Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জমে উঠেছে কুড়িগ্রামের গরুর হাট, দাম বেশ চড়া, স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৮ জুলাই, ২০২১, ১:২৭ পিএম

ঈদকে সামনে রেখে শেষ মুহুর্তে কুড়িগ্রামে জমে উঠেছে গরুর হাট। দাম অনেক বেশি হলেও মানুষ গরু কিনে ফিরছে। বড় বড় হাটগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। দেদারসে কেনা বেচা হচ্ছে গরু। ইজারাদাররা সুযোগ পেয়ে রশিদ ছাড়াই দুপক্ষের কাছে নিচ্ছে ইচ্ছে মতো খাজনা। তদারকির অভাবে
হাটগুলোতে স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই।
সরকারের কঠোর লকডাউন শিথিল করার পর বৃহস্পতিবার থেকে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কুড়িগ্রামেও শুরু হয়েছে ঈদুল আযহার গরু ও ছাগলের হাট।শেষ মুহুর্তের কেনা বেচা চলছে বেশ জোরেসোরে।পশুর হাটগুলোতে কেনা বেচার ঢল নেমেছে।প্রচন্ড উপচে পড়া ভিড়ে গাদাগাদি করে পশু কিনতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্রেতাগণ।এবারের ঈদে হাটসমুহে ভারতীয় গরু না আসায় খামারী ও চরের গরুর মালিকগণ বেশি দাম পাচ্ছে। গরুর হাটগুলোতে খামারীদের গরুর দাম বেশ চরা। ।হাটগুলোতে এসেছে ছোট বড় বিভিন্ন রকমের দেশী গরু। অনেকেই দাম বাড়ার কারন হিসেবে এবার লকডাউন থাকায় বাইরের ও ভারতীয় গরু আসতে পারেনি বলে জানান। দাম ভালো পাওয়ায় খামারীরা খুশি হলেও ক্রেতা সাধারণ খুব একটা খুশি না। দাম বেশি হলেও বাধ্য হয়ে সাধ্যের মধ্যে কোরবানির পশু নিয়েই ঘরে ফিরছেন মানুষ। অনেকেই পায়ে হেটে হাটে এসেছেন গরু ছাগলসহ কোরবানির পশু কিনতে।
পাশাপাশি ছাগলের দামও বেশ চরা।ভালো দাম পেয়ে খামারী ও এসব গবাদি পশুর মালিকগণ বেশ খুশি।
এদিকে, সরকারের প্রজ্ঞাপন জারির পর করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব হাট পরিচালনা করার নির্দেশ থাকলেও শেষ মুহুর্তের গরুর হাটসমুহে নেই কোন স্বাস্থ্যবিধি কিংবা সামাজিক দূরত্ব।অনেকের মুখে নেই মাস্ক। যদিও হাটগুলোতে ইজারাদার ও তাদের লোকজন মাইকিং করে ঘোষণা দিচ্ছেন শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে গরু ছাগল কেনা বেচা করতে।তবুও সেদিকে কারো কোন নেই ভ্রুক্ষেপ। হাটে আসা অধিকাংশ মানুষেরই মুখে নেই মাস্ক। ফলে করোনা সংক্রমনের পরিধি আরও বেড়েই যাচ্ছে।এ অবস্থায় সীমান্তবর্তী জেলা কুড়িগ্রামে করোনা সংক্রমণের বৃদ্ধির আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তদারকির অভাবে ইজারাদার ইচ্ছেমতো রশিদ ছাড়াই অতিরিক্ত খাজনা নিচ্ছেন।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল হাই জানান, এবার কুড়িগ্রামে স্থায়ী পশুর হাট বসেছে ১৫টি ও অস্থায়ী ১৪টি।জেলায় কোরবানির জন্য গবাদি পশুর চাহিদা ৯৫ হাজার হলেও উৎপাদন হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ