Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সড়কে আরো মনোযোগ দিতে হবে

সরদার সিরাজ | প্রকাশের সময় : ৮ আগস্ট, ২০২১, ১২:০৪ এএম

এখন দেশের প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম হচ্ছে সড়ক। নৌ ও রেলপথ সংকুচিত হওয়ায় এটা হয়েছে। প্রধান হলেও সড়কের পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় বেশি নয়। যা আছে, তারও অধিকাংশের অবস্থা শোচনীয়! উপজেলার সাথে বেশিরভাগ এলাকার রাস্তা হয়েছে। কিন্তু তা অপ্রশস্ত ও কাচা। উপরন্তু অর্ধেকের বেশি ভাঙ্গাচোরা। তাই চলাচল খুবই দুস্কর। শহরেরও রাস্তার অবস্থাও তথৈবচ। এমনকি হাইওয়েরও। ঢাকা মহানগরীতেও বহু রাস্তা ভাঙ্গা, অনেক ম্যানহোলের ঢাকনা নেই, স্যুয়ারেজ লাইনেরও অধিকাংশই ভাঙ্গাচোরা। এছাড়া বৃষ্টি হলেই ব্যাপক পানিবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। মানুষ ও যান চলাচলে কঠিন হয়। অন্যসব মহানগরীর অবস্থাও প্রায় একই। গত জুনে সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সে মতে, দেশজুড়ে সওজের সড়কের পরিমাণ ২২.৫ হাজার কি.মি.। তার মধ্যে চার লেনের ৫০০ কি.মি. এবং আট ও ছয় লেনের মাত্র ৩৮ কি.মি.। সংস্থাটির নেটওয়ার্কে থাকা ৩,৬৪৭ কি.মি. সড়কের অবস্থা খারাপ। ৮৩৯ কি.মি. খুবই খারাপ,সাড়ে ৯০০ কি.মি. খারাপ ও প্রায় ১,৮৫০ কি.মি বেশ দুর্বল। রিপোর্টে জেলা ভিত্তিক ভাল-মন্দ রাস্তার শতকরা হারও বলা হয়েছে। সওজের আওতা বহির্ভূত রাস্তার অবস্থাও তদ্রæপ। ব্রিজগুলোর অবস্থাও তাই। রাস্তা ও ব্রিজ যেটুকু সংস্কার এবং নতুন করা হয় তার নির্মাণ ব্যয় অত্যধিক। বিশ্ব ব্যাংকের মতে, ‘বাংলাদেশে সড়ক নির্মাণের ব্যয় ভারত ও চীনের চেয়ে বেশি’। মানও খারাপ। তাই কাজ শেষ হতে না হতেই অনেকগুলোর পিচ উঠে যায়। ধসেও যায়। নিয়ম পালন না করায় এসব হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব রাস্তা কংক্রিটে নির্মাণ করার নির্দেশ দিয়েছেন অনেক দিন আগে। তা কার্যকর হয়নি তেমন। বেশিরভাগ সড়কের নকশা প্রণয়নে ও নির্মাণে আন্তর্জাতিক মানদন্ড পালিত হয় না। সর্বোপরি সড়কের কোন কাজই নির্দিষ্ট সময়ে সম্পন্ন হয় না। বারবার সময় ও বরাদ্দ বাড়ানো হয়। বহু স্থানে সেতু আছে সড়ক নেই। আবার কোথাও সড়ক আছে সেতু নেই। এসব ভ্যালুলেস। রাজধানী ঢাকায় ৭টি ফ্লাইওভার ও কয়েকটি ইউলুপ নির্মাণ করা হয়েছে। এসব দিয়ে দ্রুত যাতায়াত করা যায়। শেষ হলেই পুনরায় সরু রাস্তায় ঢুকতে হয় এবং ভয়াবহ যানজটে পড়তে হয়। পদ্মাসেতু থেকে ঢাকায় প্রবেশের আগে যাত্রাবাড়ী ও সাভারমুখী ডাইভার্ট রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে, যাতে এই দুই পথে যাওয়া গাড়ির ঢাকার ভেতরে ঢুকতে না হয়। এটার নির্মাণ শেষ হলে সুফল পাওয়া যাবে। অপরদিকে, কয়কটি মহাসড়ক ৪ লেনের ও ৬ লেনের করা হচ্ছে।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ২০১৯ সালের সূচক মতে, ‘বিশ্বমানের সড়কের বৈশ্বিক তালিকায় বাংলাদেশ-১০৭তম। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের চেয়ে খারাপ সড়ক আছে কেবল নেপালে।’ অথচ ২০০৭ সালের এই সূচকে ভারত ছিল ৮২তম, আর বাংলাদেশ ছিল ৮৩তম। এক যুগের মধ্যে সূচকে ভারতের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে, আর বাংলাদেশের অনেক অবনতি হয়েছে। এই সময়ে বাংলাদেশের সড়ক উন্নয়নে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা। গত দু’বছরে উক্ত সূচকে দেশের অবস্থানের খুব পরিবর্তন হয়েছে বলে মনে হয় না। এই অবস্থায় আঞ্চলিক জোটের ও এশিয়ান হাইওয়ের কার্যক্রম শুরু হলে বিভিন্ন দেশের অসংখ্য যানবাহন দেশের রাস্তা দিয়ে সহজে চলাচল করতে ও হেভি ওয়েট যানের ভার বহনের সক্ষমতা হবে কি-না, সংশয় রয়েছে। এ অবস্থায় ভুল পরিকল্পনার কারণে বুড়িগঙ্গার বছিলা ব্রিজসহ দেশের ৮০৫টি সেতু ভেঙে নতুন করে ১২৪৪টি আরসিসি/পিসি গার্ডার ব্রিজ নৌ চলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় উচ্চতায় পুনর্নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি এখন থেকে রাস্তা নির্মাণ, সংস্কার ও সম্প্রসারণে ওভার পাস, আন্ডার পাস ও ইউলুপ তৈরিরও নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশ কতদিনে বাস্তবায়ন হবে তা বলা কঠিন। দ্বিতীয়ত ভুলের কারণে বিপুল অর্থ গচ্চা যাবে। দেশের বেশিরভাগ সড়কের দু’পাশ ময়লার ভাগারে পরিণত হয়েছে।
দেশের সড়ক যানও উন্নতর নয়। বেশিরভাগের মেয়াদ উত্তীর্ণ। বৈধ চালকেরও প্রচন্ড অভাব রয়েছে।খবরে প্রকাশ, ‘দেশজুড়ে ৪৬ লাখ যানবাহন রয়েছে, যার বিরাট অংশ মেয়াদ উত্তীর্ণ। আর লাইসেন্সবিহীন চালকের সংখ্যা ২৪ লাখ।’ অর্থাৎ দক্ষ চালকের ঘাটতি প্রায় অর্ধেক। অথচ, একজন দক্ষ ড্রাইভার তৈরি করতে সময় লাগে মাত্র ৩-৪ মাস। তাও করা হচ্ছে না! অপরদিকে, এক গবেষণা পত্রে প্রকাশ, ‘কর্মরত চালকদের বিপুল সংখ্যক ড্রাগ অ্যাডিকটেড। এছাড়া, অনেকের চোখের সমস্যা রয়েছে।’ দূরপাল্লার যানের চালক ও হেলপারদের প্রয়োজনীয় বিশ্রামের ব্যবস্থা নেই। একনাগাড়ে এক থেকে দেড় দিন ডিউটি করতে হয়। প্রয়োজনীয় বিশ্রামের ব্যবস্থা করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেটি পালিত হয়নি। আন্তঃজেলা বাস ও ট্রাক টার্মিনালগুলোর পরিবেশের মান চরম খারাপ। চালক ও হেলপারের বিশ্রাম ও বিনোদনের ব্যবস্থা নেই তেমন। অপরদিকে, কার পার্কিংয়ের ব্যবস্থা না থাকায় বেশিরভাগ যানবাহন রাস্তায় এলো পাথাড়ীভাবে রাখা হয়। সরকারি গাড়িগুলোরও একই অবস্থা। ফলে মানুষ ও যান চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটে। আইন মোতাবেক প্রত্যেক বিল্ডিংয়ে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হলে এই অবস্থা হতো না। এমনকি ঢাকায় কয়েকটি কার পার্কিং সেন্টার করা হলেও সেখানে গাড়ি রাখা হয় না। তাই ফাঁকা পড়ে থাকে। বড় সড়কে করিমন-নসিমন ও অযান্ত্রিক যান চলাচল নিষিদ্ধ। তবুও চলছে অবাধে। ট্রাফিক ব্যবস্থাও চরম ভঙ্গুর। বিপুল অর্থ ব্যয় করে আধুনিক সিগনালিং ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। কিন্তু বেশিদিন টিকেনি।
দেশের সব সড়কের প্রায় অর্ধেক যায়গা অবৈধ দোকান ও স্থাপনায় ভরপুর। মহাসড়কেও হাটবাজার বসে। এসব অবৈধ দোকান থেকে বছরে ২ হাজার কোটি টাকার অধিক চাঁদাবাজি হয় বলে খবরে প্রকাশ। এসব দোকানপাট উচ্ছেদের জন্য মাঝে-মধ্যেই অভিযান চালানো হয়। কিন্তু অভিযান শেষ হলেই ‘যাহা পূর্বং তাহা পরং’ হয়ে যায়। তাই দেশে যানজট ও দুর্ঘটনার মাত্রা ও ক্ষতির পরিমাণ বেড়েই চলেছে। বিনিয়োগও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ‘নিরাপদ সড়ক চাই’র তথ্য মতে, ২০২০ সালে মোট ৪,০৯২টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাতে অন্তত ৪,৯৬৯ জন নিহত ও ৫,০৫৮ জন আহত হয়েছে। সড়কে ট্রাক ও বাসে ব্যাপক চাঁদাবাজি হয়। এসব চাঁদাবাজি নিয়ে গ্রুপিং ও হানাহানির সংখ্যাও অনেক। বাস মালিকরা অতিরিক্ত যাত্রী বহন, ইচ্ছামত যত্রতত্র যাত্রী উঠানো-নামানো এবং যখন তখন ভাড়া বৃদ্ধি ও অঘোষিত ধর্মঘট করে মানুষকে জিম্মি করে। তবুও কোন প্রতিকার নেই।
দেশের সড়ক ও যানবাহনে চলছে চরম নৈরাজ্য। সড়কে শৃংখলা ও নীতি বাস্তবায়ন করার জন্য বিআরটিএ ও তার জনবল এবং পুলিশ রয়েছে। তবুও পরিস্থিতির বিন্দুমাত্র উন্নতি হচ্ছে না। বরং ক্রমাবনতিই হচ্ছে। দেশের ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে এসব বালাই নেই। ঢাকা শহরে প্রায় চার হাজার বাস চলে। প্রতি বাসে আসনসংখ্যা গড়ে ৪০টি। সেই হিসাবে মোট যাত্রী ধারণক্ষমতা প্রায় ১.৬০ লাখ। জাইকার মতে, ঢাকায় দৈনিক প্রায় ২৫-৩০ লাখ যাত্রী পরিবহন হয়। বাসের অতিরিক্ত যাত্রীরা হেঁটে, প্রাইভেট কারে, রিকশা, টেম্পো ইত্যাদিতে যাতায়াত করে। এতে চরম ভোগান্তি হয়।
সড়ক দুর্ঘটনা কমানোর লক্ষ্যে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ করা হয়েছে। কিন্তু পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের প্রবল আপত্তির কারণে তা বাস্তবায়ন হয়নি। তাই দুর্ঘটনায় মৃত্যুর শাস্তি কমিয়ে আইনটি সংশোধন করা হচ্ছে। নিরাপদ সড়কের জন্য গঠিত টাস্কফোর্সের ১১১ দফা সুপারিশও বাস্তবায়ন হয়নি ঠিকমত। এ অবস্থায় ‘মহাসড়ক আইন, ২০২১’ অনুমোদিত হয়েছে মন্ত্রিসভায়। এরও ভাগ্যে কী জুটবে তা বলা কঠিন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছে, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ভ্যান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু এর চালকরা বিকল্প কাজের দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় তারা সরকারি নির্দেশ মানবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। কিছু রাজনৈতিক দলও তাদের দাবি সমর্থন করেছে। দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশ, ‘সারাদেশে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজি বাইকের সংখ্যা কমপক্ষে ১৮ লাখ। এর মধ্যে ১১ লাখ রিকশা ও ভ্যান এবং ৭ লাখ ইজিবাইক। এসব থেকে প্রতিদিন কমপক্ষে ২০ কোটি টাকা চাঁদা তোলা হয়। ক্ষমতাসীন দলের নেতারা এই চাঁদা তোলে, যার একটা বড় অংশ পায় পুলিশ।’ এই পরিস্থিতিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ভ্যান নিষিদ্ধ কার্যকর হবে কি-না তা বলা কঠিন।
বিশ্বব্যাপী আধুনিক ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিচালিত সড়ক যান আবিষ্কারের প্রতিযোগিতা চলছে। বহু সংস্থা উড়ন্ত যান তৈরি করছে। কার্বন নিঃসরণ শূন্য উড়ন্ত গাড়ি, ট্যাক্সি, কার্গো তৈরি করছে হুন্দাই, জিএম, টয়োটা, ডেইমলার এজি, এয়ারবাস, নিশান ও গিলি কোম্পানি। বায়ুদূষণ প্রতিরোধী গাড়ি তৈরি করেছে চীন। এসব নতুন গাড়ির ব্যবহারও ক্রমশ বাড়ছে। মরগান স্ট্যানলি বলেছে, এয়ার ট্যাক্সির বাজার ২০৫০ সালের মধ্যে ৯ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছবে। বেলারুশের ইউস্কাই কোম্পানি আবিষ্কার করেছে চালকবিহীন উচ্চগতির ঝুলন্ত স্টিলের ট্রাক-স্কাই পড। বিদ্যুৎচালিত এই যানটির গতিবেগ ঘণ্টায় ১৫০ কি.মি. এবং ঘণ্টায় ১০ হাজার যাত্রী বহনে সক্ষম। এটি আমিরাতের শারজাহতে পরীক্ষামূলকভাবে ৪০০ মিটার চালানো হয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, এক কি.মি. পথ তৈরিতে ব্যয় হয় স্কাই পডের এক কোটি ডলার, আর পাতাল পথে ১৫ কোটি ডলার। কোম্পানিটি কনটেইনারও তৈরি করছে, যা একই নেটওয়ার্কে ঘণ্টায় ৯০ কি.মি বেগে ৪০ টন পণ্য পরিবহনে সক্ষম। থ্রি ইন ওয়ান অর্থাৎ সড়কে, পানিতে ও উড়ে চলতে পারা যানও আবিষ্কৃত হয়ে ব্যবহৃত হচ্ছে। সেন্সরভিত্তিক প্রযুক্তি- ‘টার্ন অ্যাসিস্টেন্ট’ আবিষ্কৃত হয়েছে। এটি ব্যবহার করলে ব্লাইন্ড স্পটে কোনো বাধা টের পেলে সংকেত পাঠায় এবং নিজে থেকেই এমারজেন্সি ব্রেক করে। ফলে দুর্ঘটনা এড়ানো যায়। তাই আগামী বছর থেকে সব ট্রাকে ‘টার্ন অ্যাসিস্টেন্ট লাগাতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন আইন করেছে।
দেশের জনসংখ্যা বাড়ছে। অর্থনৈতিক কর্মকান্ডও বাড়ছে। যানবাহনের সংখ্যাও বাড়ছে। এছাড়া, আন্তর্জাতিক রুট হিসাবেও বাংলাদেশের সড়কের ও যানের চাহিদা বাড়ছে। এশিয়ান হাইওয়েতে যুক্ত হলে এ চাহিদা ব্যাপক বেড়ে যাবে। সড়ক ও তার যানের চাহিদা বাড়বে ব্যাপকভাবে। তাই এসব চাহিদা মাফিক এবং সময়োপযোগীভাবে সড়ক নির্মাণ করা দরকার। এছাড়া, অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় দক্ষ চালকের চাহিদাও পূরণ করা ও সব চালককে স্মার্ট কার্ড প্রদান করা দরকার। এইসঙ্গে সড়কে শৃংখলা ফিরিয়ে আনা, যানজট ও দুর্ঘটনা দূর করা জরুরি। সে লক্ষ্যে নিয়ম-নীতি কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। সমগ্র সড়কে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে মনিটর করা হলে ব্যাপক সুফল পাওয়া যাবে।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সড়ক


আরও
আরও পড়ুন