Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

‘নিরন্ন মানুষের আহাজারিতে আকাশ-বাতাস ভারী’

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ জুলাই, ২০২১, ১২:০০ এএম

সরকারের অপরিকল্পিত চলমান লকডাউনে বাংলাদেশের জনপদে নিরন্ন ও বুভুক্ষ মানুষের আহাজারীতে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। তিনি বলেন, লকডাউনে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ। কাজ না থাকায় সন্তানের মুখে ভাত তুলে না দিতে পেরে মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর এলাকার দিনমজুর দ্বীন ইসলাম আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। অথচ সরকারের মন্ত্রী-কর্মকর্তারা হরহামেশাই বলছেন, তারা পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা করেছেন, কেউ না খেয়ে নেই, না খেয়ে মারা যাবে না। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে- মুক্তারপুরে দ্বীন ইসলামের মতো দেশের অগণিত মানুষ এধরণের নিষ্ঠুর বাস্তবতার মুখোমুখী। অন্যদিকে সরকারের অব্যবস্থাপনা, ভ্রান্তনীতি ও অবহেলা-উদাসীনতায় অক্সিজেনের অভাবে প্রতিদিনই মানুষ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। এসব মৃত্যুর দায় সরকারকেই নিতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, বিএনপি বারবার বলেছে-করোনার বর্তমান পরিস্থিতিতে গণটিকা ছাড়া এই মহামারী মোকাবেলা করা কোনভাবেই সম্ভব নয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার নিজেদের পছন্দের ব্যক্তিকে লাভবান করার জন্য একটি মাত্র উৎস থেকে টিকা সংগ্রহের আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশকে বিপাকে ফেলেছে, জনগণের জীবন-জীবিকা-কে বিপন্ন করে তুলেছে।

তিনি বলেন, সঠিক পরিকল্পনা ও সমন্বয়ের অভাবে লকডাউন-বিধিনিষেধ কার্যকর হচ্ছে না। সমাজের ক্ষতিগ্রস্ত নি¤œ আয়ের দিন আনে দিন খায় মানুষ, বেকার-কর্মহীন মানুষের দু’মুঠো ভাতের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা ছাড়া এসব পদক্ষেপ কার্যকর হয় না। বরং সরকারের ব্যর্থতায় প্রতিদিন মানুষ কাজ হারাচ্ছে, দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর হচ্ছে, এমনকি মধ্যবিত্তরাও ব্যবসা-বাণিজ্যের স্থবিরতায় তাদের আয় সংকুচিত হচ্ছে। এবারও লকডাউনের আগে আমরা (বিএনপি) সরকারকে বলেছিলাম-এই শ্রেণীর মানুষের হাতে খাদ্য ও অর্থ সহায়তা পৌঁছে দিতে। সরকার তা করে নাই। যার ফলে পরিবহন শ্রমিক, দিনমজুর, নি¤œ আয় এবং কর্মহীন-বেকার মানুষের জীবন ধারণ এখন কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে যাচ্ছে। অর্ধাহারে-অনাহারে থেকে মানবেতর অবস্থায় দিন যাপন করছে।

সরকার জনগণকে সহায়াতার নামে তামাশা করছে মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ২০২০ সাল থেকে এ পর্যন্ত যে কয়বার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তা কোন সময় মাথাপিছু ১১ পয়সা, কিংবা ১৪ গ্রাম চাল। বর্তমানেও চলমান লকডাউনে যে বরাদ্দের কথা বলা হয়েছে তা মাথা পিছু ৭ দিনের হিসাবে ১৩ টাকারও কম। এখন বলা হচ্ছে ঈদের আগে দশ কেজি করে চাল দেয়া হবে, তাহলে ঈদের আগ পর্যন্ত এই লকডাউনে মানুষ কি খেয়ে বাঁচবে। প্রকৃতঅর্থে, এই বরাদ্দও এখন পর্যন্ত ছাড় হয়নি এবং তা জনগণের হাতে পৌঁছেনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নিরন্ন মানুষ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ