Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

‘ক্লিন ফিড’ ছাড়া বিদেশি চ্যানেল চলবে না -সাংবাদিকদের তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০২ এএম

আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের পর দেশে কোনো অবস্থাতেই ‘ক্লিন ফিড’ (বিজ্ঞাপন ছাড়া অনুষ্ঠান) ছাড়া বিদেশি চ্যানেল চালাতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ক্যাবল অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন, অ্যাটকো, বিদেশি চ্যানেলের ডিস্ট্রিবিউটর, আকাশ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে যেসব বিদেশি চ্যানেল আছে আইন অনুযায়ী তারা ক্লিন ফিড চালাতে বাধ্য। কিন্তু তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও এসব চ্যানেল ক্লিন ফিড করে পাঠাচ্ছে না। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ৩০ সেপ্টেম্বরের পরে দেশে কোনো অবস্থাতেই ক্লিন ফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেলকে চালাতে দিতে পারি না। এরপর আইন প্রয়োগ করা হবে। আইন অনুযায়ী ক্লিন ফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল আমাদের এখানে সম্প্রচার করতে পারে না। এছাড়া ক্যাবল অপারেটররা অনেক সময় সিনেমা দেখায়, বিজ্ঞাপন দেখায়, অনুষ্ঠান দেখায়। এগুলো আইনের ব্যত্যয়, আমরা সেগুলোর ব্যাপারেও এনফোর্সমেন্টে যাব।

তিনি বলেন, আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরের কেবল নেটওয়ার্কিং সিস্টেম ডিজিটালাইড করা হবে। সেটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গ্রাহকদের অবহিত করতে একটি পরিপত্র জারি করা হবে। ৩০ নভেম্বরের পরে ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরে এনালগ সিস্টেম আর কাজ করবে না। ডিজিটাল সেট টপ বক্সের মাধ্যমেই সম্প্রচারটা হবে।

ক্লিন ফিড চলছে কিনা সেটি নিয়ে আমরা সারা দেশে এনফোর্সমেন্টে যাব উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, পর পর দুই বছর সনদ নবায়ন না করায় ১২০০ ক্যাবল অপারেটিং ও ফিড লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। এক বছর নবায়ন না করলেই এসব সনদ বাতিল হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা করিনি। যাদের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে তাদের কেউ কেউ এখনো কাজ করছেন।

ক্যাবল অপারেটিং লাইসেন্স দেওয়ার সময় এলাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয় জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রায়ই এলাকা নিয়ে নানা সময় ঝামেলা হয়, অনেক সময় বড় ঝামেলা হয়, খুন—খারাবির মতো ঘটনাও বিভিন্ন সময় ঘটেছে। সেজন্য স্ট্রিকলি আজকে সভা থেকে বলে দিচ্ছি একজনের এলাকায় আরেকজন কখনোই যেতে পারবে না এবং সেটার জন্য এনফোর্সমেন্ট করব।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ইন্টারনেট সংযোগ যারা দিচ্ছে, সেসব সার্ভিস প্রোভাইডাররা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ভিডিও স্ট্রিমিং করে টেলিভিশনে দেখাচ্ছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে অনুমোদন ছাড়া অনেক চ্যানেল দেখানো হচ্ছে, এটা তারা কোনোভাবেই করতে পারে না। ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে আইপি টিভি দেখানো হচ্ছে। এ নিয়ে জটিলতা তৈরি হচ্ছে, একজনের ডোমেইনের মধ্যে আরেকজন প্রবেশ করছে। এটি নিয়ে আমরা তথ্য মন্ত্রণালয়, টেলিকম বিভাগ ও আইসিটি বিভাগের সঙ্গে অংশীজনদের নিয়ে বৈঠক করব।

দেশে দুটি ডিটিএইচ লাইসেন্স দেওয়া আছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দুটির মধ্যে একটি আকাশ, আরেকটি বিটিভিকে। বিটিভি এখনো কার্যক্রমে যায়নি, খুব সহসা যাবে। আমরা দেখছি টাটা স্কাইয়ের নামে অনেক জায়গায় ডিটিএইচ সেবা বিভিন্ন জায়গায় দেওয়া হচ্ছিল, সেটির বিরুদ্ধে আমরা এনফোর্সমেন্ট করেছিলাম, অনেক কমেছে। ইদানীংকালে চীন থেকে সেটআপ বক্স এনে অন্যদের ডিস লাগিয়ে সেখান থেকে ডিটিএইচ সেবা নেওয়া হচ্ছে, এগুলোর বিরুদ্ধে আমরা এনফোর্সমেন্ট করব। এগুলোর কিন্তু কঠিন শাস্তি হবে। আমি আশা করব আজকের পর থেকে সবাই এগুলো বন্ধ করবেন।

তিনি বলেন, আরও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ডিটিএইচ লাইসেন্স পেতে পারে। যখন ক্যাবল অপারেটিং সিস্টেম ডিজিটালাইড হবে তখন যে কোনো টেলিভিশন চ্যানেলের পক্ষে পে চ্যানেল বা আধা পে চ্যানেল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা সম্ভব হবে। সরকার প্রতি বছর অন্তত দুই হাজার কোটি টাকা করে রাজস্ব হারাচ্ছে। ক্যাবল অপারেটর হিসেবে যারা কাজ করছে তারাও কিন্তু তাদের সঠিক পাওনাটা পায় না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তথ্যমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ