Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নীলফামারীর তিস্তার স্পার বাঁধ ভেসে গেল, হুমকিকে আশ্রয়ণ প্রকল্প

নীলফামারী জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ আগস্ট, ২০২১, ৬:২৪ পিএম

তিস্তা নদীর অববাহিকার নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের ভেন্ডাবাড়ির দুই নম্বর স্পারটি পানির তোড়ে ভেসে গেছে। রবিবার(২৯ আগষ্ট) মধ্য রাতে ধস শুরু হলে সোমবার(৩০ আগষ্ট) ভোরে স্পার বাঁধটির অস্তিত্ব বিলীন হয়। এতে হুমকির মুখে পড়েছে সেখানকার আশ্রয়ণ প্রকল্পটি। রাতেই স্পার বাঁধটির ধারে বসবাস করা দুই’শ পরিবার জীবন রক্ষার্থে ভিটে থেকে ঘর বাড়ি ভেঙ্গে নিরাপদে সরে গেলেও স্থায়ীভাবে বসবাস করার জায়গা পাচ্ছেনা।

জানা যায় তিস্তা নদীর ডান তীর প্রধান বাঁধের নিয়ন্ত্রক এই স্পারটি রক্ষায় রবিবার সকাল থেকে বালুর বস্তা ফেলা হলেও তার রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান জানান, মধ্যরাত দুইটার দিকে বাঁধটির এক’শ মিটার ভেসে যায়। গত কয়েক দফায় উজানের ঢলের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাঙ্গন শুরু হলে সর্বশেষ স্পারটি ধসে গেল। ইউপি চেয়ারম্যান আরও জানান, বাঁধ থেকে আড়াই’শ মিটার দূরে রয়েছে আশ্রয় প্রকল্প। সেখানে ৩৯পরিবার বসবাস করে। এ ছাড়া এই এলাকায় আড়াই হাজার পরিবারের বাস। তারা সবাই নদী ভাঙ্গা। আবারো আতংকে পড়েছেন। তারা এখন যাবে কোথায়। গত ১৫ দিনে তিস্তা এই এলাকার শতাধিক বাড়ি ঘর খেয়ে ফেলেছে। এখন হুমকির মধ্যে রয়েছে ভেন্ডাবাড়ি গ্রাম ও ছাতুনামার চরের এক হাজার পরিবার। তিনি বলেন, স্পারটি ভাঙ্গন ধরায় ডানতীর বাঁধ জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা ইউনিয়নে মিলিত হয়েছে। এই অংশটি পিছনে।

স্পার বাঁধে বাস করা শামসুল ইসলাম বলেন, তিস্তা নদী আমার সব খেয়া ফেলাইছে। বাঁধের উপর তিন বছর আগে থেকে কোন রকমে ঘর বানে দিন কাটাইছি। এই বাঁধও ভেঙ্গে গেলো। থাকমো এ্যালা কোনঠে। কুতুব আলী বলেন, আমার ৫ জনের সংসার। স্পার বাঁধে থাকতাম আমরা। তিস্তায় খেয়া ফেলেছে সবকিছু। বাড়ি ঘর সরে নিয়ে আসি। এখন আমরা যাবো কোথায়। স্থানীয় বাসিন্দা গোলাম রব্বানী বাবু বলেন, স্পার বাঁধটির মাঝ অংশ হুমকিতে ছিলো। সেখানে বালুর বস্তা ফেলে রক্ষা করা হয় কিন্তু শেষ রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। পাঁচ’শ বালুর বস্তা দিয়ে রক্ষা করার চেষ্টা করা হলেও মধ্যরাতে ধ্বসে পড়ে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদৌলা জানান, স্পার বাঁধটির এক’শ মিটার ধ্বসে পড়েছে। বালুর বস্তা দিয়ে রক্ষা করার চেষ্টা করা হয়েছিলো। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নীলফারমারী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ