Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মোংলায় উদ্ধার ৭৩ টি কচ্ছপ খানজাহান আলী দীঘিতে অবমুক্ত

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০২১, ৫:০৮ পিএম

বাগেরহাটের মোংলা থেকে উদ্ধার করা বিলুপ্ত প্রায় ৭৩ সুন্ধি কচ্ছপকে খানজাহান আলী (রহ:) এর মাজার সংলগ্ন দিঘিতে অবমুক্ত করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) দুপুরে বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তারা এই কচ্ছপ অবমুক্ত করেন।

এসময় বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক খোন্দকার মোহাম্মদ রিজাউল করিম, বন্য প্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, খুলনার মৎস্য বিশেষজ্ঞ মোঃ মফিজুর রহমান চৌধুরী, বন্যপ্রাণি পরিদর্শক রাজু আহমেদসহ বন বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সোমবার (২৬ জুলাই) রাতে মোংলা উপজেলার দিগরাজ বাজার সংলগ্ন আপাবাড়ি নামক স্থানে কোস্টগার্ড ও বন বিভাগ যৌথ অভিযান চালিয়ে ৭৩ টি সুন্ধি কচ্ছপসহ মনোজ রায় নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে। পরবর্তীতে মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে মনোজ রায়কে দুই হাজার টাকা জরিমানা এবং কচ্ছপগুলোকে আলী (রহ) এর মাজার সংলগ্ন দিঘিতে অবমুক্ত করার আদেশ দেন। গোপালগঞ্জ জেলার কোটালিপাড়া এলাকার মঙ্গল চন্দ্র রায়ের ছেলে মনোজ রায় বরিশালসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগ্রহ করা কচ্ছপগুলো বিক্রির জন্য মোংলায় নিয়ে এসেছিল। চারশ থেকে পাঁচশ টাকা কেজি দরে ক্রয় করা কচ্ছপগুলো এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা কেজি দরে মোংলায় বিক্রি হত।

বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, খুলনার মৎস্য বিশেষজ্ঞ মোঃ মফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, সুন্ধি প্রজাতির এই কচ্ছপগুলো মিঠাপানির প্রাণি। বরিশাল, গৌড় নদী, চিতলমারী, মোল্লাহাটসহ মিস্টি পানি অধুষ্যিত বিভিন্ন এলাকায় এই কচ্ছপ পাওয়া যায়। দিন দিন এই কচ্ছপের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এজন্য বন্য প্রাণি সংরক্ষণ আইনে এই কচ্ছপ আহরণ, সংরক্ষণ ও বিক্রয় নিষিদ্ধ।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, বন্যপ্রাণি রক্ষায় সরকার বন্যপ্রাণি সংরক্ষন ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ প্রণয়ন করেছে। যার উদ্দেশ্যই হল আমাদের বন্যপ্রাণিকে স্বাভাবিকভাবে প্রকৃততিতে বিচরণের সুযোগ দিতে হবে। এগুলোকে কোনভাবেই শিকার বা মারা যাবে না। যদি কেউ এসব আইন লঙ্ঘন করে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। এজন্য বন বিভাগের পাশাপাশি আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও সচেষ্ট রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ