Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শেখ হাসিনার ইসলামাবাদ সফর দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার করবে : সিদ্দিকী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ আগস্ট, ২০২১, ৭:০৮ পিএম

বাংলাদেশের সাথে পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের আরও উন্নয়নের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী।তিনি বলেন, তার দেশের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ইসলামাবাদ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। এই সফর দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার করবে।

শেখ হাসিনার সফর নিয়ে একটি বাংলাদেশি গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এ সফর পারস্পরিক স্বার্থে এবং গভীর সমঝোতার জন্য দুই দেশকে উৎসাহিত করবে। তিনি উল্লেখ করেন, দক্ষিণ এশিয়ায় স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব এবং কাশ্মিরি জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী জম্মু ও কাশ্মির বিরোধ নিষ্পত্তির ওপর নির্ভর করে। আফগানিস্তানের চলমান সঙ্কট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একটি শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল, ঐক্যবদ্ধ, সার্বভৌম, গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ আফগানিস্তান গঠনে পাকিস্তানের সরাসরি আগ্রহ রয়েছে। পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে বর্তমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অবস্থা সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ অঞ্চলের ও এর বাইরের দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান অভেদ্য ভ্রাতৃত্বসুলভ সম্পর্ক উপভোগ করছে, যা একই ইতিহাস, বিশ্বাস ও অভিন্ন স্বার্থের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। আমাদের নিজ নিজ দেশের নেতারা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান যিনি বাংলাদেশের নেতৃত্ব ও জনগণকে উচ্চ মর্যাদা দিয়ে থাকেন, তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি লিখেছেন। ওই চিঠিতে তিনি বাংলাদেশের জনগণ ও নেতৃবৃন্দের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান চিঠিতে দুই দেশের মধ্যে পুনর্মিলন ও বন্ধুত্বের দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গির কথা স্মরণ করেন। দুই দেশের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের যোগাযোগ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরো উন্নীত করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টা। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার সুবিধামতো সময়ে পাকিস্তানে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা প্রকাশ করে দেয়া চিঠিতে পাকিস্তানের আমন্ত্রণ গ্রহণ করায় আমরা পাকিস্তানি জনগণ সম্মানিত বোধ করছি। এ সফর পারস্পরিক স্বার্থ ও গভীর সমঝোতার জন্য দুই দেশকে উৎসাহিত করবে।

তিনি বলেন, আঞ্চলিক শান্তি, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য এবং এর পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশগত অবনতি ও জনস্বাস্থ্য সঙ্কটের মতো সমসাময়িক বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য আমাদের গভীর প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্ক ও সংযোগ গড়ে তুলতে হবে।

টেকসই উন্নয়ন ও যোগাযোগের জন্য পাকিস্তান দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তার আহ্বান জানায়। বর্ধিত বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জ্বালানির নিরাপত্তা, পর্যটনের জন্য এ অঞ্চলের মধ্যে এবং এর বাইরে জনগণের সাথে জনগণের যোগাযোগের প্রতি উচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে পাকিস্তান। আঞ্চলিক সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য পাকিস্তানের তার ভূখণ্ডকে কাজে লাগানোর ভূ-অর্থনৈতিক অগ্রাধিকার রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের প্রাথমিক স্বার্থ একটি শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্বব্যবস্থায় টেকসই উন্নয়ন কৌশলগুলোর জন্য অনুকূল। অতএব, আমরা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, সমবায় বহুপক্ষীয়তা এবং শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির অভিন্নতার ভিত্তিতে এবং ভাগ করে নেয়া লক্ষ্যগুলোর ওপর ভিত্তি করে অর্জিত ফলাফলের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

জম্মু ও কাশ্মির ইস্যুতে এক প্রশ্নের উত্তরে ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, জম্মু ও কাশ্মির আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি বিরোধপূর্ণ অঞ্চল এবং জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের অতি গুরুত্বপূর্ণ তালিকাভুক্ত একটি অ্যাজেন্ডা। জাতিসঙ্ঘের অধীনে ভোটের মাধ্যমে এ বিরোধটি মীমাংসার জন্য নিরাপত্তা পরিষদে একাধিক রেজ্যুলেশন রয়েছে। জম্মু-কাশ্মির নিয়ে ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট ভারতের অবৈধ ও একপক্ষীয় সিদ্ধান্ত নেয়ার পর জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদে তিনবার আলোচনা হয়েছে। জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব ও জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের সভাপতি, ‘জাতিসঙ্ঘ সনদ ও জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব অনুযায়ী’ জম্মু ও কাশ্মির বিরোধ নিষ্পত্তির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। জাতিসঙ্ঘের এ প্রস্তাবনা কাজ নিশ্চিত করে যে জম্মু ও কাশ্মির একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃত বিরোধপূর্ণ অঞ্চল এবং এটি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়। কোনো প্রচারই জম্মু ও কাশ্মিরের বিরোধপূর্ণ ব্যাপারটিকে পরিবর্তন করতে পারে না এবং তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারকে কোনোভাবেই পাশ কাটিয়ে যেতে পারে না। তিনি বলেন, অবৈধভাবে দখলদার রাষ্ট্র ভারত জম্মু ও কাশ্মিরি জনগণের বিরুদ্ধে কঠোর ও নিয়মতান্ত্রিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযান জোরদার করেছে, যা জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার এবং অন্যান্য অধিকার সংস্থার প্রতিবেদনে ব্যাপকভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ভারত অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মিরে জনসংখ্যাতাত্ত্বিক কাঠামো পরিবর্তনের চেষ্টা করা হচ্ছে বাসস্থান সম্পর্কিত নকল সার্টিফিকেট ইস্যু করে।

তিনি বলেন, ভারত সরকারের নেয়া এসব বিষয় আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন, এমনকি নিরাপত্তা পরিষদের গৃহীত রেজ্যুলেশন এবং চতুর্থ জেনেভা কনভেনশনেরও লঙ্ঘন। ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট থেকে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং জম্মু ও কাশ্মিরের মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। জম্মু-কাশ্মিরে ভারতীয় কর্মকাণ্ডের জন্য গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়, ইউরোপীয় মানবাধিকার কমিশন, ইউনাইটেড কিংডমের অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ অন কাশ্মির এবং অন্যান্য সুশীলসমাজ সংগঠন। পাকিস্তান বিশ্বাস করে দক্ষিণ এশিয়ায় স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা নির্ভর করছে, ‘জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের সমাধানের আলোকে এবং জম্মু-কাশ্মিরি জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে।’

তিনি বলেন, ভারত কর্তৃক অবৈধভাবে অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মিরের ব্যাপারে পাকিস্তানের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন নেই। এ ব্যাপারটিতে পাকিস্তানি নেতৃবৃন্দের বক্তব্য-বিবৃতিতে নীতিগত অবস্থান স্পষ্ট। জম্মু-কাশ্মিরের মানুষের মধ্যে স্পষ্ট ও দ্বিধাহীন বাস্তবতা হলো কাশ্মিরি জনগণ দখলদারিত্বকে প্রত্যাখ্যান করেছে। আমরা আমাদের কাশ্মিরি ভাই ও বোনদের এ অবস্থানকে সম্মান জানাই। নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর ২০০৩ সালে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে যে সমঝোতা হয়েছিল, তা বাস্তবায়নের জন্য পাকিস্তান ক্রমাগত আহ্বান জানিয়েছে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই বোঝাপড়ার পুনরাবৃত্তি নিয়ন্ত্রণ লাইনে (এলওসি) শান্তি বজায় রাখা, কাশ্মিরিদের মূল্যবান জীবন বাঁচানো এবং এলওসির উভয় পাশে বসবাসকারী কাশ্মিরিদের কষ্ট লাঘবের জন্য পাকিস্তানের অবস্থান সামঞ্জস্যপূর্ণ। পাকিস্তান সব সময় একটি ‘অর্থপূর্ণ’ ও ‘ফল বয়ে আনবে’ এমন একটি পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানিয়ে আসছে। কিন্তু জম্মু ও কাশ্মির বিরোধ মূল সমস্যা হিসেবে রয়ে গেছে। জাতিসঙ্ঘের প্রস্তাব অনুযায়ী এবং কাশ্মিরি জনগণের আকাংখা অনুযায়ী এ বিরোধের সমাধান হতে হবে। দীর্ঘ দিন ধরে ঝুলে থাকা এ বিরোধ নিষ্পত্তির আন্তরিক প্রচেষ্টা এ অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পারে।


ইমরান সিদ্দিকী বলেন, আমরা বিশ্বাস করি যে, আঞ্চলিক অসমতা ও অস্ত্র তৈরির অস্থিতিশীলতা, কৌশলগত ও প্রচলিত উভয় ক্ষেত্রেই সীমিত পারমাণবিক যুদ্ধের মতো বিপজ্জনক ধারণা এবং অতর্কিত হামলার মতো ঘটনাই অস্থিতিশীলতার কারণ। আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য এসব হুমকি অবশ্যই যথাযথভাবে অনুধাবন করতে হবে এবং জাতীয় নিরাপত্তা নীতিতে এর প্রতিফলন হতে হবে। এ অঞ্চলের নেতৃবৃন্দের অনুধাবন ক্ষমতা ও অস্থিতিশীলতা এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকিগুলোর প্রভাব উপলব্ধি করা দেশগুলোর নেতৃত্বের মানের (লিডারশিপ কোয়ালিটি) ওপর নির্ভর করে। মধ্যযুগীয় আধিপত্যবাদী মতাদর্শ আঞ্চলিক আধিপত্যবাদী মানসিকতায় খুঁজলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করে। সিনিয়র নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে আসা দায়িত্বজ্ঞানহীন ও উসকানিমূলক বক্তব্য ও কৌশলগত যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভুল ব্যাখ্যা যায়। উপরন্তু আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা প্রচলিত অস্ত্রের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ ও সংযত আচরণের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। আমাদের অঞ্চলে আমরা যা দেখছি তা হলো, একটি বিপরীত প্রবণতা। কোনো কোনো দেশ এ অঞ্চলের ক্ষুদ্র রাজ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ নীতি বজায় রাখা এবং আগ্রাসনের পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মিরের মতো অঞ্চল দখলের প্রবণতা দেখতে পাই।

তিনি বলেন, পাকিস্তান অতীতে দক্ষিণ এশিয়ায় কৌশলগত সংযমের ধারণা প্রস্তাব করেছে, যা তিনটি প্রধান উপাদান নিয়ে গঠিত : ১. বিরোধের সমাধান বিশেষ করে জম্মু ও কাশ্মিরের মতো প্রধান বিরোধপূর্ণ বিষয়গুলোর সমাধান, ২. প্রচলিত বাহিনীর মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা এবং ৩. পারমাণবিক ও প্রচলিত ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ন্ত্রণে পারস্পরিক ব্যবস্থা গ্রহণ। পাকিস্তান সংযম ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি ‘কনফিডেন্ট বিল্ডিং মেজার’ (সিবিএম) প্রস্তাব করেছে, যাতে অপারেশনাল অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের দিকগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। কিন্তু এসব বিষয়ে ভারতের দিক থেকে ইতিবাচক সাড়া আসেনি। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, উত্তেজনা ও নিরাপত্তাহীনতার মূল কারণগুলো শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধান হোক। দুই দেশের উচিত এই প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করা এবং অস্ত্র প্রতিযোগিতা এড়িয়ে চলা। পাকিস্তানের আচরণ এর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। কিন্তু আমাদের এ অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হতে পারে এমন পরিস্থিতি বেড়ে চলেছে। একতরফা উসকানিমূলক ব্যাপারে আমরা উদ্বিগ্ন।

আফগানিস্তান ইস্যুতে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পাকিস্তান বারবার বলে আসছে যে, আফগান জনগণের নেতৃত্বাধীন এবং আফগানিস্তানের নিজস্ব প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আফগানিস্তানে শান্তি অর্জন সম্ভব। আফগানিস্তানে সহিংসতা ও সামরিক সংঘর্ষ প্রতিবেশী দেশগুলোতে শরণার্থী সমস্যা বাড়ানোর সাথে সাথে অতিরিক্ত চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসবে। সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে কয়েক দশকের পুরনো সঙ্ঘাতের স্থায়ী নিষ্পত্তির জন্য আফগানদের একটি ঐতিহাসিক সুযোগ সামনে এসেছে। অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের জন্য তাদের প্রাথমিক দায়িত্ব রয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অন্যান্য সদস্যের মতো আফগান সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য পাকিস্তানকেও আফগানিস্তানে সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখতে হবে। কিন্তু আফগানিস্তানে দীর্ঘস্থায়ী দ্বন্দ্বের অবসান ঘটাতে আফগান স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে সমন্বিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাংলাদেশ-পাকিস্তান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ