Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ভালো ফলনেও হতাশ পেয়ারা চাষি

এস এম সোহেল বিল্লাহ কাজল, পিরোজপুর থেকে | প্রকাশের সময় : ১১ আগস্ট, ২০২১, ১২:০৩ এএম

বছরের এই সময় পিরোজপুরের নেছারাবাদের পেয়ারা বাগানের বাজারগুলো ক্রেতা, বিক্রেতা ও পর্যটকদের পদচারনায় মুখরিত থাকে। এসব এলাকার মূল হাট-বাজারগুলো ভাসমান হওয়ায় নৌকাই চলে সকল বেচা-কেনা। মৌসুমী সময়ে কেনা বেচা বেশি হলেও এই ভাসমান হাটটির চাহিদা থাকে বছরজুড়ে। এই হাট থেকে পেয়ারাসহ অন্য পণ্য কিনে নিয়ে পাইকাররা বিক্রি করেন দেশের বিভিন্নস্থানে। এ বছর পেয়ারার ফলন ভালো হলেও পাইকারি ও খুচরা ক্রেতার অভাবে হুমকির মুখে পড়েছেন চাষিরা। ক্রেতার অভাবে গাছ থেকে পেয়ারাও তুলতে পারছেন না চাষিরা। তবে চাষিদের সকল সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।
জানা যায়, প্রায় দুই শতাধিক বছর আগের তীর্থ করতে এখানের একজন ভারতের বিহার রাজ্যের গয়াতে গিয়েছিলেন। সেখানে এই ফল দেখে চাষ সম্পর্কে অবগত হয়ে বীজ এনে রোপণ করেছিলেন আটঘর-কুড়িয়ানাতে। গয়া থেকে আনা বীজ রোপণ করে ফল পাবার পর এর নাম রাখা হয়েছিল গয়া। সেখান থেকে অপভ্রশং হয়ে স্থানীয়রা এখন এই ফলকে গইয়া নামে ডাকেন। তবে দেশজুড়ে খ্যাতি রয়েছে পিরোজপুরের কুড়িয়ানার এই পেয়ারার। জেলার নেছারাবাদ উপজেলা সদর থেকে আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়নটি পাঁচ কিলোমিটার পূর্ব দিকে। উপজেলার জলাবাড়ি ও সমুদয়কাঠি ইউনিয়নের মোট ২২টি গ্রামের ৬৫৭ হেক্টর জমিতে রয়েছে ২ হাজার ২৫টি পেয়ারার বাগান। ৫০০ হেক্টর জমিতে পেয়ারা চাষ হয় শুধুই কুড়িয়ানা গ্রামেই।
পেয়ারা ব্যবসায়ী সবুজ হালদার জানান, করোনার কারণে বাইরের ব্যাপারীরা এখানে আসে না। পেয়ারার দামও একটু কম। স্থানীয় আরতদার নির্মল হালদার বলেন, পিরোজপুরের নেছারাবাদ, ঝালকাঠীর ভিমরুলী ও বরিশালের কিছু অংশের পেয়ারা নিয়ে এখানে হাট বসে। আষাঢ় থেকে আশি^ন পর্যন্ত এখানে প্রচুর পেয়ারা পাওয়া যায়। তবে, শুরু এবং শেষের দিকে একটু কম পাওয়া গেলেও মাঝামাঝি সময় শ্রাবণ-ভাদ্র মাসে বেশি পাওয়া যায়।
নেছারাবাদ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা চপল কৃষ্ণ নাথ জানান, আমরা সব সময় তাদেরকে পরামর্শ দেই। সরকার ৪% সুদে ঋণের ব্যবস্থা করেছে। যদি কারো আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন হয় তবে তারা এই ঋণ গ্রহণ করতে পারেন।
নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোশারেফ হোসেন জানান, বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসককে নিয়ে পেয়ারার পর্যটন শিল্প ও বর্তমান অবস্থা বিষয়ে পরিদর্শন করেছি। এখানের একটা সমস্যা হলো যে, পেয়ারাগুলো যখন একসাথে পেকে যায় তখন তারা এগুলো একসাথে বিক্রি করতে পারে না। সেক্ষেত্রে চাষিদের একটু বেশিই হিমশিম খেতে হয়। লকডাউনের কারণে তাদের ব্যবসায় ঘাটতি বলে আমাদের জানিয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ