Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী : দেশে এইচআইভি রোগী চার হাজারেরও বেশী জিকা ভাইরাসের ঝুঁকিতে এশিয়ার সব দেশ

প্রকাশের সময় : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : দেশে বর্তমানে ৪ হাজার ১৪৩ জন এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তি রয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। এরমধ্যে এ পর্যন্ত ৬৫৮ জন মারা গেছে বলেও জানান তিনি। গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের ইসরাফিল আলম এমপির প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান মন্ত্রী।
তিনি জানান, সরকারি হিসেবে বর্তমানে দেশে চিকিৎসা সেবা ও এইচআইভি শনাক্তকরণ কার্যক্রম সরকারি ১২টি হাসপাতালের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে, যার মধ্যে ৪টি সরকারি হাসপাতাল থেকে এইডস আক্রান্ত রোগীদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে।
এশিয়ার সবক’টি দেশই জিকা ভাইরাসের ঝুঁকিতে
জাসদের সদস্য এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন এমপির প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ নাসিম জানান, বিশ্বে এ পর্যন্ত মোট ৮৮টি দেশে জিকা ভাইরাস আছে বলে প্রমাণিত হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশসহ এশিয়ার সবক’টি দেশই জিকা ভাইরাসের ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য  ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী। তবে বাংলাদেশে এই মুহূর্তে জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ মুক্ত রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি জানান, সম্প্রতি মধ্য আমেরিকা, আফ্রিকা, ইউরোপ এবং বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী এশিয়ান দেশ সিঙ্গাপুরসহ অন্যান্য দেশে ক্রমবর্ধমানভাবে জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশে এই মুহূর্তে জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ না থাকলেও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় এবং এদেশে এডিস মশার অস্তিত্ব থাকায় বাংলাদেশেও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিধি ২০০৫ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
মুহাম্মদ মিজানুর রহমান এমপির প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, সিঙ্গাপুরে বসবাসরত এ পর্যন্ত ১৯ জন বাংলাদেশির শরীরে জিকা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। বর্তমানে তারা সিঙ্গাপুরস্থ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে স্ব-স্ব কর্মস্থলে কাজ করছে বলেও জানা গেছে। দেশে কোনো অবস্থাতেই যাতে জিকা ভাইরাস সংক্রান্ত ব্যক্তি প্রবেশ করতে না পারে সে লক্ষ্যে স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরে জিকা ভাইরাস শনাক্তকরণের জন্য সার্ভিলেন্স জোরদারকরণে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
৩৪টি ওষুধ কারখানার লাইসেন্স বাতিল
নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এমপির প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার জিএমপি (গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্র্যাকটিস) গাইডলাইন যথাযথভাবে পালন না করায় এবং নিম্নমানের ওষুধ উৎপাদনের দায়ে গত পাঁচ বছরে ৩৪টি অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ উৎপাদনকারী কারখানার লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করা হয়েছে। সরকার ইতোমধ্যে বেশ কিছু ওষুধ প্রস্তুতকারী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। এর মধ্যে ১৩টি ওষুধ প্রস্তুতকারী কারখানার লাইসেন্স বাতিলসহ ২০টি প্রতিষ্ঠানের সব ওষুধ উৎপাদন বন্ধ করা হয়েছে। ১৪টি প্রতিষ্ঠানের সকল প্রকার এন্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধ উৎপাদন বন্ধ করা হয়েছে।
নাসিম জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট ৮ মাসে মানবহির্ভূত ওষুধ উৎপাদনের কারণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সর্বমোট ৪৪টি পদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল এবং ২৬ পদের  রেজিস্ট্রেশন সাময়িক বাতিল করা হয়েছে। জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে কোনো প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বা পদ বাতিল বা সাময়িক বাতিল করা হলে তা জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়। তিনি জানান, বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত ওষুধ প্রস্তুতকারী কারখানার সংখ্যা ৮৫৩টি। এর মধ্যে অ্যালোপ্যাথিক কারখানা ২৬৬, ইউনানী ২৬৭, হোমিওপ্যাথিক ৭৯ এবং হার্বাল ৩২টি রয়েছে।
২০২১ সালে জনসংখ্যা হবে ১৭ কোটি ১৬ লাখ
মো. হাবিবর রহমান এমপির প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ নাসিম জানান, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর এক জরিপ মতে বাংলাদেশে জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৩৭ ভাগ। ওই একই বিভাগের অপর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী এ হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকলে ২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশের জনসংখ্যা হবে ১৭ কোটি ১৬ লাখ ৬৪ হাজার।




 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ