Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

স্বাস্থ্য অধিদফতরের কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ আগস্ট, ২০২১, ১২:০১ এএম

রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে করোনাভাইরাসের টিকা বিক্রির ঘটনায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম। গতকাল রোববার রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, টিকা চুরি করার বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। টিকা বিক্রির ব্যাপারে তদন্ত চলছে। স্বাস্থ্যা অধিদফতরের কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত ১৮ আগস্ট রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকার ‘দরিদ্র পরিবার সেবা’ নামে একটি ক্লিনিকে অবৈধভাবে করোনাভাইরাসের মডার্নার টিকা দেওয়ার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির মালিক বিজয়কৃষ্ণ তালুকদারকে আটক করে পুলিশ। এ সময় ক্লিনিকটি থেকে মডার্নার টিকার দুটি এম্পুল পাওয়া যায়। যার একটির মধ্যে টিকার আইসিক ছিল। এছাড়া মডার্নার টিকার খালি বক্স পাওয়া যায় ২২টি। সেগুলো জব্দ করা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা শুধু সংবাদমাধ্যম সূত্রে রাজধানীর একটি ক্লিনিকে টিকা বিক্রির খবর শুনেছি। এরকমভাবে আরো কতগুলো ক্লিনিক চুরি করে টিকা বিক্রি করছে সে খবর আমাদের জানা নেই। জেলা পর্যায়ে সেই সংখ্যাটা আরও বেশি হতে পারে।

এদিকে, নিয়মবহির্ভ‚ত টিকা নেওয়াদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির আশঙ্কা করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বে-নজীর আহমেদ। তিনি বলেন, টিকা একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় সংরক্ষণ ও নির্দিষ্ট নিয়মে পরিবহন করতে হয়। এর ব্যত্যয় হলে টিকার কার্যকারিতা হারাতে পারে। আর এসব সুবিধা সব জায়গায় না থাকায় চুরি করেও যদি টিকা বিক্রি করা হয়, সেটা কোনো কাজে লাগবে না। বরং এর মাধ্যমে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা থাকে। এভাবে টিকা বিক্রি ঠেকাতে না পারলে একসময় দেখা যাবে টিকার বদলে পানি দিয়ে বা কম পরিমাণে টিকা দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটবে। এতে টিকাগ্রহীতা একটা ফলস সিকিউরিটিতে ভুগবেন যে তিনি টিকা নিয়েছেন। আসলে ওই টিকা তার কোনো কাজেই আসবে না।

চুরি করে টিকা বিক্রি ঠেকাতে এখন থেকেই কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দেন এই বিশেষজ্ঞ। একইসঙ্গে টিকার সরবরাহ, বিতরণ, পরিবহন ও প্রয়োগের প্রতিটি পর্যায়ে কঠোর মনিটর করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানিয়েছেন, করোনার টিকার জন্য নিবন্ধন করে এক কোটির বেশি মানুষ অপেক্ষায় রয়েছেন। এসব মানুষদের দ্রুততম সময়ে টিকা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রগুলোতে বুথ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতাল পরিদর্শনের সময় তিনি বলেন, টিকার জট খুলতে কেন্দ্রগুলোতে বুথ বাড়ানো এবং প্রয়োজনে সাব সেন্টার করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নিবন্ধন করেও এখনো অনেকে টিকার জন্য অপেক্ষা করছেন। টিকা পেতে সবারই কম বেশি অপেক্ষা করতে হচ্ছে। আশা করি দ্রুত এই অবস্থার পরিবর্তন হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ