Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

গোয়েদার হামলার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত দাবি চীনের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ আগস্ট, ২০২১, ৫:০১ পিএম

বন্দরনগরী গোয়েদারে চীনা কর্মীদের একটি মোটরকেডে শুক্রবারের আত্মঘাতী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে পাকিস্তানে অবস্থিত চীনা দূতাবাস। তারা পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের কাছে একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত এবং ‘অপরাধীদের কঠোর শাস্তি’ দেয়ার দাবি জানিয়েছে। শনিবার চীনা দূতাবাসের পক্ষ থেকে দেয়া একটি বিবৃতিতে এই কথা বলা হয়।

দূতাবাসের বিবৃতিতে পাকিস্তান কর্তৃপক্ষকে সব স্তরে পাকিস্তানে চীনা নাগরিকদের নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে এবং ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে নিরাপত্তা সহযোগিতা ব্যবস্থা উন্নত করতে বলা হয়েছে। গত শুক্রবার বেলুচিস্তানের গোয়েদার ইস্ট বে এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পে চীনা কর্মীদের বহনকারী একটি মোটরকেড লক্ষ্য করে একটি আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়। এতে দুই স্থানীয় শিশু নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়। দূতাবাস জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে অন্তত একজন চীনা নাগরিক রয়েছেন।

পাকিস্তানের চীনা দূতাবাস এই সন্ত্রাসবাদের তীব্র নিন্দা জানায়, উভয় দেশের আহতদের প্রতি আন্তরিক সহানুভূতি জানায় এবং নিরীহ নিহতের প্রতি গভীর সমবেদনা জানায়। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পাকিস্তানে চীনা দূতাবাস অবিলম্বে জরুরি পরিকল্পনা চালু করে, পাকিস্তানকে আহতদের যথাযথ চিকিৎসা করার, হামলার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করার এবং অপরাধীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানায়। একই সময়ে, পাকিস্তানের সকল স্তরের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে অবশ্যই জোরালোভাবে পুরো প্রক্রিয়াটির সুরক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়নে ত্বরান্বিত করার জন্য ব্যবহারিক এবং কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং একই ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে তা নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা সহযোগিতা ব্যবস্থা উন্নত করা উচিত।’

দূতাবাস পাকিস্তানে চীনা নাগরিকদের সতর্ক থাকার, নিরাপত্তা সতর্কতা জোরদার করার পরামর্শ দিয়ে বলেছে, সম্প্রতি পাকিস্তানে নিরাপত্তা পরিস্থিতি গুরুতর ছিল। এতে আরো বলা হয়েছে, ‘পর পর বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে, যার ফলে বেশ কিছু চীনা নাগরিক হতাহত হয়েছে।’ এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে দেশটিতে চীনা নাগরিকদের ওপর এটি দ্বিতীয় হামলা। গত জুলাই মাসে, কোহিস্তান জেলায় তাদের বাসে হামলায় খাইবার-পাখতুনখুয়ার দাসু বাঁধের সাইটে কাজ করা ৯ চীনা নাগরিকসহ ১৩ জন মারা যান।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, শুক্রবারের জঙ্গি কলোনির কাছে উপকূলীয় সড়কের পাশে আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে যে, চারটি গাড়ির একটি কনভয়ে করে চীনা নাগরিকদের পরিবহন করা হচ্ছিল যা ‘সেনাবাহিনী এবং পুলিশ বাহিনীর অবিচ্ছেদ্য নিরাপত্তার’ মধ্যে ছিল। শনিবার গোয়াদারের পুলিশ জানিয়েছে, অজ্ঞাত জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কাউন্টার টেররিজম ডিপার্টমেন্ট (সিটিডি) থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তারা বলেছে যে, বোমা বিস্ফোরণে দুই শিশু মারা গেছে, এবং আরও তিনজন আহত হয়েছে।

এর পরে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বলেছেন, গোয়েদার হামলার উদ্দেশ্য ছিল চীন, পাকিস্তানের ‘মহান নেতৃত্বে’ এর অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিকে ধ্বংস করা। তিনি একটি টুইটে বলেন, ‘শত্রু আমাদের সংকল্পকে ক্ষুণ্ন করতে পারে না এবং আমরা অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে কোন প্রচেষ্টা ছাড়ব না।’ সূত্র : ট্রিবিউন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীন-পাকিস্তান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ