Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নদীর পানি কমে বন্যা পরিস্থিতি আরো উন্নতি

তীব্র নদী ভাঙ্গন তিন শতাধিক বাড়িঘর নদী গর্ভে বিলীন

টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৫:৫৬ পিএম

যমুনা ও ধলেশ্বরী নদীর পানি কমে টাঙ্গাইল জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো উন্নতি হয়েছে। ধীরে ধীরে নেমে যাচ্ছে এসব এলাকার বন্যার পানি। সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছে যমুনা ও ধলেশ্বরী নদীর তীব্র ভাঙন। ভাঙনের ফলে নদী তীরবর্তী এলাকায় ইতিমধ্যে বসতভিটা, মসজিদ, বাঁধ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাস্তাসহ নানা স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া কাঁচা-পাকা রাস্তা ভেঙে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে রয়েছে। টাঙ্গাইল সদর, নাগরপুর, কালিহাতী ও ভূঞাপুর উপজেলায় দেখা দেয় ব্যাপক ভাঙ্গন।
এদিকে ভূঞাপুর ও টাঙ্গাইল সদর উপজেলার যমুনা নদী তীরবর্তী এলাকায় বন্যার পানির স্রোতে কয়েকটি রাস্তা ভেঙ্গে যায়। এতে করে সাধারণ মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে বন্যার পানি কমতে শুরু করলে স্থানীয় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়। এতে সাময়িক সমস্যা দূর হলেও দূর্ভোগ কমেনি বলে জানায় এলাকাবাসী।
অপরদিকে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা নিন্মাঞ্চল হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি অপরির্বতিত রয়েছে। উপজেলার অধিকাংশ এলাকা এখনও বন্যার পানিতে তলিয়ে আছে। বন্যা কবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও শুকনো খাবার অভাব।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা পানি কমে বিপদসীমার নিচ দিয়ে ও ধলেশ্বরী নদীর পানি বিপদ সিমার ১২সন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ।
এঠাড়াও জেলা শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা গেছে, জেলায় সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ মোট ৪৬৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখনও বন্যার পানি রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্যা পরিস্থিতি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ