Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শাহজাদপুরে বিলীনের পথে সোনাতুনি ইউপির ৬ গ্রাম

যমুনায় ভয়াবহ ভাঙন

প্রকাশের সময় : ৭ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সৈয়দ শামীম শিরাজী, সিরাজগঞ্জ থেকে
গত কয়েক দিন ধরে যমুনা নদীতে বন্যার পানি কমতে থাকায় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার সোনাতুনি ইউনিয়নের ৬টি গ্রামে ভয়াবহ ভাঙন তা-ব শুরু হয়েছে। এতে কম পক্ষে ৬টি গ্রাম বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। এ গ্রামগুলি হল- সোনাতুনি, মাকড়া, বারপাখিয়া, বানতিয়ার, বড়চানতারা ও ছোটচানতারা। এসব গ্রামের ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি ও ২ শতাধিক ইরি স্কীমের ২ হাজার বিঘা জমি ইতিমধ্যেই যমুনা নদীর ভয়াবহ ভাঙনের তান্ডবে বিলীন হয়ে গেছে। এতে এসব গ্রামের অন্তত ২ হাজার মানুষ নতুন করে গৃহহীন হয়ে পড়েছে। বানতিয়ার গ্রামের আবুল কাশেম, শিরিন আক্তার, কুরমান আলী, মালেকা খাতুন, আনোয়ারা বেগম, ছোটচানতারা গ্রামের লিপি খাতুন, লালবানু, কুলছুম, সুফিয়া, ফুলমালা, সানোয়ার হোসেন, সোনাতুনি গ্রামের রাবেয়া খাতুন, হানিফ আলী, আয়শা বেগম ও বুলবুলি জানান, এ বছর বন্যার পানি বাড়ার সাথে সাথে এসব গ্রামে যমুনা নদীর ভাঙনের তা-বও ভয়াবহ রূপ নেয়। দেখতে দেখতে চোখের সামনে বাড়িঘর, ভিটামাটি, জমিজমাসহ সব কিছু মুহূর্তের মধ্যে বিলীন হয়ে যায়। এতে ওই সব এলাকার অসহায় মানুষগুলো সর্বস্ব খুইয়ে সর্বস্বান্ত ও নিঃস্ব হয়ে গেছে। এখন তাদের জীবন-জীবিকা চালানোর মত কোন ব্যবস্থা না থাকায় তারা পরিবার পরিজন নিয়ে চরম মানবেতর জীবনযাপন করছে। যমুনা নদী থেকে মৎস্য আহরণ ও চরের কাশিয়া-ছোন সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করে যে সামান্য অর্থ জোটে তা দিয়ে তাদের এক বেলার আহারও জোটে না। এর উপরে এদের মাড়ি-মড়ক লেগেই আছে। ফলে রোগে শোকে তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, সোনাতুনি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে গত ২ মাসের মধ্যেও টিআর, জিআর, ভিজিএফ এর চাল, নগদ টাকা বা খাদ্য সামগ্রীর কোন কিছুই তারা হাতে পায়নি। সরকারি বরাদ্দ যা এসেছে তার অধিকাংশই চেয়ারম্যান-মেম্বাররা আত্মসাৎ করেছেন। এ ব্যাপারে সোনাতুনি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ফজলু অসুস্থ থাকায় তার পক্ষে তার ভাই শামছুল ইসলাম সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বন্যা ও ভাঙণে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ৪ দফায় ১৭/১৮ টন জিআর এর চাল বিতরণ করা হয়েছে। সেখানে কোন অনিয়ম-দুর্নীতি করা হয়নি। শাহজাদপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিন্দার আলী বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শাহজাদপুরে বিলীনের পথে সোনাতুনি ইউপির ৬ গ্রাম
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ