Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

৩০ সেপ্টেম্বর লড়বেন মমতা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৫:৫৫ পিএম

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে সাংবিধানিক সঙ্কট এড়াতে অবশেষে ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করল ভারতের নির্বাচন কমিশন। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর হবে ভোটগ্রহণ। এই বিধানসভা আসন থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুর্শিদাবাদ জেলার দুই কেন্দ্র, সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরে বকেয়া নির্বাচনও হবে একই দিনে।

অনেক জল্পনা-কল্পনার পর শনিবার সকালে এই তফশিল ঘোষণা করেছে কমিশন। তবে রাজ্যের বাকি চারটি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন আপাতত হচ্ছে না। একমাত্র ভবানীপুরে ভোট হবে। সেই ঘোষণার পরেই সেখানে প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তৃণমূল কর্মীরা। এদিন যদুবাবুর বাজারের সামনে মদন মিত্রের অনুগামীরা তৃণমূলনেত্রীর সমর্থনে ফ্লেক্স লাগিয়েছেন। বিকেলে কালীঘাটেও ব্যানার লাগান মুখ্যমন্ত্রীর ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়। সন্ধ্যায় দলীয় কোঅর্ডিনেটরদের নিয়ে বৈঠক করেন দলের সভাপতি সুব্রত বক্সি এবং ফিরহাদ হাকিম। রাতে চেতলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে দেয়ালও লিখেছেন পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সোমবার উত্তরবঙ্গে যাওয়ার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। ভোট ঘোষণা হওয়ায় তিনি সেই সফরে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

নির্বাচিত বিধায়কের মৃত্যু এবং পদত্যাগের জেরে রাজ্যের মোট পাঁচটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু সেখানে শুধুমাত্র ভবানীপুরে ভোটের ঘোষণা কেন? এদিন নির্বাচন কমিশনের তফশিল ঘোষণার পরেই উঠেছে সেই প্রশ্ন। যদিও তার ব্যাখ্যা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে তারা বলেছে, ‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী কমিশনকে জানিয়েছেন, ভারতের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৬৪(৪) অনুযায়ী, আইনসভার সদস্য নন এমন কোনও ব্যক্তি যদি টানা ছ’মাসের বেশি মন্ত্রী পদে থাকেন, তাহলে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হতে পারে। অবিলম্বে নির্বাচন না হলে রাজ্য সরকারের শীর্ষপদেও দেখা দেবে শূন্যতা। কাজেই প্রশাসনিক বাধ্যবাধকতা ও জনস্বার্থের পরিপ্রেক্ষিতে এবং রাজ্যে প্রশাসনিক শূন্যতা এড়াতে যেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী হতে চান, সেই ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচন করা একান্ত জরুরি। তাই সাংবিধানিক সঙ্কট এবং পশ্চিমবঙ্গে বিশেষ অনুরোধের কথা মাথায় রেখে ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয়া হল।’

দেশে আরও ৩১টি বিধানসভা এবং ৩টি লোকসভা আসনে উপনির্বাচন বকেয়া। কিন্তু অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং সিইওদের মতামত বিবেচনা করে সেখানে এখনই ভোট না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। অন্যদিকে করোনার প্রকোপে বিধানসভা নির্বাচন স্থগিত হয়ে গিয়েছিল সামশেরগঞ্জ, জঙ্গিপুর এবং ওড়িশার পিপলিতে। ভবানীপুরের সঙ্গেই সেখানে ভোটগ্রহণ হবে বলে এদিন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে কমিশন। সেখানে আর নতুন করে মনোনয়ন প্রক্রিয়া হবে না। যে প্রার্থীরা ছিলেন, তাঁরাই থাকবেন। সেখানে ২০ সেপ্টেম্বর থেকে প্রচার শুরু হবে।

খড়দহ, দিনহাটা, শান্তিপুর এবং গোসাবা বিধানসভার উপনির্বাচন না হওয়ায় কিছু সমস্যাও দেখা দিতে পারে। কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, ভবানীপুরের পদত্যাগী বিধায়ক তথা কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে আগামী ২০ নভেম্বরের মধ্যে জিতে আসতে হবে। নয়তো তাকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে হবে। একই বিষয় প্রযোজ্য অমিত মিত্রের ক্ষেত্রেও। তার মন্ত্রিত্বের মেয়াদ রয়েছে আগামী ৯ নভেম্বর পর্যন্ত।

বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য শুধু ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচন ঘোষণা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তার অভিযোগ, রাজ্য সরকার ভুল রিপোর্ট দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করেছে। নয়তো বাকি চারটি আসনে উপনির্বাচন হল না কেন? একই সুর শোনা গিয়েছে সিপিএম ও কংগ্রেস নেতাদের গলায়। সূত্র: এনডিটিভি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মমতা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ