্গীত সে ছোটবেলায় আবেগে শিখেছিলাম কিন্তু এখন ভূলে গেছি । শিখতেও চাই না কারন যার ভক্তি আমার থেকে উঠে গেছে তার কর্মে আমি বৃথা শ্রম দিবনা। বিনম্র সম্মান করব সেই স্যার নবাব সলিমুল্লাহকে যিনি ৬০০ একর জমি দিয়ে এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন।
    Total Reply(0) Reply
  • Mahmudul Mahmud ৬ জুলাই, ২০২১, ২:০১ এএম says : 0
    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিরোধিতা করেছিলো ।এই বাংলার মানুষদেরকে মারাত্মক ভাবে অপমানও করেছিলো।
    Total Reply(0) Reply
  • Md. Masud Ur Rahman ৬ জুলাই, ২০২১, ২:০২ এএম says : 0
    যিনি প্রতিষ্টাতা, যার দান করা জায়গায় আজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত অথচ জাতী তাকেই স্মরণ করে না! তার জন্য কোন দোয়ার ব্যাবস্থা করা হয় না! যারা বিরোধীতা করেছিলো, তাদের আজ আমরা মাথায় তুলে রেখেছি! আসলেই, আমরা বাঙ্গালীরা বড়ই অকৃতজ্ঞ! আর আমার সবচেয়ে অপছন্দ ব্যাক্তি হলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তার কবিতা পছন্দ করি, গান পছন্দ করি, কিন্তু তাকে নয়।
    Total Reply(0) Reply
  • Raiful Islam ৬ জুলাই, ২০২১, ২:০২ এএম says : 0
    মোট কথা: ভারত ও ভারতের লোক জন সেই আবহমানকাল কাল থেকে বর্তমানে ও ভবিষ্যতেও মুসলিম উম্মাহর ঘোর বিরোধী ছিলেন এবং থাকবে,কাল কিয়ামত পর্যন্ত।। ধন্যবাদ।।
    Total Reply(0) Reply
  • Sheikh Taher ৬ জুলাই, ২০২১, ২:০৩ এএম says : 0
    "চাষারা বানাবে বিশ্ববিদ্যালয়? সেখানে তাদের সন্তানরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করবে? ওখানে আমি যাবো না।" _____ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া রবীন্দ্রনাথকে স্মরণীয় করে রাখার কেউই নেই।
    Total Reply(0) Reply
  • Jahirul Islam ৬ জুলাই, ২০২১, ২:০৩ এএম says : 0
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল বিরোধী ছিলেন ভারতের রবীন্দ্রনাথ।তিনি সব সময় বিরোধপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন। অচিরেই বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত থেকে রবীন্দ্রনাথের সংগীত টি মুছে ফেলা হোক
    Total Reply(0) Reply
  • Forid Hossain ৬ জুলাই, ২০২১, ২:০৩ এএম says : 0
    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বরাবরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে ছিলেন এবং সে বরাবরই ইংরেজদের দালালি করতেন ।সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম বার্ষিকী ধুমধাম করে পালিত হয় কিন্তু আপসোস যে ড. স্যার সলিমুল্লার জায়গায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত সেখানে তার নামও নেয়া হয় না ।
    Total Reply(0) Reply
  • Abdullah Al Mamun ৬ জুলাই, ২০২১, ২:০৪ এএম says : 0
    রবি ঠাকুর ১ নং বিরোধি ছিলেন।কারন তিনি চান নি মুসলমান সমাজ যেন শিক্ষা ক্ষেএে এগিয়ে যাক।বরং আজ দঃখের বিষয়।যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় যার অবদান সবচেয়ে বেশি তাকে মনে করা হয়না।অথচ হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে রবি ঠাকুর কে স্মরন করে।
    Total Reply(0) Reply
  • KM Sajjad Hossain ৬ জুলাই, ২০২১, ২:০৫ এএম says : 0
    কিছুটা হলেও সত্য বেরিয়ে এসেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোর বিরোধিতা কারীদের সাথে সুসম্পর্কের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে কারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেছিল, তা জাতির সামনে আজ কোনরকম বিতর্ক ছাড়াই একদম পরিষ্কার।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohsin Khan ৬ জুলাই, ২০২১, ২:০৫ এএম says : 0
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সবচেয়ে যার অবদান রয়েছেন তিনি হচ্ছেন নবাব স্যার সলিমুল্লাহ আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যে যায়গায় হয়েছে তার অধিকাংশ জমি দিয়েছেন স্যার সলিমুল্লাহ কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা দিবসে তার নাম এখন তেমন কেউ স্মরণ করেনাই বরং যারা প্রত্যাক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে বিরোধিতা করছেন তাদের নাম বেশি স্মরণ করা হচ্ছে।
    Total Reply(0) Reply
  • নাজমুল ইসলাম ৭ জুলাই, ২০২১, ৫:০২ পিএম says : 0
    চেপে রাখা ইতিহাস। মঙ্গলবারের অপেক্ষায় থাকলাম।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়


আরও
আরও পড়ুন