Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

দেশ স্বাধীন হলেও আমরা এখনো পরাধীন ধর্মহীন শিক্ষা চাপানোর সকল চক্রান্ত ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করা হবে -ছাত্র সম্মেলনে প্রিন্সিপাল হাবীবুর রহমান

প্রকাশের সময় : ১ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর প্রিন্সিপাল আল্লামা হাবিবুর রহমান বলেছেন, আমাদের দেশ ’৪৭-এ একবার ও ’৭১-এ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হলেও প্রকৃত অর্থে এখনো স্বাধীন হয়নি। আমাদের দেশে যতদিন ব্রিটিশদের প্রণীত আইন চলবে ততদিন আমাদেরকে পরাধীনতার শিকল পরেই থাকতে হবে। এ থেকে মুক্ত হতে মুসলমানদেরকে ইসলামী আইনে ফিরে আসতে হবে। তাহলেই ইসলামী শাসন ও শান্তির রাজ কায়েম হবে। তিনি আরো বলেন, শিক্ষার পরিবর্তন হলে জাতির পরিবর্তন হয়। আদর্শ শিক্ষাব্যবস্থাতেই দেশে আদর্শ নাগরিক তৈরী হয়। ধর্মহীন শিক্ষানীতি, শিক্ষাআইন ও পাঠ্যসূচী বাতিল করে শিক্ষার সকল স্তরে আদর্শ নাগরিক সৃষ্টির উপযোগী গণমুখী ও সার্বজনীন ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। তাহলেই দেশে ইসলামী অনুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে এবং সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য বন্ধ হবে। তিনি গতকাল সকালে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কওমী শিক্ষার স্বীকৃতির বিষয়ে উলামায়ে কেরামের উপর বিতর্কিত কমিটি চাপিয়ে দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে উলামায়ে কেরামের মধ্যে অনৈক্যের পরিবেশ তৈরীর মাধ্যমে ধর্মহীন শিক্ষানীতি, শিক্ষাআইন ও পাঠ্যসূচী বহাল রাখার অপকৌশল গ্রহণ করেছে বলে মনে হচ্ছে। সরকারে থাকা নাস্তিক ও বিধর্মীদের একটি মহল এদেশের মুসলমান জনগোষ্ঠীর উপর ধর্মহীন সিলেবাস চাপিয়ে দিয়ে জাতিকে ধর্মহীন করার চক্রান্ত বাস্তবায়নে উঠেপড়ে লেগেছে। এমতাবস্থায় উলামায়ে কেরামকে অত্যন্ত সচেতন থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই চক্রান্ত প্রতিহত করতে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ হারুনুর রশিদের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী জেনারেল আব্দুর রহিম সাঈদের পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামিয়া মুহাম্মদিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবুল কালাম, খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর মাওলানা রেজাউল করিম জালালী, মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জাললুদ্দীন আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা কুরবান আলী, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা আবু সাঈদ নোমান, মাওলানা এনামুল হক মূসা, মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, মাওলানা নূর মুহাম্মদ আজিজী, শেখ শুয়াইব আহমদ, সাবেক সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা মুনিরুজ্জামান, ইয়াসিন আরাফাত মিতুল, খেলাফত মজলিস সিলেট মহানগরী সহ:সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা জাহিদ উদ্দিন চৌধুরী, খেলাফত মজলিস জেদ্দা শাখার প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম, সাবেক ছাত্র নেতা মাওলানা আবু ইউসুফ নাসির, মাওলানা আরিফুল হক ইদরিস, জাহাঙ্গীর হুসাইন, রিজওয়ান হুসাইন, মাওলানা আমানুল্লাহ। বন্ধুপ্রতিম অন্যান্য ইসলামী ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সর্বদলীয় ইসলামী ছাত্রঐক্যের মুখপাত্র আব্দুল কাদের, আব্দুল্লাহ আল মাসউদ খান, হাফেজ আল আমীন, আব্দুর রহমান, মুহাম্মদ নুরুজ্জামান প্রমুখ। সম্মেলনে সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ প্রতিহতসহ পাঁচটি প্রস্তাব গৃহীত হয়। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে নতুন কমিটি গঠন করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ