খুলনায় বিদুৎস্পৃষ্টে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু, কন্যা আহত

খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার কুলটি গ্রামে দুপুরে রান্না ঘরে খাবার খেতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
নেছারাবাদে মো: জয়নাল আকন (৭০) নামে এক পিতার কাছে নেশার টাকা চেয়ে না পেয়ে কোদাল দ্বারা এক পিটান দিয়ে পিতাকে হত্যা করেছে ছেলে। হত্যাকারী ওই ছেলের নাম রাজ্জাক আকন(৩৮)। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়নের দক্ষিণ মাহমুদকাঠি গ্রামের আকন বাড়ীতে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।ছেলের এক পিটানেই বৃদ্ধ পিতা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে পরিবারের অন্যান্যে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিমে নিয়ে যান। বিকেলে হাসপাতাল থেকে নিহতের মেজ ছেলে সুমন আকন তার মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত করেন। ঘটনার পর থেকেই হত্যাকারী ছেলে রাজ্জাক আকন গা ঢাকা দিয়েছে।
হত্যাকারী ছেলে রাজ্জাক আকনের মেজ ভাই সুমন আকন বলেন, তার ভাই এলাকার একজন মাদকাসক্ত লোক। সে কোন কাজকর্ম করতোনা। সংসারে তার স্ত্রী ছেলে মেয়ে রয়েছে। তার ভাই অকর্ম,মাদকাসক্ত হওয়ায় তার সংসার আমরা চালাই। সে প্রায়ই নেশার টাকার জন্য বাবা ও আমাদের সাথে ঝগড়াঝাঁটি করত। ঘটনার দিন দুপুরে সে বাড়ীতে এসে বাবার কাছে নেশার টাকা চায়। বাবা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এক পর্যায় বাবা তাকে একটু বকাঝকা করলে বড় ভাই রাজ্জাক সুস্থ মস্তিষ্কে বাবাকে কোদাল দিয়ে মাথায় একটি সজোরে পিটান দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই সে লুটিয়ে পড়ে। সাথে সাথে বাবাকে বরিশাল শেবাচিমে নিয়ে গেলে হাসপাতালের ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় চৌকিদার নুরুজ্জামান বলেন, শুনেছি রাজ্জাক একজন নেশাগ্রস্থ লোক। সে প্রায়ই নেশা করতো।
ইউপি সদস্য মুহিদ মাহমুদ বলেন রাজ্জাক একজন মাদকসেবী। শুনেছি প্রায়ই সে নেশার টাকার জন্য পরিবারে বাবার সাথে ঝগড়াঝাঁটি করত। তার বাবা জয়নাল ও ভাইয়েরা মিলে রাজ্জাকের জন্য একটি ঘর উঠাচ্ছিল। ঘটনার দিন দুপুরে তার পিতা সেই ঘরে একটু কাজ করছিল। দুপুরে রাজ্জাক বাড়ীতে এসে তার পিতার কাছে টাকা চায়। পিতা টাকা দিতে অসম্মতি জানালে রাজ্জাক এক দুই কথায় ক্ষিপ্ত হয়ে তার পিতাকে কোদাল দিয়ে মাথায় আঘাত করে। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই জয়নাল আকন মারা যান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।