Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খুলনায় চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখি

খুলনা ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ৩০ জুলাই, ২০২১, ৮:০৪ পিএম

প্রতি শুক্রবারে বাজারে ক্রেতাদের চাপ থাকে। ছুটির দিনে অনেকেই সপ্তাহের বাজারটা সেরে রাখেন। সদ্য ঈদ শেষ হওয়ায় এবং বৈরি আবহাওয়ার কারণে বাজারে ক্রেতা ছিল কম। ঈদ পরবর্তী খুলনার বাজারে সব ধরণের চালের দাম কেজি প্রতি ২/৩ টাকা বেড়েছে। মাছের দাম বেড়েছে লাগামহীন ভাবে। আগুন লেগেছে কাঁচা মরিচে। অন্য সব সবজির দাম বাড়তি হেঁকেছেন অন্তত ৫ টাকা। ক্রেতাশূন্য গোশতের বাজারে দাম কমেছে দেশি মুরগির।

রূপসা স্ট্যান্ড রোডের বাসিন্দা মোহাম্মদ রহমত আলী সানা ৫০ কেজির এক বস্তা আতপ চাল কিনেছেন ২৫৫০ টাকায়। দুই সপ্তাহ আগে একই চাল কিনেছিলেন ২৪৫০ টাকায়। লকডাউনে যখন আয় রোজগারে চরম মন্দা সেই সময় এক বস্তা চালে বাড়তি একশ’ টাকা ব্যয় তাকে ভাবনায় ফেলেছে।
নতুন বাজারের খুচরা চাল ব্যবসায়ী এস এম মতিউর রহমান। চালের বাড়তি দামের জন্য দূষলেন মিলারদের সিন্ডিকেট ও মজুদদারীকে। এই ব্যবসায়ীর দাবি, আগে মায়ানমার, পাকিস্তান ও থাইল্যান্ড থেকে চাল আসতো। এখন বন্ধ। ভারত থেকে আগে প্রচুর চাল আসলেও এখন আসছে খুবই কম। ঈদের পরে সব ধরনের চালের দাম ২ থেকে ৩ টাকা বেড়েছে। স্বর্ণা ৪৮ টাকা, হিরা ৪৪ টাকা, ২৮ বালাম ৫২ টাকা, মিনিকেট ৬০-৬২ টাকা, সিদ্ধ কাটারি ৬২ টাকা, ভাইটেল ৭৫ টাকা, ২৮ আতপ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কালজিরা চাল ৮৫ থেকে ৯০, কাটারি এবং চিনিগুঁড়া চাল ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগে এ ধরনের চাল ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হতো।
এই বাজারে ছোট সাইজের রুই মাছ ২৩০ টাকা, মাঝারি সাইজের রুই ২৮০/৩০০ এবং বড় সাইজের রুই ৩৫০ টাকায়, কাতলা মাছ ২৫০ টাকায়, হ্যাচারির শিং মাছ সাইজ ভেদে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকায়, কই মাছ ১৫০ থেকে ২০০ টাকায়, টেংরা মাছ ৬০০ টাকায়, দেশি ভেটকি ৬০০ টাকা এবং ভারতীয় ভেটকি কেজি প্রতি ৫০০ টাকা, চিংড়ি ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা, বাগদা চিংড়ি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ থেকে ১৬০ টাকায় এবং পাঙ্গাশ ১২০/১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড় প্রায় দু’কেজি সাইজের ইলিশ মাছ ২০০০ টাকা কেজি, মাঝারি দেড় কেজি সাইজের ইলিশ ১৮০০ টাকা, এক কেজি সাইজের ইলিশ ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চার পিসে এক কেজি হবে এমন ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়।
ব্রয়লার ১২০, কক ১৮০, লেয়ার ২০০ এবং সোনালী ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। দাম কমেছে দেশি মুরগির। আগে ৪০০ টাকা কেজি বিক্রি করলেও ঈদের পরে বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ থেকে ৩৭০ টাকায়। গতকাল বাজারে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচের। কেজি বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকায়। অথচ ঈদের আগে দাম ছিল ৪০। আলু ২৫ টাকায়, পেয়াজ ৫০, রসুন দেশি ৭০ ও চায়না ১৫০ টাকায়, আদা ১৪০ টাকা, বরবটি ৪০, খিরাই ৩০, টমেটো ১২০, করলা ৫০, বেগুন ৪০, পটল ২৫, কচুরমুখি ৩০, পেঁপে ২০, ঢেড়স ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সময়ের চাহিদা সম্পন্ন মশলা জাতীয় পণ্য চুই ঝাল মানভেদে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ